কাজী নজরুল ইসলাম- এর চিরন্তন বাণী

8. মহানবী (সা.) এর মহামূল্যবান বাণী পর্ব- ৭ ২১২. আবু যর (রা) বলেন : আমি নিবেদন করলাম,ওগো আল্লাহ রসূল আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি আল্লাহকে ভয় করবার। কারণ এটাই তোমার সমস্ত কাজকে সৌন্দর্য দান করবে। আমি বললাম, আমাকে আরো উপদেশ দিন। তিনি বললেন : কুরআন পাঠ এবং আল্লাহর স্মরণ ও তাঁর বিষয়ে আলোচনাকে নিজের কর্তব্য কাজ বানিয়ে নাও। এতে আকাশে তোমায় নিয়ে আলোচনা হবে আর এটা পৃথিবীতে তোমার পথের আলো হবে। আমি বললাম, আমাকে আরো উপদেশ দিন। তিনি বললেন : বেশী সময় নীরব থাকবে, কম কথা বলবে। এটা শয়তানকে তাড়াবার হাতিয়ার হবে এবং তোমার দীনের কাজের সহায়ক হবে। আমি আরয করলাম, আমাকে আরো আদেশ দিন। তিনি বললেন তিক্ত হলেও সত্য কথা বলবে। আমি নিবেদন করলাম, আমাকে আরো উপদেশ দিন। তিনি বললেন : ইসলামী আন্দোলন ( জিহাদ ) করাকে নিজের কর্তব্য বানিয়ে নাও। কারণ এটাই মুসলমানদের বৈরাগ্য। আমি বললাম, আমাকে আরো কিছু বলুন। তিনি বললেন : দরিদ্র লোকদের ভালোবাসবে এবং তাদের সাথে উঠাবসা করবে। আমি বললাম, আমাকে আরো উপদেশ দিন। তিনি বললেন : তোমার নিজের মধ্যে যেসব দোষ ত্রুটি আছে, সেগুলোর দিকে তাকাও। অন্যের মধ্যে যে দোষ ত্রুটি আছে তা খুজে বেড়ানো এবং বলে বেড়ানো থেকে বিরত থাকো। অতপর তিনি আমার বুকে হাত মেরে বললেন, আবু যর ! কর্মকৌশল ও কর্মপ্রচেষ্টার চাইতে বড় বুদ্ধিমত্তা আর নেই। হারাম ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকার চেয়ে বড় বীরত্ব কিছু নেই। আর সুন্দর ব্যবহারের চাইতে বড় কোনো ভদ্রতা নেই। (ইবনে হিব্বান) সঠিক পথে চলো ২১৩. আমার প্রভু আমাকে নয়টি নির্দেশ দিয়েছেন। সেগুলো হলো : ১. গোপনে ও প্রকাশ্যে আল্লাহকে ভয় করতে, ২. সন্তুষ্টি এবং অসন্তুষ্টি উভয় অবস্থাতে ন্যায় কথা বলতে, ৩. দারিদ্র ও প্রাচুর্য উভয় অবস্থাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে, ৪. যে আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তার সাথে সম্পর্ক জুড়তে, ৫. যে আমাকে বঞ্চিত করে, তাকে দান করতে, ৬. যে আমার প্রতি অবিচার করে, তাকে ক্ষমা করে দিতে, ৭. আমার নীরবতা যেনো চিন্তা গবেষণায় কাটে, ৮. আমার কথাবার্তা যেনো হয় উপদেশমূলক, ৯. আমার প্রতিটি দৃষ্টি যেনো হয় শিক্ষা গ্রহণকারী। এ ছাড়া ও আমার প্রভু আমাকে আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন, সেগুলো হলো : ১. আমি যেনো ভালো কাজের আদেশ করি এবং ২. মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করি। (সহীহ বুখারী) ইউনিক বাংলা অ্যাপস © 2017 ৮ম পর্ব 1) মা সকল ক্ষেত্রে সকল পরিবেশেই মা লেডি বার্নার্ড। 2) মানুষের পয়লা নাম্বার শত্রু হল সময় সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় 3) মানুষের সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষকই হল মহৎ ব্যক্তিদের আত্নজীবনী ও বাণী ওরসন স্কোরার ফাউলার 4) মানুষের সর্বোচ্চ সাফল্য সবটুকু করতে পারায় নয়, সাধ্যমত করতে পারায়। অজানা 5) যদি তুমি মানুষকে বিচার করতে যাও তাহলে ভালবাসার সময় পাবে না। মাদার তেরেসা 6) যারা আমাকে সাহায্য করতে মানা করে দিয়েছিল আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, কারন তাদের ‘না’ এর জন্যই আজ আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি। আইনস্টাইন 7) যারা বন্ধুদের অপমান করে, বন্ধুদের অপমানিত হতে দেখে কাপুরুষের মতো নীরব থাকে তাদের সঙ্গে সংসর্গ করো না । সিনেকা 8) যারা বলে অসম্ভব, অসম্ভব তাদের দুয়ারেই বেশি হানা দেয়। জন সার্কল 9) যে ইচ্ছাপূর্বক বন্ধুকে ঠকায়, সে তার খোদাকেও ঠকাতে পারে । লাভাটাব 10) যে একজনও শত্রু তৈরি করতে পারেনি সে কারো বন্ধু হতে পারে না। আলফ্রেড টেনিস 11) যে দৃষ্টির সংগে মনের যোগাযোগ নাই-সে তো দেখা নয়, তাকানো যাযাবর। 12) যে নদীর গভীরতা বেশি, তার বয়ে যাওয়ার শব্দ কম। জন লিভগেট 13) যে ন্যায়ের পক্ষে, সে সত্যের পক্ষে রাহুল সাংকৃত্যায়ন। 14) যে নিজেকে অক্ষম ভাবে, তাকে কেউ সাহায্য করতে পারে না। জন এন্ডারসন 15) যে নিজেকে অক্ষম ভাবে, তাকে কেউ সাহায্য করতে পারে না। জন এন্ডারসন Home More App From Developer 9. মহানবীর বাণী (বিদায় হজ্জ্ব) রাসূল সা: এর বিদায় হজ্বের ভাষণ এই ভাষণটি প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জানা জরুরি। দশম হিজরি। জিলহজ মাস। ২৩ বছর আগে হেরাগুহায় জ্বলে উঠেছিল সত্যের আলো। আজ তা পূর্ণতায় উপনীত। এক কঠিন দায়িত্ব নিয়ে তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন এ পৃথিবীতে। ২৩ বছর কঠিন পরিশ্রম, সংগ্রাম, অপরিসীম কুরবানি ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছিল তাঁকে। তা আজ সমাপ্তির পথে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন মানুষের কাছে দূত হিসেবে তা আজ পূর্ণতার পথে। দীর্ঘ ২৩ বছর তিনি সাধনা করে একটি রাষ্ট্র গঠন করলেন। গঠন করলেন শোষণমুক্ত জুলুমহীন ন্যায়বিচারের সমাজ। গড়ে তুললেন তাওহিদভিত্তিক নব সভ্যতার এক নতুন জাতি মুসলিম উম্মাহ। তাই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সঙ্গীসাথীসহ হজ্বের উদ্দেশ্যে মক্কা নগরীতে গমন করেন এবং হজ্ব সম্পাদন করেন। আজ লাখো কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক। আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে ইব্রাহীম আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ইসমাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেখানে দাঁড়িয়ে কাবার প্রাচীর নির্মাণ করেছিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে এক মুসলিম উম্মাহ গঠনের জন্য মহান আল্লাহ তা’আলার দরবারে দোয়া করেছিলেন। সেই মুসলিম উম্মাহ আজ আরাফাতের ময়দানে সমবেত। আরাফাতের ময়দানে ৯ জিলহজ্ব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব মানুষের সামনে দাঁড়ালেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে আল্লাহ্ তা’আলার প্রশংসা করলেন। এরপর তিনি তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ পেশ করলেন- তিনি বললেন, ১. হে লোকসকল! আমার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোন। আমার মনে হচ্ছে এর পরে হজ্বে যোগ দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠবে না। [মাদনুল উম্মাল-তাবরী] ২. মূর্খ যুগের সমস্ত কুসংস্কার, সমস্ত অন্ধ বিশ্বাস এবং সকল প্রকারের অনাচার আজ আমার পায়ে দলিত মথিত হয়ে গেল। [বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ] ৩. মূর্খ যুগের সমস্ত রক্ত-প্রতিশোধ আজ থেকে রহিত। আমি সর্বপ্রথম ঘোষণা করছি, আমার গোত্রের প্রাপ্য সকল সুদ ও সকল প্রকার রক্তের দাবী আজ থেকে রহিত হয়ে গেল। [বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ] ৪. একজনের অপরাধের জন্য অন্যকে দন্ড দেয়া যাবে না। অতএব, পিতার অপরাধের কারণে সন্তান আর সন্তানের অপরাধের কারণে পিতাকে দায়ী করা চলবে না। [ইবনে মাজাহ, তিরমিযী] ৫. যদি কোনো হাবশী কৃতদাসকেও তোমাদের আমীর নিযুক্ত করা হয়, আর সে যদি আল্লাহর বিধান অনুযায়ী তোমাদের পরিচালনা করতে থাকে তবে তোমরা সর্বোতভাবে তার আদেশ মেনে চলতে থাকবে। তার অবাধ্য হবে না। [মুসলিম] ৬. সাবধান! ধর্ম সম্বন্ধে বাড়াবাড়ি করো না। এই অতিরিক্ততার ফলে তোমাদের পূর্বে বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। [ইবনে মাজাহ] ৭. মনে রেখো, তোমাদের সবাইকেই আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে। তাঁর নিকট সকল কিছুর জবাবদিহি করতে হবে। সাবধান! তোমরা যেন আমার পরে ধর্মভ্রষ্ট হয়ে যেও না। কাফের হয়ে পরস্পরে রক্তপাতে লিপ্ত হয়ো না। [বুখারী] ৮. দেখো, আজকের এই হজ্ব দিবস যেমন মহান, এই মাস যেমন মহিমাপূর্ণ, মক্কার এই হারাম (বাইতুল হারাম) যেমন পবিত্র- প্রত্যেক মুসলমানের ধন সম্পদ, মান-সম্ভ্রম এবং প্রত্যেক মুসলমানের রক্তবিন্দু তেমন তোমাদের কাছে মহান, তেমন পবিত্র। পূর্বোক্ত বিষয়গুলোর অবমাননা করা যেমন তোমরা হারাম মনে করো, ঠিক তেমনি কোনো মুসলমানের সম্পত্তি, সম্মান ও প্রাণের ক্ষতি করা তোমাদের জন্য হারাম। [বুখারী, মুসলিম, তাবরী] ৯. এক দেশের লোকের অন্য দেশবাসীর ওপর প্রাধান্য পাবার কোনই কারণ নেই। মানুষ সবাই আদম আ. থেকে আর আদম আ. মাটি থেকে। [একদুল ফরিদ] ১০. জেনে রাখো, এক মুসলমান অন্য মুসলমানের ভাই। আর সকল মুসলমানকে নিয়ে একটি অবিচ্ছেদ্য ভাতৃসমাজ। [হাকিম মুস্তাদরাক, তাবরী] ১১. হে লোকসকল শোন! আমার পরে কোনো নবী নেই। তোমাদের পর আর কোনো উম্মত নেই। আমি যা বলছি মনোযোগ দিয়ে শোন, এই বছরের পর তোমরা হয়তো আর সাক্ষাৎ পাবে না। এলেম উঠে যাবার আগে আমার কাছ থেকে শিখে নাও। [কানজুল উম্মাল, মুসনাদে আবি উমামা, রিহলাতে মুস্তফা] ১২. চারটি কথা, হ্যা! এই চারটি কথা বিশেষভাবে মনে রেখো- শিরক করো না, অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করো না, পরস্ত্রী অপহরণ করো না, ব্যাভিচার করো না। [মুসনাদে সালমা ইবনে কায়েস, রিহলাতে মুস্তফা] ১৩. হে লোকসকল শোন! গ্রহণ করো, গ্রহণ করে জীবন লাভ করো। সাবধান! কোনো মানুষের উপর অত্যাচার করো না! অত্যাচার করো না!! অত্যাচার করো না!!! সাবধান, কারো অসম্মতিতে তার সামান্য সম্পদও নিও না। [মুসনাদে রক্কাশী, মুসনাদে সালমা ইবনে কায়েস] ১৪. আমি তোমদের কাছে দুটি বিষয় রেখে যাচ্ছি, তা দৃঢ়তার সাথে ধরে রাখলে তোমরা সামান্যও পথভ্রষ্ট হবে না। তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব (আল-কুরআন) ও তাঁর রাসূলের আদর্শ (হাদীস)। [বুখারী, মুসলিম] ১৫. শয়তান নিরাশ হয়েছে, সে আর কখনো তোমাদের কাছে পাত্তা পাবে না। কিন্তু সাবধান! অনেক বিষয়কে তোমরা ক্ষুদ্র বলে মনে করো, অথচ শয়তান সে বিষয় দিয়েই তোমাদের সর্বনাশ করে থাকে। ঐ বিষয়গুলো সম্বন্ধে খুব সতর্ক থাকবে। [ইবনে মাজাহ, তিরমিযী] ১৬. নারীদের ব্যাপারে আমি তোমাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, তাদের প্রতি কখনো নির্মম হয়ো না। এক্ষেত্রে আল্লাহর ভয় করো। নিশ্চয়ই তোমরা তাদেরকে আল্লাহর জামিনে গ্রহণ করেছ এবং তাঁরই কালাম দ্বারা তোমাদের দাম্পত্য স্বত্ত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মনে রেখো, তোমাদের স্ত্রীদের ওপর তোমাদের যেমন দাবী ও অধিকার আছে, তোমাদের ওপরও তাদের তেমন দাবী ও অধিকার আছে। তোমরা পরস্পর পরস্পরকে নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করবে। মনে রেখো, এই অবলাদের বল তোমরাই, এদের একমাত্র সহায় তোমরাই। [বুখারী, মুসলিম, তাবরী] ১৭. দাস দাসীদের নির্যাতন করো না। তাদের প্রতি নির্মম হয়ো না। শোন, ইসলামের আদেশ তোমরা যা খাবে তাদেরকেও তাই খাওয়াতে হবে, তোমরা যা পরবে তাদেরকেও তাই পরাতে হবে। কোনো প্রকার তারতম্য চলবে না। [তাবকাত] ১৮. যে ব্যক্তি নিজের বংশের পরিবর্তে নিজেকে অন্য বংশের বলে পরিচয় দেয়, তার উপর আল্লাহ পাকের, ফেরেশতাদের ও সমগ্র মানবজাতির অভিশাপ। [মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ] ১৯. যারা উপস্থিত আছো, তারা অনুপস্থিতদেরকে আমার এই সকল পয়গাম পৌছে দেবে। হতে পারে, উপস্থিত কিছু লোক থেকে অনুপস্থিত কিছু লোক এর দ্বারা বেশি লাভবান হবে। [বুখারী] মহানবী সা. ভাষণ শেষ করলেন এবং তাঁর চেহারা মোবারক উজ্জ্বল হয়ে উঠল। তিনি করুণ স্বরে করুণভাবে আকাশ পানে তাকালেন এবং তিনি বললেন, ‘হে মহান প্রভু! হে পরওয়ার দিগার! আমি কি তোমার দ্বীনের দাওয়াত পরিপূর্ণভাবে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। তখন উপস্থিত জনতা সবাই সম্মিলিতভাবে বললেন, নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহর দ্বীন পরিপূর্ণভাবে পৌঁছাতে পেরেছেন। তখন তিনি আবার বললেন, হে প্রভু! আপনি শুনুন, আপনি সাক্ষী থাকুন, এরা বলেছে আমি আপনার দ্বীন লোকদের নিকট পৌঁছাতে পেরেছি। আমি আমার কর্তব্য পালন করতে পেরেছি। ভাবের অতিশয্যে নবী নীরব হলেন। জান্নাতি নূরে তাঁর চেহারা আলোকদীপ্ত হয়ে উঠল। এই মুহূর্তে কুরআনের শেষ আয়াতটি নাজিল হয়। ’আজকের এই দিনে তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করে দিলাম। তোমাদের ওপর আমার নিয়ামত পূর্ণ করে দিলাম। ইসলামকেই তোমাদের ওপর দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ [সূরা মায়েদাহ, আয়াত ৩] হযরত রাসূল সা. কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। জনতা নীরব। কিছুক্ষণ পর হযরত রাসূল সা. জনতার দিকে তাকালেন এবং করুণ গম্ভীর কণ্ঠে বললেন বিদায় বন্ধুগণ, বিদায়। [বুখারী] ইউনিক বাংলা অ্যাপস © 2017 ৯.অনুপ্ররেণা খোঁজা: জীবনে চলার পথে কিছু বা কেউ আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায় থাকে এর মুল্য দিয়া কঠিন কিন্তু এ প্রেরণা টুকু না পেলে অনেক সময় আমাদের চলার পথে থমকে যেতে হয়। এ প্রেরণাটি যে কারো জন্য তার ইচ্ছা শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনার উচিত হবে এমন কিছু করা বা এমন কারো কথা শুনা বা এমন কারো সাথে মেলা মেশা করা যে আপনাকে প্রেরণা জোগায়। ৯ম পর্ব 1) বন্ধুত্ব একবার ছিঁড়ে গেলে পৃথিবীর সমস্ত সুতো দিয়েও রিপু করা যায় না। কার্লাইল 2) বন্ধুত্ব একমাত্র সিমেন্ট যা সবসময় পৃথিবীকে একত্র রাখতে পারবে। উইড্রো উইলসন 3) বন্ধুদের মধ্যে সবকিছুতেই একতা থাকে । প্লেটো 4) বুলেট ব্যতীত বিপ্লব হয় না চে গুয়েভারা। 5) বিদ্রোহী মানে কাউকে না মানা নয়। যা বুঝিনা তা মাথা উঁচু করে বুঝি না বলা। কাজী নজরুল ইসলাম 6) বিধাতার নিকট আমার প্রার্থণা এই যে আমাকে তুমি বন্ধু দিও না, শত্রু দিও, যাতে আমি আমার ভূলগুলো ধরতে পারি। জন ম্যাকি 7) বিশ্বাস জীবনকে গতিময়তা দান করে, আর অবিশ্বাস জীবনকে দুর্বিসহ করে তোলে মিল্টন 8) ভবিষৎকে জানার জন্যই আমাদের অতীত জানা উচিত। জন ল্যাক হন 9) ভাগ্য সবার দুয়ারে আসার জন্যই অপেক্ষা করে, কিন্তু উপযাচক হয়ে আসে না, ডেকে আনতে হয়। ইলা অলড্রিচ 10) ভীরুরা মরার আগে বারে বারে মরে। সাহসীরা মৃত্যুর স্বাদ একবারই গ্রহণ করে। শেক্সপীয়ার 11) মা সকল ক্ষেত্রে সকল পরিবেশেই মা লেডি বার্নার্ড। 12) মানুষের পয়লা নাম্বার শত্রু হল সময় সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় 13) মানুষের সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষকই হল মহৎ ব্যক্তিদের আত্নজীবনী ও বাণী ওরসন স্কোরার ফাউলার 14) মানুষের সর্বোচ্চ সাফল্য সবটুকু করতে পারায় নয়, সাধ্যমত করতে পারায়। অজানা 15) যদি তুমি মানুষকে বিচার করতে যাও তাহলে ভালবাসার সময় পাবে না। মাদার তেরেসা Home More App From Developer 10. মহানবী (সা.) এর মহামূল্যবান বাণী পর্ব- ৮ * আমার উম্মতের মধ্যে এমন একদল লোক আছে, যারা আল্লাহর কোন নিদর্শন দেখে প্রকাশ্যে হাসে কিন্তু গোপনে কাঁদতে থাকে। এদের দেহ এ জগতে, কিন্তু আত্মা রয়েছে অন্য জগতে। তাদের প্রাণ ইহলোকে কিন্তু জ্ঞান-বুদ্ধি পরলোকে। তারা গাম্ভীরয্য বিজায় রেখে চলে এবং উসিলা অবলম্বনে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে। (আল হাদিস) * যদি কেউ তার জন্য নির্ধারিত জীবিকা থেকে দূরে থাকার জন্য পলায়নও করে, তবু রিযিক তার পেছনে পেছনে ছুটবে। মানুষ মৃত্যুর হাত থেকে যেমন পালিয়ে বাঁচতে পারে না, তেমনি রিজিকের হাত থেকেও পালিয়ে বাঁচা সম্ভব নয়। (আল হাদিস) * আমার উম্মতের দুজন লোক নামায পড়তে দাড়ায়, তারা একইভাবে রুকু-সিজদা করে কিন্তু উভয়ের নামাযে আকাশ-পাতাল ব্যবধান হয়ে যায়। (আল হাদিস) * পৃথিবীতে এমন একটি সময় আসবে যখন মানুষ অনাচার ও অপকর্মে লিপ্ত হতে দ্বিধা করবে না বরং পাপাচারের জন্য বীরত্ব প্রকাশ ও গৌরববোধ করবে। তখন তোমরা কেয়ামত আসন্ন মনে করবে। (মুসলিম শরীফ) * আমার উম্মতের কিছু লোক ভাগ্যকে অস্বীকার করবে। আল্লাহ তাদের কিছুকে মাটিতে প্রোথিত করবেন আর কিছুকে বাদরে রূপান্তরিত করে দেবেন। (আল হাদীস) * যে ব্যক্তি আমার উম্মতের ওপর জোরপূর্বক ক্ষমতাশীন হয় এবং আল্লাহ যাদের সম্মানিত করেছেন তাদের অপমান করে আর আল্লাহ যাদের অপদস্ত করেছেন তাদের সম্মানিত করে, সে অভিশপ্ত। -আল হাদীস * যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টিমুলক কোন কাজের শপথ করে, তার সে শপথ পালন করা উচিত। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহর অসন্তুষ্টিমুলক কোন কাজের শপথ করে, তার সেটি পালন করা উচিত নয়। (বোখারী শরীফ) * যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ে, নিশ্চয় সে শিরক করে। যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে রোজা রাখে, সেও শিরক করে এবং যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানো উদ্দেশ্যে দান-খয়রাত করে, সেও শিরক করে। -(মুসনাদে আহমদ) * একদিন আমি (উম্মে সালামা) ও মায়মূনা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (দঃ)-এর দরবারে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় (অন্ধ সাহাবী) আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (দঃ)-এর নিকট আগমণ করলেন। তখন রাসুলুল্লাহ (দঃ) আমাদেরকে বললেন, তোমরা পর্দার আড়ালে চলে যাও। আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (দঃ) ! উনি কি অন্ধ নন ? তিনি তো আর আমাদেরকে দেখবেন না। রাসুলুল্লাহ (দঃ) বললেন, তোমরা কি তাকে দেখবে না। -(আল হাদীস) * নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ পাক ধনী মুসলমানদের ধন-সম্পদ হতে এমন পরিমাণ দিয়ে দেওয়াকে ফরজ করেছেন, যা তাদের দরিদ্র-নিঃস্ব প্রতিবেশীদের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট হতে পারে। বস্তুতঃ দরিদ্র-নিঃস্বরা যে ক্ষুধার্ত ও বস্ত্রহীন থেকে কষ্ট পায়, তার মূলে ধনী লোকদের আচরণ ছাড়া অন্য কোন কারণই থাকতে পারে না। নিশ্চয় জেনে রাখবে আল্লাহ্‌ পাক এসব লোকদের খুব শক্ত হিসাব নেবেন এবং তাদেরকে তীব্র পীড়াদায়ক শাস্তি দিবেন। (আল হাদিস) * হিংসা মানুষের সওয়াবগুলোকে এমনভাবে ধ্বংস করে ফেলে, যেমনভাবে আগুন লাকড়িকে ছাইয়ে পরিণত করে। (আবু দাউদ) * আমার পরে এমন একদল শাসক আসবে (নিষ্টুরতার ভয়ে) যাদের অন্যায় কথার প্রতিবাদ করিতে কেহই সাহস পাইবে না। এসব শাসকরা এমনভাবে জাহান্নামে প্রবেশ করবে, যেমন করে বানরের পাল একের পিছনে এক সারিবদ্ধ ভাবে ধাবিত হয়। (আল হাদিস) * আবু হোরায়রা, দুনীতিগ্রস্ত সমাজে একদিন ইনসাফ প্রতিষ্টা করা আল্লাহ্‌ তায়ালার কাছে ষাট বছরের ইবাদত অপেক্ষা উত্তম। (আল হাদিস) * যে ঘরে কুকুর রয়েছে, সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না। (আল হাদীস) * দশ দিরহামের কমে মোহরানা হতে পারে না। -(আল হাদীস) * কেয়ামতের দিন কোনো কোনো মানুষের সওয়াবের পরিমাণ হবে পাহাড় সমতুল্য। তা দেখে সেই ব্যক্তি অবাক হয়ে বলবে, এত সওয়াব আমি কোথা হইতে পেলাম। তখন তাকে বলা হইবে যে, তোমার সন্তানেরা তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে, সেই কারণেই তোমার এত নেকী হয়েছে। -(আল হাদীস) * অহঙ্কারীকে আল্লাহ নীচু করে দেন এবং বিনয়ীকে আল্লাহ উঁচু করে দেন। -(আল হাদীস) * আমি উত্তম চরিত্রকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য প্রেরিত হয়েছি। (আল হাদীস) * যে ব্যক্তি ক্বদরের রাত পাওয়ার পর তাতে ইবাদত-বন্দেগী করবে, মহান আল্লাহ তার প্রতি জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেবেন। -(আল হাদীস) * যখন ঈমানদার ব্যক্তিকে কবরে রাখা হয় তখন তার নিকট মনে হবে যে সূর্য ডুবিতেছে। তার দেহে রুহ প্রবেশ করানোর পর তিনি চোখ মেলে উঠে বসবেন এবং ফেরেশতাদের বলবেন, আমাকে ছেড়ে দাও; আমি নামাজ পড়ব। -(আল হাদীস) * এই উম্মতের প্রথম কল্যাণ এবং পূণ্যময় গুণ হলো ইয়াকীন (বিশ্বাস) এবং যুহদ (সংসার বিমুখতা) আর প্রথম মহাসংকট ও ধ্বংসাত্মক দোষ হলো কৃপণতা ও দীর্ঘায়ু লাভের বাসনা। (বায়হাকী) * হে আদম সন্তান, কথা সরল ভাবে বলিও। কেননা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কথা বলা শয়তানের কাজ। কোন কোন বক্তৃতায় যাদুকরী প্রভাব থাকে। (আল হাদিস) * নিদ্রা তো মৃত্যুর সহোদর ভাই আর জান্নাতবাসীগণ মরবে না। (বায়হাকী) * যে ব্যক্তি মদীনার সাতটি আজওয়া খেজুর খালি পেটে খাবে, যাদু-মন্ত্র তার ওপর কোনো ক্রিয়া করবে না। -(বোখারী শরীফ) * যে শিক্ষার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি উদ্দেশ্য থাকে, তার দ্বারা দুনিয়াবী সুখ-সমৃদ্ধি অর্জনের চেষ্টা করলে আখেরাতে বেহেশতের গন্ধও পাবে না। (আল হাদীস) * জ্ঞানার্জনের জন্য দরকার হলে সুদূর চীন দেশে যাও। (বায়হাকী) * যে ব্যক্তি কোন জ্ঞানী ব্যক্তির একদিন সেবা করল, সে যেন অন্য লোকের সত্তর বৎসর সেবা করল। (আল হাদিস) * যে ঈমানদার ব্যক্তি মানুষের সহিত মেলামেশা করে এবং তাদের দেওয়া কষ্ট সহ্য করে, সে ঐ ব্যক্তি হইতে উত্তম, যে মানুষের সহিত মেলামেশাও করে না, তাদের দেওয়া কষ্টও সহ্য করে না। (আল হাদিস) * প্রবৃত্তি (অর্থাৎ মনের ইচ্ছা) হলো আল্লাহর নিকট সর্বাধিক ঘৃণিত অনুসরণীয়, যাকে দুনিয়াতে উপাসনা করা হয় । (আল হাদিস) * হে মানব জাতি! তোমরা মানুষকে পানাহার করাও, আত্মীয়দের সাথে সুসমপর্ক বজায় রাখ, প্রত্যেক মুসলমানকে সালাম দাও এবং রাতের সেই মুহূর্তে নামায পড় যখন সবাই ঘুমে বেঁহুশ হয়ে থাকে। এভাবে তোমরা নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (আল হাদিস) * শেষ জামানায় দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধার আধিক্য দেখা দিবে। যে সেই যুগটি পাইবে, সে যেন ক্ষুধার্তদের প্রতি অবিচার (হৃদয়হীন আচরণ) না করে। (আল হাদীস) ইউনিক বাংলা অ্যাপস © 2017 ১০ম পর্ব 1) যেখানে পরিশ্রম নেই সেখানে সাফল্য ও নেই উইলিয়াম ল্যাংলয়েড 2) রাগকে শাসন না করলে রাগই সম্পূর্ণ মানুষটিকে শাসন করে। সেফটিস বারী 3) শত্রু মরে গেলে আনন্দিত হবার কারন নেই। শত্রু সৃষ্টির কারনগুলো এখনও মরেনি। ওল পিয়ার্ট 4) শিক্ষার শেকড়ের স্বাদ তেঁতো হলেও এর ফল মিষ্টি এরিস্টটল। 5) শিয়ালের মতো একশো বছর জীবন ধারণ করার চাইতে সিংহের মতো একদিন বাঁচাও ভাল । টিপু সুলতান 6) সৎ হতে হবে অথবা সৎ লোকের অনুসন্ধান করতে হবে। ডেমিক্রিটাস 7) সত্যকে ভালবাস, কিন্তু ভুলকে ক্ষমা কর। ভলতেয়ার 8) সব লোকের ঘাড়েই মাথা আছে, কিন্তু মস্তিষ্ক আছে কিনা সেটাই প্রশ্ন। জুভেনাল 9) সবচে' জ্ঞানী ব্যক্তিটিও উত্তর জানেনা এমন হাজার প্রশ্ন করতে পারে শিশুরা । জে এবট 10) সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে যে কথা বলে সে ব্যক্তিত্বহীন । মার্ক টোয়াইন 11) সময় চলে যায়না, আমরাই চলে যাই । অস্টিন ডবসন 12) সময় দ্রুত চলে যায়, এর সদ্ব্যবহার যারা করতে পারে, তারাই সফল ও সার্থক বলে পরিচিত হয় বেকেন বাওয়ার 13) সময়ের সমুদ্রে আছি,কিন্তু একমুহূর্ত সময় নেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 14) সর্বোৎকৃষ্ট আয়না হলো একজন পুরনো বন্ধু । জর্জ হার্বাট 15) হ্যাঁ' এবং 'না' কথা দুটো সবচে' পুরনো এবং সবচে' ছোট । কিন্তু এ কথা দু'টো বলতেই সবচে' বেশি ভাবতে হয়। পীথাগোরাস Home More App From Developer 11. মহানবী (সা.) এর মহামূল্যবান বাণী পর্ব- ৯ * (আল্লাহ বলেন) মহত্ত্ব আমার পায়জামা এবং শ্রেষ্টত্ব আমার চাদরস্বরূপ। যে আমার এদুটো জিনিসে ভাগ বসাতে চায়, তাকে আমি লন্ডভন্ড করে দেই। (আবু দাউদ , ইবনে মাজাহ) * যে ব্যক্তি স্বভাবের নম্রতা হইতে বঞ্চিত হয়েছে, সে কল্যাণ হইতে বঞ্চিত হয়েছে। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি দ্বীনি / ইসলামী জ্ঞান অর্জন করে, তার সর্ব প্রকার চিন্তা-ভাবনার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তাকে অকল্পনীয় স্থান থেকে জীবিকা সরবরাহ করা হবে। (খতীব) * যারা শিশুদের কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হন। (আল হাদীস) * ঈমানদার ব্যক্তি কখনও বিদ্বেষপরায়ণ বা পরশ্রীকাতর হতে পারে না। (আল হাদীস) * ইসলামকে পূনর্জীবিত করার লক্ষে জ্ঞানার্জনেরত অবস্থায় যারা মৃত্যুবরণ করে, বেহেশতে নবীদের সাথে তাদের মাত্র একটি স্তরের ব্যবধান থাকবে। (দারেমী) * সমস্ত সৃষ্টির চাইতে যিনি আমার নিকট অধিক প্রিয় ও সম্মানিত এবং যার পবিত্র নাম আসমান, জমীন, চন্দ্র , সূর্য সৃষ্টি করার বিশ লক্ষ বছর পূর্বে আরশে মোয়াল্লায় আমার নামের পাশে লিখে রেখেছি, তিনি বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি ও তার উম্মতগণ জান্নাতে প্রবেশ না করা পযর্ন্ত অন্যদের জান্নাতে প্রবেশ হারাম। -(আল হাদীস) * (হযরত আনাস (রাঃ) বলেন) আমি সুদীর্ঘ দশ বৎসর রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর খেদমত করেছি। এই সুদীর্ঘ সময়ের মধ্যে তিনি কখনও বলেননি যে, অমুক কাজটি এভাবে করলে কেন কিংবা অমুক কাজটি করলে না কেন। (আল হাদীস) * সেই ব্যক্তি সুখী যে নিজের দোষ দেখে অন্যের দোষ অনুসন্ধান বন্ধ করে দেয়। উপার্জিত অর্থ হালাল পথে খরচ করে, জ্ঞানীদের সাথে চলাফেরা করে এবং পাপীদের থেকে দূরে সরে থাকে। (আল হাদীস) * সব আলেমের কাছে বসো না বরং এমন আলেমের সান্নিধ্যে বসো, যে পাঁচ বিষয়ের দিক থেকে অন্য পাঁচটি বিষয়ের দিকে আহ্বান করে ; যেমন (১) সন্দেহের দিক থেকে দৃঢ় বিশ্বাসের দিকে, (২) লোক দেখানোর দিক থেকে আন্তরিকতার দিকে , (৩) দুনিয়ার প্রতি মোহ থেকে দুনিয়া বিমুখতার দিকে , (৪) অহমিকার দিক থেকে বিনয়ের দিকে , (৫) শত্রুতার দিক থেকে মিত্রতার দিকে। (আল হাদিস) * কোনো বান্দা যখন আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদা করে, তখন আল্লাহ তাকে একটি সওয়াব দান করেন, তার একটি গুনাহ মাফ করে দেন এবং তাকে একটি সম্মান বৃদ্ধি প্রদান করেন। - (ইবনে মাজাহ শরীফ) * হে লোক সকল ! তোমরা গোপন শিরক থেকে বেঁচে থাক। মানুষ যখন নামাজে দন্ডায়মান হয় তখন অন্যের চোখে ভাল দেখানোর উদ্দেশ্যে খুব সুন্দর করে নামাজ পড়ে আর এটাই হলো গোপন শিরক। -(ইবনে খোজায়মাহ) * তুমি তোমার ঘরের সবাইকে নামায পড়তে বল, আল্লাহ তোমাকে কল্পনাতীত স্থান থেকে জীবিকা দান করবেন । (আল হাদীস) * মানুষ বলে ‘আমার ধন, আমার সম্পদ’ অথচ তোমার অংশ তো ততটুকুই যতটুকু তুমি খেয়ে শেষ করে ফেল অথবা পরিধান করে পুরনো করে ফেল অথবা দান করে পরপারে পাঠিয়ে দাও। এতদ্ব্যতিত যা কিছু আছে তা তোমার হাত থেকে চলে যাবে অন্যের কব্জায়। (তিরমিযী) * তোমরা বিয়ের প্রচারণা করবে, বিবাহকার্য মসজিদে সম্পন্ন করবে। - (মেশকাত শরীফ) * বেহেশতে কারও সন্তানের আকাঙখা হলে গর্ভধারণ, প্রসব ও সন্তানের দৈহিক বৃদ্ধি, সবই এক মুহূর্তের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় একশ’ বার করে “সোবহান্নাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী” পাঠ করে, তার গোনাহ্‌ মাফ করা হবে যদিও তা সমুদ্রের ঢেউ অপেক্ষাও বেশী হয়। -(আল হাদিস) * যারা আল্লাহ ব্যতিত অন্য কিছুর নামে কসম করে তারা অবশ্যই আল্লাহর সাথে শরীক করে। (তিরমিযী শরীফ) * গুনাহ নেই এমন কোন লোক নেই। কিন্তু যাহার জ্ঞানবুদ্ধি প্রখর এবং বিশ্বাস স্বভাবগত, গুণাহ তার কোন ক্ষতি করতে পারে না। কেননা সে গুণাহ করা মাত্র তার মধ্যে অনুশোচনা আসে, ফলে সে তওবা করে গুনাহর ক্ষতিপুরণ করে নেয়। তাতে তার সওয়াব অবশিষ্ট থাকে বলে সে বেহেশতী হয়। (আল হাদিস) * কাফেরদেরকে পদব্রজে হাঁকিয়ে হাশরের ময়দানে একত্রিত করা হবে আর ঈমানদারদেরকে উৎকৃষ্ট উটের পিঠে চড়িয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির করা হবে। রোজ কেয়ামতে আল্লাহ পাক ফেরেশতাদের নির্দেশ দিবেন, “হে ফেরেশতাগণ ! আমার প্রিয় বান্দাদেরকে পায়ে হাঁটিয়ে আমার নিকট উপস্থিত করো না, বরং উৎকৃষ্ট উটের পিঠে চড়িয়ে তাদেরকে আমার নিকট হাজির করো। কেননা পৃথিবীতে আরোহণ করা তাদের সহজাত স্বভাব ছিল। সর্বপ্রথম পিতার ঔরসে, অতঃপর মাতৃজঠরে অনততপক্ষে ছয়মাস তারা আরোহণ করেছে। জন্মের পর স্তন্যপানের সময় দু’বছর মায়ের কোলে ও পিতার কাঁধে চড়ে কাটিয়েছে। তারপর পৃথিবীতে জলে-স'লে নৌকা, গাধা, ঘোড়া ও খচচরে চড়ে ভ্রমণ করেছে। তাছাড়া মৃত্যুর পরও স্বীয় ভ্রাতার কাঁধে চড়ে কবরে পৌঁছেছিল। অতএব হাশরের মাঠেও তাদেরকে পায়ে হাঁটিয়ে চালিও না। কেননা তারা হাঁটতে অভ্যস্থ ছিল না। এই কাজে তাদের জন্যে উট অথবা কোরবাণীর পশুর ব্যবস্থা কর। - (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি ফরজ নামায ব্যতিত দিবা-রাত্রের মধ্যে অতিরিক্ত বার রাকাত নামায আদায় করবে, তার জন্য বেহেশতে একটি গৃহ নির্মিত হবে। -(মুসলিম শরীফ) * মেরাজের রাত্রে আমি এমন লোকদের নিকট দিয়ে যাচিছলাম, যাদের ঠোঁট আগুনের কাঁচি দিয়ে কাটা হচিছল । আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তোমরা কারা ? তারা বলল, আমরা অন্যদের সৎকাজ করতে বলতাম, অথচ নিজেরা তা করতাম না। অন্যদের অসৎ কাজ করতে নিষেধ করতাম কিন্তু নিজেরা তাতে লিপ্ত হতাম। (আল হাদিস) * হে লোক সকল ! আমি তোমাদের জন্য দু’টি জিনিস রেখে যাচিছ, যতদিন তোমরা এই দুটোকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না, আর তা হলো আল্লাহর কোরআন এবং আমার সুন্নাহ। (আল হাদীস) * আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় আমল সেটাই যা নিয়মিত আদায় করা হয়, যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়ে থাকে। (আল হাদিস) * এমন গুনাহ থেকেও বিরত থাকতে সচেষ্ট হও যাকে ছোট ও নগণ্য মনে করা হয়ে থাকে। কেননা, ইহার জন্যও আল্লাহর তরফ থেকে পাকড়াও করা হবে। (নাসায়ী , ইবনে মাজাহ) * বেহেশতে আল্লাহ এমন সব নেয়ামত রেখেছেন যা কোন চক্ষু দেখেনি, কোন কান শ্রবণ করেনি এবং মস্তিষ্ক তা কল্পনাও করেনি। তন্মধ্যে একটি নেয়ামত হলো আল্লাহর দর্শন লাভ। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করে, যদিও তা একটি ক্ষুদ্র পাখির বাসার মত হয়, আল্লাহ বেহেশতে একটি মহল তৈরী করবেন। (আল হাদিস) * শয়তান কখনও কখনও জ্ঞানের মাধ্যমেই তোমাদের ওপর আধিপত্য বিসতার করবে। জিজ্ঞাসা করা হলো, ইয়া রাসুলুল্লাহ (দঃ) ! তা কেমন করে ? তিনি বললেন, শয়তান বলবে, জ্ঞান অর্জন করো এবং জ্ঞানার্জন সমাপ্ত না হওয়া পযর্ন্ত আমল করো না। ফলে মানুষ এলেম নিয়ে ব্যস্ত থাকবে কিন্তু আমলে বাহানা করবে। শেষ পযর্ন্ত আমলশূণ্য অবস্থায়ই তার মৃত্যু এসে যাবে। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি মৃত্যুর সময়ে পবিত্র অনতঃকরণে (আল্লাহ ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই) বলবে সে জান্নাতে যাবে। -(আল হাদীস) * তোমরা সেই মৎস আহার কর যা সাগর থেকে নিক্ষিপ্ত হয় কিংবা সাগরের পানি নেমে গেলে ধরা পড়ে। আর সেই মৎস আহার করোনা যা সাগরের পানিতে মরে ভেসে ওঠে। (আল হাদিস) ইউনিক বাংলা অ্যাপস © 2017 12. মহানবী (সা.) এর মহামূল্যবান বাণী পর্ব- ১০ * মৃত্যুর ফেরেশতা যখন আল্লাহর কোনো প্রিয় বান্দার নিকট আসেন তখন প্রথমে তাকে সালাম করেন এবং বলেন---হে আল্লাহর বন্ধু ! তোমাকে সালাম। সেই ঘর থেকে বেরিয়ে এসো যাকে তুমি ধ্বংস করেছ এবং সেই ঘরের দিকে চল যাকে তুমি যত্নের সাথে গড়েছ। -(আল হাদীস) * কেয়ামতের দিন মানুষ তিনটি দলে বিভক্ত হবে। একদল উদরপূর্তি এবং পোষাক পরিহিত অবস্থায় বাহনে আরোহণ করে হাশরের ময়দানে আসবে। দ্বিতীয় দল আসবে পায়ে হেঁটে এবং তৃতীয় দলকে উপুড় অবস্থায় পা ধরে টেনে-হিঁচড়ে ময়দানে আনা হবে। (আল হাদিস) * ফজরের দু’রাকাত সুন্নাত নামায দুনিয়া ও তার মধ্যকার যা কিছূ আছে, তা হতে উত্তম। - (মুসলিম শরীফ) * মদীনা মানুষের পঙ্কিলতাকে দূর করে দেয় যেভাবে কামারের ফাপর দূর করে লোহার মরিচাকে। -(বোখারী শরীফ) * একজনের অপরাধের জন্য অন্যকে শাস্তি দেওয়া যায় না। এখন থেকে পিতার অপরাধের জন্য পুত্রকে আর পুত্রের অপরাধের জন্য পিতাকে দায়ী করা যাবে না। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি স্বেচছায় নামায ছেড়ে দিল সে কাফের হয়ে গেল। (আল হাদিস) * সর্বনিকৃষ্ট আলেম হলো সে যে শাসকদের কাছে আসা-যাওয়া করে আর সর্বোৎকৃষ্ট শাসক সে যে আলেমদের নিকট আসা-যাওয়া করে । (আল হাদিস) * মকবুল হজ্জের পুরস্কার জান্নাত ভিন্ন কিছুই নয়। -(আল হাদীস) * তুমি তোমার নিজ বিবেক থেকে ফতোয়া গ্রহন কর যদিও মানুষ তোমাকে ফতোয়া দিক না কেন ? (আল হাদিস) * মানুষ কখনও কখনও কোন ভাল কথা বলে যাতে আল্লাহ তা’আলা খুবই সন্তুষ্ট হন। অথচ সে হাল্কা বিষয় মনে করেই কথাটি বলে এবং জানতেও পারে না যে, ইহার সওয়াব এত সুদূর প্রসারী যে আল্লাহ তা’আলা তার জন্য কেয়ামত পযর্ন্ত স্থায়ী সন্তুষ্টি লিখে দেন। তেমনিভাবে আল্লাহর অসন্তুষ্টিমুলক কথাও অনেক সময় মানুষ হালকা মনে করে বলে থাকে। অথচ সে ধারণাও করতে পারে না যে, ইহার পরিণাম এত ভয়ঙ্কর হতে পারে যে আল্লাহ তা’আলা কেয়ামত পযর্ন্ত স্থায়ী অসন্তুষ্টি লিখে দেন । (মুুসনাদে আহমদ) * একজন নিন্মশ্রেনীর জান্নাতবাসীকেও আশি হাজার খাদেম এবং বাহাত্তর জন সত্রী দেওয়া হবে। তার জন্যে গম্বুজ আকৃতির ছাউনি স্থাপন করা হবে যা মনি-মুক্তা হীরা ও ইয়াকুত দ্বারা নির্মিত। সেই ছাউনির প্রশস'তা হবে জাবিয়া হতে শান্‌আর মধ্যবর্তী দূরত্বের সমান। জান্নাতবাসীদের মস্তকে এমন মুকুট পরানো হবে যার সামান্য একটা মুক্তা দুনিয়ার পূর্ব প্রানত হতে পশ্চিম প্রানত পযর্ন্ত আলোকিত করে ফেলবে। -(আল হাদীস) * তোমরা খ্রীস্টান এবং ইহুদীদেরকে সালাম দিও কিন্তু আমারা উম্মতের ইহুদীদেরকে সালাম দিও না। সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলেন, “ইয়া রাসুলুল্লাহ ! আপনার উম্মতের ইহুদী কারা ?’’ জবাবে নবী করীম (দঃ) বললেন, “যারা আজান শুনেও জামায়াতে উপস্থিত হলো না, তারা আমার উম্মতের ইহুদী। যে ব্যক্তি জামায়াত ত্যাগকারীকে সামান্য খাদ্য দিয়ে সাহায্য করল, সে যেন নবীদের হত্যাকান্ডে সহায়তা করল। সে মৃত্যুবরণ করলে তাকে গোসল , জানাযা এবং মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করো না। এমনকি জামায়াত বর্জনকারী একাই যদি সমস্ত উম্মতের সমতুল্য নামায পড়ে, সকল আসমানী কিতাব পাঠ করে, সারা বছর রোজা রাখে এবং সমস্ত উম্মতের সমতুল্য দান-খয়রাত করে, তবু সে জান্নাতের গন্ধ থেকেও বঞ্চিত হবে। আল্লাহ পাক জীবিত কিংবা মৃত কোন অবস্থায়ই তার দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না। -(আল হাদীস) * যে ব্যক্তি ক্বদরের রাত্রে চার রাকাত নামায আদায় করবে এবং তার প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার পর একুশ বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর ন্যায় নিষপাপ করে দেবেন। -(আল হাদীস) * যে ব্যক্তি রোজাদার অবস্থায় মারা যাবে আল্লাহ তাকে ঐ দিন থেকে কেয়ামত পযর্ন্ত রোজার সওয়াব দান করবেন। -(আল হাদীস) * একদা নবী করীম (দঃ) ভাষণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে মিম্বরে ওঠে দেখতে পেলেন যে, হাসান ও হোসাইন (রাঃ) ছুটাছুটি করছেন এবং ক্ষণে ক্ষণে আছাড় খেয়ে পড়ে যাচেছন। তিনি ভাষণ দেওয়া স'গিত রেখে মিম্বর থেকে নেমে শিশু দু’টির দিকে এগিয়ে গেলেন এবং তাদেরকে দু’হাতে উঠিয়ে নিলেন। তারপর মিম্বরে আরোহণ করে বললেন - হে লোক সকল, তোমাদের ধন-সমপদ এক পরীক্ষার বস্তু, আল্লাহর এ বাণী অতীব সত্য। আল্লাহর কসম , আমি আমার এই দুই নাতিকে দৌড়াদৌড়ি আর আছাড় খেয়ে পড়ে যেতে দেখে নিজেকে সংবরণ করতে পারলাম না, তাই দৌড়ে গিয়ে এদের তুলে আনলাম। -(মুসলিম শরীফ) * যে ব্যক্তি বিনা দাওয়াতে ভোজ অনুষ্টানে যোগ দেয়, সে চোররূপে প্রবেশ করে এবং ডাকাতরূপে প্রত্যাবর্তন করে। -(আবু দাউদ শরীফ) * পরনিন্দা ব্যভিচার অপেক্ষাও মারাত্মক গোনাহ। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কিভাবে হতে পারে ? রাসুলুল্লাহ (দঃ) বললেন, ব্যভিচার করার পর তওবা করলে তার গোনাহ মাফ হয়ে যায় অথচ গীবত করার পর যার গীবত করা হয়েছে, সে মাফ না করা পযর্ন্ত তার গোনাহ মাফ হয় না। (আল হাদিস) * মৃত্যু বিনা মূল্যে পাওয়া বস্তু আর পাপাচার হলো বিপদ। দরিদ্রতা হলো শানিত আর ধনী হওয়া হলো শাস্তি। জ্ঞান হলো উপহার এবং মূর্খতা হলো অন্ধকার। অত্যাচার লজ্জাদানকারী আর ইবাদত চোখের প্রশানিত। আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তি আর অত্যধিক হাসি হলো শরীরের জন্য পীড়া। পাপের অনুশোচনাকারী হলো ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে পাপই করেনি। -(আল হাদীস) * যদি কোন মুসলমানের মৃত্যু হয় এবং তার জানাযায় এমন চল্লিশ জন লোক অংশ নেয় যারা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে না, তবে আল্লাহ পাক মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে তাদের সুপারিশ কবুল করেন। (আল হাদিস) * একজন বয়োজেষ্ট-প্রবীন লোক তার সমপ্রদায়ের মধ্যে এমন, স্বয়ং নবী তার উম্মতের জন্য যেমন। (আল হাদিস) * রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর সাথে আমরা কথা বলতাম এবং তিনি আমাদের সাথে কথা বলতেন, কিন্তু নামাযের সময় উপস্থিত হলে তিনি যেন আমাদেরকে চিনতেন না এবং আমরাও তাঁকে চিন্তাম না। (আল হাদিস) * মুসলমান অবস্থায় যার চুল সাদা হয়েছে, কেয়ামতের দিন সেই চুল তার জন্য নূর হবে। (আল হাদিস) * যে কেউ জুমআর দিনে আশিবার দরূদ শরীফ পাঠ করবে, আল্লাহ তার আশি বছরের গুলাহ মাফ করে দেবেন। (আল হাদিস) * বিবেকহীন মানুষ অজ্ঞতার কারণে স্বভাবগত পাপাচারীর চেয়েও বেশী পাপ করে ফেলে। বিবেক মানুষকে সৎপথ প্রদর্শন করে এবং বিনাশ হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখে। কারো বিবেক পূর্ণ না হওয়া পযর্ন্ত তার ঈমান পূর্ণ হয় না এবং দ্বীন যথার্থ হয় না। প্রত্যেক জিনিসেরই একটি ভিত্তি থাকে, ঈমানদারের ভিত্তি হলো তার বিবেক। (আল হাদিস) * কোনো বান্দা যদি কখনও কোন গুনাহ্‌ করে ফেলে, তবে সে যেন সাথে সাথে অজু করে দু’রাকাত নফল নামায আদায় করে এবং তওবা করে; এতে হয়ত আল্লাহ পাক তার গুনাহ্‌ মাফ করে দেবেন। -(তিরমিযী) * খবরদার ! কোন পরপুরুষই যেন কোন পরনারীর সহিত একাকী অবস্থান না করে। কারণ, যখনই কোন পুরুষ কোন মহিলার সাথে নির্জনে একত্রিত হয়, তখনই শয়তান হয় তাদের তৃতীয়জন এবং তাদের পিছূ নেয়। (আল হাদিস) * পরিচছন্নতা ঈমানের অর্ধেক। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি তার অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী কর্ম করে আল্লাহ তখন তাকে সে সব জ্ঞানও শিখিয়ে দেন যা সে শেখেনি। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি জোহরের ফরজ নামাযের পূর্বে চার রাকাত নামায আদায় করবে তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায়। -(আবু দাউদ) ইউনিক বাংলা অ্যাপস © 2017 13. মহানবী (সা.) এর মহামূল্যবান বাণী পর্ব- ১১ * নাময ত কেবল নিরাশ্রয়তা, অসহায়তা ও কাকুতি-মিনতি ছাড়া অন্য কিছুই নয়। মানুষ তার নামাযের ঠিক ততটুকুই পাবে, যতটুকু সে বুঝে। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তির সর্বশেষ বাক্য “আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নাই’’ হবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। -(আবু দাউদ) * একজন যুবতী মেয়ে রাসুলুল্লাহ (দঃ)-এর দরবারে এসে উপস্থিত হয়ে নালিশ করল যে, আমার পিতা আমাকে জোরপূর্বক এক ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছে যেই ছেলেকে আমি পছন্দ করি না। একথা শুনে রাসুলুল্লাহ (দঃ) বললেন ঃ তুমি ইচেছ করলে এই বিয়ে বহাল রাখতে পারো আবার ভেঙ্গেও দিতে পারো। -(আবু দাউদ শরীফ) * অনেক রোজাদার আছে এমন রোজার দ্বারা যাদের ক্ষুধা-তৃষ্ণার কষ্ট ছাড়া আর কোন লাভ হয় না। (আল হাদিস) * জামাতে নামায পড়া একাকী নামাযের তুলনায় সাতাইশ গুণ বেশী সওয়াবের। -(আল হাদিস) * যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর আয়াতুল করসী পাঠ করবে, তার এবং জান্নাতের মধ্যে একমাত্র পর্দা হলো মৃত্যু। -(আল হাদীস) * যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ্জ করল, হজ্জ পালনকালীন সময়ে কামাচার ও পাপাচার থেকে বিরত থাকল, সে নবজাত শিশুর ন্যায় নিষপাপ হয়ে ফিরবে। -(আল হাদীস) * হে মুসলমানগণ ! জুমু’আর দিনকে আল্লাহ্‌ পাক তোমাদের জন্য ঈদের দিন ধার্য করেছেন। অতএব এদিন তোমরা গোশল করবে, অবশ্যই মেসওয়াক করবে এবং সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করবে। -(আল হাদিস) * অহঙ্কারী, স্বৈরাচারীদের কেয়ামতের দিন ক্ষুদ্র পিপঁড়ার আকৃতিতে উঠানো হবে এবং লোকেরা তাদেরকে পায়ের তলায় পিষ্ট করবে। চারিদিক থেকে তাদের ওপর কেবল অপমান আর লাঞ্ছনাই আসতে থাকবে। -তিরমিজী * হে ওমর ! তোমার তখনকার অবস্থা সম্পর্কে তুমি কি মনে কর, যখন তুমি মৃত্যুবরণ করবে এবং তোমার আত্মীয়-স্বজন তোমার জন্য চার হাত লম্বা ও আড়াই হাত প্রস' কবর খনন করে তোমাকে গোসল করিয়ে কাফন পরিয়ে সেই কবরের মধ্যে রেখে তোমার উপর মাটিচাপা দিয়ে প্রত্যেকে যার যার বাড়ি ফিরে আসবে এবং তৎক্ষণাৎ তোমার কবরে মুনকার-নকীর নামক ভয়ঙ্কর চেহারার দুই ফেরেশতা এসে হাজির হবে। তাদের আওয়াজ হবে সহস্র বজ্রসম ভয়ঙ্কর, চক্ষুদ্বয় বিজলীর ন্যায় ভয়ানক উজ্জ্বল। তাদের ঘনকৃষ্ণ ও রুক্ষ কেশরাশি হবে মৃত্তিকা পযর্ন্ত বিক্ষিপ্ত, লম্বা লম্বা সুতীক্ষ্ম দনতপাটির দ্বারা কবরের মাটি লন্ডভন্ড করতে করতে এসে তোমাকে হাতের ওপর নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে নানাবিধ প্রশ্ন করতে থাকবে। হযরত ওমর (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (দঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলেন ঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ (দঃ) ! আমার বুদ্ধিশুদ্ধি কি তখন ঠিক থাকবে ? তিনি বললেন ঃ হ্যাঁ, তোমার বুদ্ধি ঠিক থাকবে। হযরত ওমর (রাঃ) বললেন ঃ তাহলে আমার ভয়ের কিছূ নাই। আমি তাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে দিব। (আল হাদিস) * তোমাদের কারও পক্ষেই আল্লাহর সম্পর্কে সুধারণা পোষণ ব্যতিত মৃত্যুবরণ করা উচিত নয়। (আল্লাহ বলেন) আমি আমার বান্দার সাথে তেমন ব্যবহার করি আমার সম্পর্কে সে যেমন ধারণা রাখে। (আল হাদিস) * ঈমানদার ব্যক্তির মৃত্যুর পর জমীন চল্লিশ দিন পযর্ন্ত ক্রন্দন করে থাকে। -(আল হাদীস) * তোমাদের মধ্যে কেউ হজ্জ করতে বাধাগ্রস' হলে সে কাবা শরীফের তাওয়াফ ও সাফা মারওয়া সাঈ করবে। অতঃপর সবকিছু থেকে মুক্ত হয়ে পরের বছর হজ্জ করবে। সে কোরবানী করবে কিংবা কোরবানীর পশু না পেলে রোজা রাখবে। -(আল হাদীস) * জুমু’আর নামাযের জন্য পায়ে হেটে গেলে প্রতি পদক্ষেপে এক বছর নফল রোজার সওয়াব পাওয়া যায়। -(তিরমিযী শরীফ) * যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজ থেকে বিরত থাকে, সে তার ধর্মকে রক্ষা করে। আর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত হয়, পরিণামে সে হারাম কাজে জড়িয়ে পড়ে। (আল হাদিস) * কোন ব্যক্তি কেবলমাত্র তার পূণ্যের জোরে বেহেশতে যেতে পারবে না যদি না আল্লাহর অনুগ্রহ হয়। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন ঃ আপনিও কি ? রাসুলু্‌ল্লাহ (দঃ) বললেন ঃ হ্যাঁ , আমিও। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি ফজরের নামায আদায়ের পর সূর্যোদয় পযর্ন্ত আল্লাহর জিকিরে মশগুল থেকে সূর্যোদয়ের পর দু’রাকাত (এশরাকের) নামায আদায় করবে, সে ব্যক্তি একটি হজ্জ ও ওমরার সওয়াব লাভ করবে। -(তিবরানী শরীফ) * যে মুসলমান আমার ইনেতকালের পরে আমার রওজা জিয়ারত করবে সে তদ্রুপই বরকত পাইবে যদ্রুপ আমার জীবিত অবস্থায় আমার সাথে সাক্ষাত করিলে পাইত। (আল হাদিস) *আমি তোমাদের জন্য দু'টি জিনিষ রেখেগেলাম । যতদিন তোমরা এ দু'টি জিনিসকে আকড়ে রাখবে ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না । একটি হল আল্লাহর কিতাব অর্থাৎ কোরআন আর অপরটি হল আমার সুন্নাহ অর্থাৎ হাদীস । * চরিত্রের মধ্যে যদি সত্যের শিখা দীপ্ত না হয় তবে জ্ঞান, গৌরব, আভিজাতা শক্তি সবই বৃথা * যা পচে গেছে, যা মরে গেছে তাকে সিল্কের কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখলে লাভ কি ? তাতে আর নবজিবন আসবে না । আজ যাতে জীবন নেই যাতে গেছে জীবনের স্পন্দন তা যেমন নিজেকে চালাতে পারেনা, অপরকেও চালাতে পারে না । তেমন জিনিস যদি আমাদের অতি প্রিয় জিনিসও হয় তাকে কবর দিয়ে আমাদের এগিয়ে চলতে হবে; জীন মানে এগিয়ে চলা * আদর্শ হচ্ছে এমনি এক প্রহরী যা মানুষকে সৎপথে চলতে শেখায় * আদর্শবান লোকদের বন্দুর সংখ্যা কম থাকে * মিখ্যা বলা যাদের অভ্যাস, তারা নিত্য নতুন বিষয়ের অবতারণা করতে পারে র কী অদ্ভুত রীতি । শুড়ি দোকন জোঁকে বসে থাকে আর দুনিয়ার লোক তার দাকানে গিয়ে মদ কিনে । ওদিকে দেখ, দুধওয়ালাকে ঘরে ঘরে ধন্না দিয়ে বেচতে হয় *তব্যসাধনে ও কথাবার্তায়া যখনই নিজের ত্রুটি দেখিতে পাইবে স্বীকার করিও । উন্নতির পথে আবর্জনা জন্মিতে দিও না *নিজের বিপদের কথা শত্রুকে বলো না, সে মুখে দুঃখ প্রকাশ করবে আর অন্তরে উল্লাস বোধ করবে নকে কলঙ্কিত কর কোন ক্ষতি নেই, আল্লাহকে ডাকলেই সকল পাপ ধুয়ে যাবে । এটা যে মিথ্যা একথা সকলেই বিশ্বাস করো *একটি ফুল দিয়ে কখনো মালা গাঁথা যায় না, তেমনি একটি ভাল কাজ করে জীবকে সুন্দর করা যায় না *প্রার্থনায় মন সামলাও, মজলিসে বাক্য সামলাও, ক্রোধে হাত সামলাও, আহারে পেট সামলাও *আত্মার সাত্বিক কাছে জড়দেহের ভোগ, সুখের মূল্য কিছুই না যত দিন না মানুষ পরকে সুখ দিতে আনন্দ বোধ করবে ; তত দিন তার যথার্থ কল্যণ নাই * যে তার গোপনীয় কথা ভৃত্যকে বলে, সে ভৃত্যকে প্রভুতে রুপান্তরিত করে * নামে মানুষকে বড়ো করেনা, মানুষই নামকে জাকাইয়া তোলে । মন্দ কজ করিলেই মানুষের বদনাম হয়, ভাল কাজ করিলেই মানুষের সুনাম হয় । বাবা কেবল একটা নামই দিতে পারে কিন্তু ভাল নাম কিংবা মন্দ নাম সে নিজেই দেয় *পাঁচটি ঘটনার পূর্বে পাঁচটি জিনিস মূল্যবান জ্ঞান করিবেঃ তোমর বৃদ্ধ বয়সের পূর্বে তোমার যৌবনকে, ব্যাধির পূর্বে স্বাস্থ্যকে, দ্রারিদ্রোর পূর্বে সচ্চলতাকে, কর্মব্যস্ততার পূর্বে অবসরকে এবং মৃত্যুর পূর্বে জীবনকে ইউনিক বাংলা অ্যাপস © 2017 14. মহানবী (সা.) এর মহামূল্যবান বাণী পর্ব- ১২ * হে মুসলিম নারীগণ ! কোনো নারী যেন তার প্রতিবেশী নারীকে উপহার দেওয়াকে তুচছ মনে না করে, যদিও তা একটি বকরীর খুর হোক না কেন । (বোখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ) * আমার উম্মতের মধ্যকার যারা ভাগ্যে বিশ্বাস করে না, তারা অগ্নিপূজক সমতুল্য। এদের কেউ অসুস্থ হলে তোমরা তাদের দেখতে যাবে না । এদের কেউ মৃত্যুবরণ করলে তাদের জানাযায় যাবে না । – আল হাদীস * নিশ্চয়ই মানুষের শরীরে এমন একটি অংশ আছে যা পবিত্র থাকলে গোটা দেহটাই সুস্থ থাকে আর তা কলুষিত হলে গোটা দেহটাই অসুস্থ হয়ে পড়ে । জেনে রেখো তার নাম হলো অন-করণ। – আল হাদীস * যে রাতে আমাকে উর্ধ্ব ভ্রমণ করানো হলো সে রাতেই আমি জান্নাত পরিদর্শন করেছিলাম । জান্নাতে আমি চারটি নদী দেখেছিলাম যার একটি পানির , একটি দুধের , একটি পবিত্র শরাবের এবং একটি মধুর। – আল হাদীস * আল্লাহর কসম, সেই ব্যক্তি ঈমানদার নয় । (এভাবে তিনবার বললেন) জিজ্ঞেস করা হলো- হে আল্লাহর রাসুল (দঃ) , কে ঈমানদার নয় ? তিনি বললেন, সেই ব্যক্তি যার অত্যাচার থেকে প্রতিবেশীরাও রেহাই পায় না । – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ) * আল্লাহ জ্ঞানকে মানুষের নিকট হইতে বলপূর্বক কেড়ে নিবেন না বরং জ্ঞানীদেরকে উঠিয়ে নিয়ে জ্ঞানকে উঠিয়ে নিবেন । যখন পৃথিবীতে কোন জ্ঞানী ব্যক্তি থাকবে না , তখন মানুষেরা মূর্খদেরকে নিজেদের নেতা নিযুক্ত করবে এবং তাদের নিকটই সব কিছু জানতে চাইবে । তারা অজ্ঞতার কারণে ভুল ফতোয়া দিয়ে নিজেরাও পথভ্রষ্ট হবে এবং অপরকেও পথভ্রষ্ট করবে । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ) * কেউ কোন সমপদের মালিক হলে বছরানেত তার উপর যাকাত ফরজ হবে । যাকাত ছাড়াও দেয় আছে । (তিরমিযী , মুসলিম) * আমি যদি মানুষকে নির্দেশ দিতাম কাউকে সেজদা করার জন্য তাহলে অবশ্যই স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সেজদা করার জন্য । – আল হাদীস (তিরমিযী) তোমরা শিশুদের ভালবাস এবং তাদের প্রতি মমতা প্রদর্শন কর। তাদেরকে কোনো প্রতিশ্রুতি দিলে তা পূরণ কর। কেননা তারা তোমাদেরকে তাদের রিজিকদাতা মনে করে থাকে । – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ) * এক মজলিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন , যে ব্যক্তির অনতরে সরিষার দানা পরিমাণ অহঙ্কার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না । এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলেন , “ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ! আমি পরিচছন্ন জামা-জুতো পরিধান করতে পছন্দ করি । এটাও কি অহঙ্কারের পর্যায়ে পড়ে ”? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন , “ না । আল্লাহ সুন্দর , তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন এবং বান্দাদের যে নেয়ামত দান করেছেন , তার কিছূটা বহিঃপ্রকাশও তিনি দেখতে চান । সমপদ থাকা সত্ত্বেও হত-দরিদ্রের বেশ ধরে থাকাকে তিনি পছন্দ করেন না । প্রকৃতপক্ষে অহঙ্কার হলো অন্যকে তুচছ জ্ঞান করা । যে ব্যক্তি নিজ হাতে জুতা পরিস্কার করে , প্রয়োজনে নিজের পোষাকে তালি লাগায় এবং সময়মত আল্লাহকে সেজদা করে , (ধরে নেওয়া যায়) সে অহঙ্কার থেকে মুক্ত । (আল হাদীস) * কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পযর্ন্ত ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পযর্ন্ত না সে চারটি বিষয়ের প্রতি ঈমান আনবে। যথা-(১) আল্লাহ ব্যতিত কোন উপাস্য নেই- বলে সাক্ষ্য দেওয়া এবং ঘোষণা করা। (২) আমি যে আল্লাহর রাসুল এবং তিনি আমাকে সত্যসহ প্রেরন করেছেন । (৩) মৃত্যু এবং পুনঃরুত্থানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। (৪) তকদীরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। – আল হাদীস * সবচেয়ে বড় মিথ্যা হলো কোনো ব্যক্তির এমন বস্তু প্রদর্শন করা যা তার চক্ষুদ্বয় দর্শন করেনি। — আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ) * যে ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান অন্বেষণে লিপ্ত থাকে , আল্লাহ স্বয়ং তার জীবিকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন । (কানযুল উম্মাল) * হে লোকেরা ! বাকশক্তিহীন প্রাণীদের সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় কর। (আল হাদীস) * তোমাদের কেহ পূর্ণ মোমিন হতে পারবে না যে পর্যন- না সে নিজের ভাইয়ের জন্য তাই পছদে করবে , যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে। (- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)) * যদি এমন কারো উপরে তোমাদের দৃষ্টি পড়ে যে সম্পদ এবং সৌন্দর্যের দিক থেকে তোমাদের চাইতে শ্রেষ্ট তাহলে সে যেন এমন ব্যক্তির দিকে দৃষ্টিপাত করে যে এই বিষয়ে তার চাইতে নিকৃষ্ট । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ) কেউ যদি একটি গাছের চারা লাগায় আর তা থেকে কোন মানুষ বা অন্য কোন সৃষ্টজীব কিছু খায় তবে তা সেই ব্যক্তির জন্য দান হিসাবে গণ্য হবে । (আল হাদিস) * জ্ঞান হলো কর্মের নেতা এবং কর্ম হলো জ্ঞানের অনুসারী । (মিনহাজুল আবেদীন) * ব্যভিচারী ব্যক্তি যখন ব্যভিচার করে তখন সে ঈমানদার থাকে না , চোর যখন চুরি করে তখন সে ঈমানদার থাকে না , মদ্যপ যখন মদ পান কবে তখন সে ঈমানদার থাকে না । (বোখারী ,মুসলিম ) * প্রতিটি বিষয়ই ভাগ্যলিপি অনুযায়ী সংঘটিত হয়ে থাকে , এমনকি অক্ষমতা এবং বুদ্ধিমত্তাও । (মেশকাত) * তোমাদেব কেউ যেন নিজের স্ত্রীকে ভৃত্যের ন্যায় প্রহার না কবে। কারণ দিনের শেষে সে তো আবার সেই স্ত্রীর সাথেই সঙ্গম করবে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ) * দুনিয়া ধ্বংস প্রাপ্ত হবে না যে পযর্ন্ত না আমার খান্দানের এক ব্যক্তি সমগ্র আরব ভূ-খন্ডের অধিপতি না হবে। তাঁর নাম হবে আমার নামে। — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ) * তোমরা কবরের নিকট আসা-যাওয়া করিও । এদ্বারা হিংসা রোগ দূর হয়ে যায় এবং বিরাট উপদেশ লাভ হয় । – আল হাদীস * তোমরা দু’টি অভিশাপযোগ্য কাজ থেকে দূরে থাকবে, যথা- লোকের চলাচলের রাস্থায় এবং গাছের ছায়ায় বিশ্রাম গ্রহণের স্থানে মল-মুত্র ত্যাগ করা। – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ) * প্রকৃত সম্পদশালীতা ধন-সম্পদের প্রাচুর্যে উপর নির্ভরশীল নয় বরং প্রকৃত ধনাঢ্যতা হলো অন-রের বড়ত্ব। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ) * তুমি মোমিন ব্যতিত কারো সঙ্গ লাভ করো না এবং তোমাদের নিমন্ত্রণের খাবার যেন ধার্মিক লোক ভিন্ন কেহ আহার না করে। – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ) * আল্লাহর নিকট বৈধ কাজসমূহের মধ্যে তালাক হইল সর্বাপেক্ষা ঘৃণ্য। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ) * নবী করীম (দঃ)-এর নেতৃত্বাধীন কোন যুদ্ধে এক মহিলাকে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেল। এতে নবী করীম (দঃ) খুবই মর্মাহত হলেন এবং নারী ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করে দিলেন । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ) * কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর সময় যদি তার কপাল ঘর্ম সিক্ত হয় , চক্ষু থেকে অশ্রু বের হয় এবং নাকের ছিদ্র প্রসারিত হয় , তবে তা রহমতের লক্ষণ। পক্ষান্তরে গলা থেকে যদি উটের গলা টিপার ন্যায় আওয়াজ আসতে থাকে এবং চেহারা মলিন হয়ে মুখ থেকে ফেনা বের হতে থাকে , তবে তা আজাবের লক্ষণ। – আল হাদীস * যে ব্যক্তি ঋতুস্রাব অবস্থায় স্ত্রীসহবাস করল , স্ত্রীর গুহ্যদ্বারে সহবাস করল কিংবা কোন জ্যোতিষীর কাছে গেল , সে মোহাম্মদ (সাঃ) এর ধর্মকে অস্বীকার করল । – আল হাদীস (তিরমিযী) * কেয়ামতের দিন তোমাদের কেউ যেন এই অবস্থায় আমার নিকট না আসে যে তার ছাগল তার ঘাড়ের ওপর চাপানো থাকবে আর তা ভ্যাঁ ভ্যাঁ করতে থাকবে এবং সে আমাকে (সাহায্যের জন্য) ডাকতে থাকবে। আমি বলবো , তোমার জন্য আজ আমি কিছুই করতে পারবো না । আমি তো আল্লাহর আদেশ-নির্দেশ তোমাকে পৌছে দিয়েছিলাম । – আল হাদীস * আমি সুদীর্ঘ দশ বৎসর রাসুলুল্লাহ (দঃ)-এর সেবা করেছি। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি একদিনও আমাকে বলেননি যে একাজটি কেন করলে বা ঐকাজটি কেন করলে না । (আল হাদীস) * আকাশ এবং পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বৎসর পূর্বেই আল্লাহ সকল সৃষ্টজীবের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন । তখন আল্লাহর সিংহাসন ছিল পানির উপর। – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ) * কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে , রমজানের রোজা রাখে , নিজের সতীত্ব রক্ষা করে চলে এবং স্বামী আদেশ মেনে চলে , তবে সে যে দরজা দিয়ে ইচছা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। – আল হাদীস (মেশকাত শরীফ) ইউনিক বাংলা অ্যাপস © 2017 15. প্রবাদ ও উক্তি শুরু করছি পবিত্র আল-কোরআন থেকে নেয়া আমার সবচেয়ে প্রিয় উক্তিটি দিয়ে। ধর্ম ও নৈতিকতার শিক্ষা সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় সম্পদ।-আল-কোরআন জীবনকে এক পেয়ালা চায়ের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। যতই তৃপ্তির সাথে আমরা তা পান করি ততই দ্রুত তলার দিকে অগ্রসর হতে থাকি।-ক্রিনেট গোপন কথা তোমার গোলাম। ফাঁস করে দিলে তুমি তার গোলাম।-আরবি প্রবাদ যে মাথা নোয়াতে জানে, সে কখনো মাথা খোয়ায় না।-লাউতজে আমি আদব শিখেছি বেয়াদবের কাছে।-ইমাম গাজ্জালি (রাঃ) কথা-বার্তায় ক্রোধের পরিমান খাবারের লবনের মত হওয়া উচিত। পরিমিত হলে রুচিকর, অপরিমিত হলে ক্ষতিকর।-প্লেটো 'হ্যাঁ' এবং 'না' কথা দুটো সবচে' পুরনো এবং সবচে' ছোট। কিন্তু এ কথা দু'টো বলতেই সবচে' বেশি ভাবতে হয়।-পীথাগোরাস "আমি জানি না" বলতে শেখাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা।-হিব্রু প্রবাদ একজন ঘুমন্ত মানুষ আরেকজন ঘুমন্ত মানুষকে জাগাতে পারেনা।-শেখ সাদী আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় পাই। তারপর সেই মানুষকে ভয় পাই যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না।-শেখ সাদী বিদ্রোহী মানে কাউকে না মানা নয়। যা বুঝিনা তা মাথা উঁচু করে বুঝি না বলা। -কাজী নজরুল ইসলাম জ্ঞানীলোকের কানটা বড় আর জিভটা ছোট হয়।-চীনা প্রবাদ নাস্তিক হচ্ছে নিজের প্রচারিত ধর্মের স্বঘোষিত নবী এবং তার নিজ ধর্মের একমাত্র উম্মাত।-সূত্র:অজানা সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে যে কথা বলে সে ব্যক্তিত্বহীন।-মার্ক টোয়াইন আমরা যতই অধ্যয়ন করি ততই আমাদের অজ্ঞানতাকে আবিষ্কার করি।-শেলী মানুষের সর্বোচ্চ সাফল্য সবটুকু করতে পারায় নয়, সাধ্যমত করতে পারায়।-অজানা কিভাবে কথা বলতে হয় না জানলে অন্তত কিভাবে চুপ থাকতে হয় তা শিখে নাও।-অজানা ছেলেরা পাবার ভেতর দিয়ে মেয়েদের দেয়। আর মেয়েরা দেবার ভেতর দিয়ে ছেলেদের পায়।-অজানা জীবনের প্রতিটি সিঁড়িতে পা রেখে ওপরে ওঠা উচিত। ডিঙ্গিয়ে উঠলে পড়ে যাবার সম্ভাবনা বেশি।-হুইটিয়ার সবচে' জ্ঞানী ব্যক্তিটিও উত্তর জানেনা এমন হাজার প্রশ্ন করতে পারে শিশুরা।-জে এবট বন্ধুত্ব একবার ছিঁড়ে গেলে পৃথিবীর সমস্ত সুতো দিয়েও রিপু করা যায় না।-কার্লাইল বই ভালো সঙ্গী। এর সঙ্গে কথা বলা যায়। বই সব উপদেশই দেয় কিন্তু কোন কাজ করতেই বাধ্য করে না।-হেনরী ওয়ার্ড বিশার ছবি হল নীরব কবিতা। আর কবিতা হল নীরব ছবি যা কথা বলে।-সিমোনিডেস রাগকে শাসন না করলে রাগই সম্পূর্ণ মানুষটিকে শাসন করে।-সেফটিস বারী ধৈর্যশীল ব্যক্তির ক্রোধ থেকে সাবধান।-ড্রাইডেন তিন ইঞ্চি লম্বা জিভ একজন সাতফিট মানুষকেও ধরাশায়ী করতে পারে।-চীনা প্রবাদ বিধাতার নিকট আমার প্রার্থণা এই যে আমাকে তুমি বন্ধু দিও না, শত্রু দিও, যাতে আমি আমার ভূলগুলো ধরতে পারি।-জন ম্যাকি ভবিষৎকে জানার জন্যই আমাদের অতীত জানা উচিত।-জন ল্যাক হন ভাগ্য সবার দুয়ারে আসার জন্যই অপেক্ষা করে, কিন্তু উপযাচক হয়ে আসে না, ডেকে আনতে হয়।-ইলা অলড্রিচ যে সৎ হয় নিন্দা তার কোন অনিষ্ট করতে পারে না!-শেখ সাদী যে নিজের মর্যাদা বোঝে না অন্যেও তার মর্যাদা দেয় না!-হযরত আলী (রাঃ) ভীরুরা মরার আগে বারে বারে মরে। সাহসীরা মৃত্যুর স্বাদ একবারই গ্রহণ করে।-শেক্সপীয়ার একজন মহান ব্যক্তির মহত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে।-কার্লাইল অসৎ আনন্দের চেয়ে পবিত্র বেদনা ভালো।-হোমার গরীব খোঁজে খাদ্য, আর ধনী খোঁজে ক্ষিধে।-হিন্দি প্রবাদ জন্মদিনে এত উল্লসিত হবার কিছু নেই। মনে রেখ, তুমি মৃত্যুর দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলে।-অজানা শত্রু মরে গেলে আনন্দিত হবার কারন নেই। শত্রু সৃষ্টির কারনগুলো এখনও মরেনি।-ওল পিয়ার্ট যে একজনও শত্রু তৈরি করতে পারেনি সে কারো বন্ধু হতে পারে না।-আলফ্রেড টেনিস সব লোকের ঘাড়েই মাথা আছে, কিন্তু মস্তিষ্ক আছে কিনা সেটাই প্রশ্ন।-জুভেনাল একফোঁটা শিশিরেও বন্যা হতে পারে যদি গর্তটা হয় পিঁপড়ের।-ফারসি প্রবাদ নুড়ি হাজার বছর ঝরণায় ডুবে থেকেও রস পায় না।-কাজী নজরুল ইসলাম আমার দোষ তুমি আমাকেই বল।-ইমাম গাজ্জালী সৎ হতে হবে অথবা সৎ লোকের অনুসন্ধান করতে হবে।-ডেমিক্রিটাস ব্যক্তিত্ব্যহীন মানুষ অনুকরণের যোগ্য নয়। কে আমাদের একশবার রসগোল্লা খাইয়েছিল তা আমরা ভুলে যাই। কিন্তু কে কবে একবার কান মুচড়ে দিয়েছিল তা মনে রাখি।-আবদুল্লাহ আবু সাঈদ যে নদীর গভীরতা বেশি, তার বয়ে যাওয়ার শব্দ কম।-জন লিভগেট সাহসীরা জীবনের মর্যাদাকে মূল্য দেয়, ভীরুরা পরিসরকে। মেয়েদের রূপ আর ছেলেদের প্রতিভা একই জিনিস। দুটোই জন্মগত ও ধংসকারী। চারপাশকে ছাই করে দেয়। প্রতিটি অর্জনের সাথে আমরা একটু একটু করে মরে যাই। আনন্দ ও কাজ সময়কে সংক্ষিপ্ত করে। নিজের ভালো দিকগুলো জেনে লাভ নেই। যে মেয়ের যত বদনাম, তার তত ভালো বিয়ে। পাপীদের দেখে জীবনকে জানা যায় বেশি। কবিতা হল সংকীর্ণ আলোকোজ্জল মঞ্চে সুচতুর নৃত্যপটিয়সীর অলৌকিক নূপুর-নিক্কন, গদ্য-পেশীবহুল দৌড় বীরের দীর্ঘ মেয়াদী ম্যারাথন। সততটা বেশি থাকলে সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হয়। নীচ লোকের প্রধান হাতিয়ার হল অশ্লীল বাক্য। অন্যের মধ্যে যা খারাপ মনে কর নিজের মধ্যেও তা খারাপ মনে করতে শেখ। চেহারায় বেদনা না থাকলে কাউকে সুন্দর দেখায় না! শুধু টাকা দিয়ে যে বড়লোক হতে চায় সে নিতান্তই গরীব। ইউনিক বাংলা অ্যাপস © 2017 15. মহানবী (সা.) এর মহামূল্যবান বাণী পর্ব- ১৩ * তোমরা অনুমান বা সন্দেহ পোষন হতে সবধান থাক। কেননা অনুমান সবচেয়ে বড় মিথ্যা। * যে লোক মানুষের প্রতি দয়া অনুগ্রহ বোধ করে না, তার প্রতি আল্লাহ পাকও দয়া রহম করেন না। * অহংকার, প্রতারণা ও ঋণমুক্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা বেহেশতবাসী হবার একটি শর্ত। * বিশ্বস্ত সত্যবাদী মুসলমান ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন শহীদগণের সঙ্গী হবে। * তোমরা ক্রয়-বিক্রয়ে অধিক শপথ করা হতে সাবধান থাকবে। কেননা এতে লাভ হলেও পরে তা বিনাশ ডেকে আনে। * ঐ নারী ও পুরুষ অভিশপ্ত যে পুরুষ নারীর এবং যে নারী পুরুষের বেশ-ভুষা ধারণ করে। * দীর্ঘ দিন অনুপস্থিতির পর তোমাদের কেউ যেন রাতের অন্ধকাওে স্বীয় পরিবার পরিজনদেও কাছে হাজির না হয়। * তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ ব্যতীত মৃত্যুবরণ না করে। * লোভ আলেমদের অন্তর থেকে এলেমকে বের করে দেয়। * তোমরা কবরসমূহের জেয়ারত হরবে, কেননা তা মৃত্যুকে স্বরণ করিয়ে দেয়। * দাতা ব্যক্তি আল্লাহ, বেহেশতের ও মানুষের নিকটে অথচ দোজখ হতে দূরে। * কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহ হতেও দূরত্বে, বেহেস্ত হতেও দূরত্বে, অথচ দোজখের নিকটে। * আজান একামতের মাঝখানে দোয়া ফেরত দেয়া হয় না। * প্রত্যেক জিনিসেরই একটা মাজন রয়েছে, আর অন্তরের মাজন হলো আল্লাহর জিকির। * আনন্দ তার জন্য যার আমলনামায় ইস্তেগাফার বেশী বেশী পাওয়া যায়। * প্রতারক, কৃপণ এবং যে ব্যক্তি দান করে খোটা দেয়, সে বেহেশত্ প্রবেশ করবে না। * প্রত্যেক ভাল কাজই একেকটি দান। * আল্লাহর নিকট দুনিয়ার স্থানসমূহের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় মসজিদসমূহ এবং সবচেয়ে ঘৃণ্য হলো বাজারসমূহ। * অবস্থাপন্ন ব্যক্তির জন্য ও শক্তিমান পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তির জন্য জাকাত লওয়া হালাল নয়। * প্রত্যেক জিনিসেরই জাকাত রয়েছে, আর শরীরের জাকাত হল রোজা। * যদি পরিপূর্ণ ঈমানওয়ালা হতে চাও, তবে উত্তম চরিত্র অর্জন করো। * যদি সবচেয়ে বড় আলেম বা জ্ঞানী হতে চাও, তবে তাকওয়া (আল্লাহ ভীতি) অর্জন করো। * যদি সবচেয়ে বেশি সম্মান পেতে চাও, তবে মানুষের নিকট হাত পাতা (অন্যের ওপর ভরসা করা, ভিক্ষা করা) বন্ধ করে দাও। * যদি আল্লাহর নিকট বিশেষ সম্মান পেতে চাও, তবে অধিক পরিমাণে আল্লাহর জিকির করো। * যদি রিজিকের প্রশস্ততা চাও, তবে সর্বদা অজুর সঙ্গে থাকার চেষ্টা করবে। * যদি সমস্ত দোয়া কবুল হওয়ার আশা রাখো, তবে অবশ্যই হারাম থেকে বেঁচে থাকবে। * যদি কেয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে গুনাহমুক্ত উঠতে চাও, তবে সহবাসের পর দ্রুত পবিত্র হয়ে যাবে। * যদি কেয়ামতের দিন আল্লাহর নূর নিয়ে উঠতে চাও, তবে মানুষের ওপর জুলুম করা ছেড়ে দাও। * যদি আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে চাও, তবে আল্লাহর ফরজ বিষয়াদির প্রতি যত্নবান হও। * যদি জাহান্নামের আগুন নেভাতে চাও, তবে দুনিয়ার বিপদাপদে সবর করো। * যদি আল্লাহতায়ালার রাগ বা গোস্বা থেকে বাঁচতে চাও, তবে গোপনে সদকা করো, আত্নীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে চলো এবং মানুষের ওপর রাগ করা ছেড়ে দাও ইউনিক বাংলা অ্যাপস © 2017 16. জান্নাত সম্পর্কে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) এর ৪০টি কথা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আমাদের জন্য জান্নাত সম্পর্কে ভবিষ্যত বাণী করে গিয়েছেন। আসুন জেনে নেই জান্নাত সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বাণীগুলিঃ ১) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর উম্মতের মধ্য মধ্য থেকে ৭০ হাজার ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে।- [আহমদ, তিরমিজী, ইবনে মাজাহ- আবু ওমামা (রা.)] ২) যারা রাতে আরামের বিছানা থেকে নিজেদের পার্শ্বদেশকে দূরে রেখেছিল, এমন অল্প সংখ্যক লোক বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অবশিষ্ট সকল মানুষ হতে হিসেব নেয়ার নির্দেশ করা হবে। [বায়হাকি- আসমা (রা.)] ৩) জান্নাতে জান্নাতবাসীরা প্রতি জুমাবারে বাজারে মিলিত হবে এবং জান্নাতে জান্নাতবাসীদের রূপ-সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। [মুসলিম- আনাস রা.)] ৪) জান্নাতের স্তর হবে ১০০টি এবং জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তর জান্নাতুল ফেরদাউস। যখন তোমরা আল্লাহর কাছে জান্নাত চাইবে তখন জান্নাতুল ফেরদাউস চাইবে। [তিরমিজী ওবাই ইবনে সামেত (রা.)] ৫) জান্নাত সমস্ত পৃথিবী থেকে উত্তম। (মুয়াত্তা- আবু হুরাইরা (রা.) ৬) জান্নাতবাসীনী কোন নারী (হুর) যদি পৃথিবীর দিকে উঁকি দেয়, তবে গোটা জগত আলোকিত হয়ে যাবে এবং আসমান জমীনের মধ্যবর্তী স্থান সুগন্ধিতে মোহিত হয়ে যাবে। তাদের মাথার উরনাও গোটা দুনিয়া ও তার সম্পদরাশি থেকে উত্তম। [বুখারী- আনাস (রা.)] ৭) জান্নাতে একটি চাবুক রাখার পরিমাণ জায়গা গোটা দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তা থেকে উত্তম। [মুয়াত্তা- আবু হুরাইরা (রা.)] ৮) জান্নাতের একটি গাছের নিচের ছায়ায় কোন সাওয়ারী যদি ১০০ বছরও সাওয়ার করে তবুও তার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না। [বুখারী, মুসলিম আবু হুরায়রা (রা.)] ৯) জান্নাতে মুক্তা দিয়ে তৈরী ৬০ মাইল লম্বা একটি তাঁবু থাকবে। জান্নাতের পাত্র ও সামগ্রী হবে সোনা ও রুপার। [বুখারী, মুসলিম আবু মুসা (রা.)] ১০) পূর্ণিমা চাঁদের মতো রূপ ধারণ করে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। (ক) তাদের অন্তরে কোন্দল ও হিংসা বিদ্বেষ থাকবে না। (খ) তারা কখনো রোগাক্রান্ত হবে না। (গ) তাদের পেশাব পায়খানা হবে না। (ঘ) তারা থুথু ফেলবে না। (ঙ) তাদের নাক দিয়ে ময়লা ঝরবে না। (চ) তাদের চিরুনী হবে সোনার চিরুনী। (ছ) তাদের ধুনীর জ্বালানী হবে আগরের। (জ) তাদের গায়ের গন্ধ হবে কস্তুরির মতো সুগন্ধি। (ঝ) তাদের স্বভাব হবে এক ব্যক্তির ন্যায়। (ঞ) তাদের শাররীক গঠন হবে (আদী পিতা) আদম (আ:) এর ন্যয়। [বুখারী, মুসলিম আবু হুরায়রা (রা.)] ১১) জান্নাতীদের খাবারগুলো ঢেকুর এবং মিশকঘ্রাণযুক্ত ঘর্ম দ্বারা নি:শেষ হয়ে যাবে। [বুখারী, মুসলিমযাবির (রা.)] ১২) জান্নাতীরা সুখে শান্তিতে স্বাচ্ছন্দ্যে ডুবে থাকবে। হতাসা দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা থাকবে না। পোশাক পরিচ্ছেদ ময়লা হবে না, পুরাতন হবে না। তাদের যৌবনও নিঃশেষ হবে না। [মুসলিম আবু হুরায়রা (রা.)] ১৩) জান্নাতবাসীরা সব সময় জীবিত থাকবে। কখনো মৃত্যুবরণ করবে না। সব সময় যুবক থাকবে বৃদ্ধ হবে না। [মুসলিম আবু সাঈদ (রা.)] ১৪) জান্নাতে (এমন) এক দল প্রবেশ করবে, যাদের অন্তর হবে পাখিদের অন্তরের মতো। [মুসলিম আবু হুরায়রা (রা.)] ১৫) জান্নাতবাসীদের প্রতি আল্লাহ বলবেন, আমি তোমাদের উপর সন্তুষ্টি দান করেছি, তোমাদের উপর আর কখনো অসন্তুষ্ট হবো না। [বুখারী, মুসলিমআবু সাঈদ (রা.)] ১৬) জান্নাতের নহরে পরিণত হবে- সায়হান, জায়হান, ফোরাত ও নীল নদী। [মুসলিম – আবু হুরায়রা (রা.)] ১৭) জান্নাতে বান্দার আশা আকাঙ্খার দ্বিগুণ দেয়া হবে। [মুসলিম – আবু হুরায়রা (রা.)] ১৮) জান্নাতের দরওয়াজা ৪০ বছরের দুরত্বে সমান, এমন এক দিন আসবে যে তাও ভরপুর হয়ে যাবে। [মুসলিম-উতবা ইবনে খাজওয়ান (রা.)] ১৯) জান্নাতের ইট স্বর্ণ ও রোপ্য দ্বারা তৈরী। কঙ্কর হলো মনি মুক্তা, আর মসল্লা হলো সুগন্ধীময় কস্তুরী। [তিরমিজী – আবু হুরায়রা (রা.)] ২০) জান্নাতের সকল গাছের কা- হবে সোনার। [তিরমিজী – আবু হুরায়রা (রা.)] ২১) জান্নাতের ১০০ টি স্তর আছে, দু’স্তরের মধ্যে ব্যবধান শত বছরের। [(তিরমিজী – আবু হুরায়রা (রা.)] ২২) জান্নাতের ১০০ স্তরের যে কোন এক স্তরে সারা বিশ্বের সকল লোক একত্রিত হলেও তা যথেষ্ট হবে। [তিরমিজী আবু সাঈদ (রা.)] ২৩) জান্নাতের উচ্চ বিছানা (সুরুরুম মারফুআ) আসমান জমীনর মধ্যবর্তী ব্যবধানের পরিমাণ- ৫০০ শত বছরের পথ। [তিরমিজী আবু সাঈদ (রা.)] ২৪) জান্নাত প্রত্যেক ব্যক্তিকে ১০০ পুরুষের শক্তি দান করা হবে। [(তিরমিজ – আবু হুরায়রা (রা.)] ২৫) জান্নাতবাসীগণ কেশবিহীন দাড়িবিহীন হবে। তাদের চোক সুরমায়িত হবে। [তিরমিজ – আবু হুরায়রা (রা.)] ২৬) জান্নাতবাসীগণ ৩০ বা ৩৩ বছর বয়সীর মতো জান্নাতে প্রবেশ করবে। [তিরমিজী, ময়াজ ইবনে জাবাল (রা.)] ২৭) জান্নাতে অবস্থিত কাওসার এর পানি দুধ অপেক্ষা অধিক সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি হবে। [তিরমিজীআসান (রা.)] ২৮) জান্নাতবাসী উট ও ঘোড়া চাইলে দুটোই পাবে এবং তা ইচ্ছেমতো দ্রুত উড়িয়ে নিয়ে যাবে। তাতে তুমি সে সব জিনিস পাবে যা কিছু তোমার মন চাইবে এবং তোমার নয়ন জুড়াবে। [তিরমিজী-আবু বুরাইদা (রা.)] ২৯) জান্নাতবাসীদের ১২০ কাতার হবে। তার মধ্যে ৮০ কাতার হবে এ উম্মতের। অবশিষ্ট ৪০ কাতার হবে অন্যান্য উম্মতের। [তিরমিজী- বুরাইদা (রা.)] ৩০) জান্নাতে একটি বাজার আছে সেখানে ক্রয়-বিক্রয় নেই। সেখানে নারী-পুরুষের আকৃতিসমূহ থাকবে। সুতরাং যখনই কেউ কোন আকৃতিকে পছন্দ করবে তখন সে সেই আকৃতি রূপান্তরিত হবে। [(তিরমিজী- আলী (রা.)] ৩১) জান্নাতবাসীদের উপর এক খণ্ড মেঘ আচ্ছন্ন করে ফেলবে। তাদের উপর এমন সুগন্ধি বর্ষণ করবে যে, অনুরূপ সুগন্ধি তারা আর কখনো পায়নি। জান্নাতের বাজারে একজন আরেকজনের সাথে সাক্ষাত করবে এবং তার পোশাক পরিচ্ছদ দেখে আশ্চার্যান্নিত হবে। কিন্তু তার কথা শেষ হতে না হতেই সে অনুভব করবে যে, তার পোশাক তার চেয়ে আরো উত্তম হয়ে গেছে। এটা এ জন্য যে, জান্নাতে দুশ্চিন্তার কোন স্থান নেই। তাদের স্ত্রীদের কাছে ফিরে আসলে তারা বলবে তুমি আগের চেয়ে সুন্দর হয়ে ফিরে এসেছ। [তিরমিজী, ইবনে মাজাহ- সাইধ ইবনে মুসায়েব (রা.)] ৩২) নিম্নমানের জান্নাতবাসীর জন্যে ৮০ হাজার খাদেম ও ৭২ জন স্ত্রী হবে। ছোট্ট বয়সী বা বৃদ্ধ বয়সী লোক মারা গেলে জান্নাতে প্রবেশের সময় ৩০ বছর বয়সী হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ বয়স কখনো বৃদ্ধি হবে না। জান্নাতবাসীগণ যখন সন্তান কামনা করবে, তখন গর্ভ, প্রসব ও তার বয়স চাহিদা অনুযায়ী মুহূর্তের মধ্যে সংঘটিত হয়ে যাবে। [তিরমিজী, ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ- আবু সাঈদ (রা.)] ৩৩) জান্নাতে হুরদের সমবেত সংগীত শুনা যাবে। এমন সুরে যা আগে কখনো শুনা যায় নি। তারা বলবে- আমরা চিরদিন থাকবো, কখনো ধ্বংস হবো না। আমরা সুখে আনন্দে থাকবো, কখনো দুঃখ দুশ্চিন্তা হবে না। আমরা সব সময় সন্তুষ্ট থাকবো, কখনো নাখোশ হবো না। সুতরাং তাকে ধন্যবাদ যার জন্যে আমরা এবং আমাদের জন্য যিনি। [তিরমিজী- আলী (রা.] ৩৪) জান্নাতে রয়েছে, ১. পানির সমূদ্র ২. মধুর সমুদ্র ৩. দুধের সমুদ্র ৪. শরাবের সমুদ্র। তার পর তা থেকে আরো বহু নদী প্রবাহিত হবে।- [তিরমিজী- হাকিম ইবনে মুয়াবিয়া (রা.)] ৩৫) জান্নাতে একজন কৃষি কাজ করতে চাইবে। তার পর সে বীজ বপণ করবে এবং চোখের পলকে অংকুরিত হবে, পোক্ত হবে এবং ফসল কাটা হবে। এমন কি পাহাড় পরিমাণ স্তুপ হয়ে যাবে। আল্লাহ বলবেন, হে আদম সন্তান! নিয়ে যাও, কোন কিছুতেই তোমার তৃপ্তি হয়না। [বুখারী – আবু হুরায়রা (রা.)] ৩৬) জান্নাতে এক ব্যক্তি ৭০টি তাকিয়ায় হেলান দিয়ে বসবে। এ শুধু তারই স্থান নির্ধারিত থাকবে। একজন মহিলা এসে সালাম দিয়ে বলবে, “আমি অতিরিক্তের অন্তর্ভুক্ত” তার পরনে রং বেরং এর ৭০ খানা শাড়ী পরিহিত থাকবে এবং তার ভিতর দিয়েই তার পায়ের নলার মজা দেখা যাবে। তার মাথার মুকুটের আলো পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্তের মধ্যবর্তী স্থান রৌশনী করে দিবে। [আহমদ- আবু সাঈদ (রা.)] ৩৭) জান্নাতবাসীগণ নিদ্রা যাবে না। নিদ্রাতো মৃত্যুর সহোদর আর জান্নাতবাসী মরবে না। [বায়হাকী- যাবের (রা.)] ৩৮) আল্লাহ তায়ালা হিজাব বা পর্দা তোলে ফেলবেন, তখন জান্নাতবাসীরা আল্লাহর দিদার বা দর্শন লাভ করবে। আল্লাহর দর্শন লাভ ও তার দিকে তাকিয়ে থাকার চেয়ে অধিকতর প্রিয় কোন বস্তুই এযাবত তাদেরকে প্রদান করা হয়নি। [মুসলিম- সুহায়ব (রা.)] ৩৯) বারা বিন আযেব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন: কবরে মুমিন বান্দার কাছে দু‘জন ফেরেশতা আসে তাকে উঠিয়ে বসাবেন। তার পর তাকে জিজ্ঞেস করবেন: তোমার রব কে? সে উত্তর দেয় আমার রব ‘আল্লাহ’। তারা জিজ্ঞেস করবেন, তোমার দ্বীন কি? সে উত্তর দেয়, আমার দ্বীন ‘ইসলাম’। তারা জিজ্ঞেস করবেন, তোমাদের মাঝে যিনি প্রেরিত হয়েছিলেন তিনি কে? সে উত্তর দেয়, তারা উত্তর দেয়, তিনি হলেন ‘আল্লাহর রাসূল’। তারা জিজ্ঞেস করবেন, তুমি এসব কিভাবে জানলে? সে উত্তর দেয়, আমি আল্লাহর কিতাব পড়েছি, তাঁর উপর ঈমান এনেছি ও তাঁকে সমর্থন করেছি। তখন আকাশ থেকে একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করবেন- আমার বান্দা সত্য বলেছে, আমার বান্দার জন্য জান্নাতের একটি বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জান্নাাতের পোশাক পরিয়ে দাও এবং তার জন্য জান্নাতের একটি দরজা খুলে দাও। তখন তা খুলে দেয়া হয়। রাসূল (সা.) বলেন: ফলে তার দিকে জান্নাতের স্নিগ্ধ বাতাস এবং সুগন্ধি আসতে থাকে। তার জন্য কবরের স্থানকে দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়। (আহমদ আবু দাউদ) ৪০) যে ব্যক্তি কুরআন পড়েছে, তাকে (সমাজে কুরআনের বিধান) প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে, কুরআনে বর্ণিত হালালসমূহকে হালাল জেনে মেনেছে, হারামগুলোকে হারাম মনে করেছে। আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের জাহান্নামযোগ্য ১০ জনে বিষয়ে সুপারিশ করতে পারবেন। (তিরমিযী হযরত আলী হতে) ইউনিক বাংলা অ্যাপস © 2017 17. মহানবী (সা.) এর ৪০টি হাদিস (১) রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : ‘বিজ্ঞজনদের মাঝে গর্ব করার উদ্দেশ্যে, মূর্খদের সাথে তর্ক করার উদ্দেশ্যে, সভায় প্রশংসা কুড়ানোর জন্য, জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য, নেতৃত্ব লিপ্সুতার জন্য ও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের উদ্দেশ্যে জ্ঞানের সন্ধান করো না। যদি জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে কারো উদ্দেশ্য এমন হয় তবে তার স্থান হবে জাহান্নাম’। [লি-আলীল আখবার, পৃ. ১৯৩] (২) মহানবী (স.) বলেছেন : ‘তোমারা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার জন্য সৃষ্টি হওনি, বরং তোমরা অবশিষ্ট থাকার জন্য সৃষ্টি হয়েছো। আর তোমরা [মৃত্যুর মাধ্যমে] এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হবে’। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৩, পৃ. ১৬১) (৩) আল্লাহর নবী (স.) বলেছেন : ‘আশা-আকাঙ্খা আমার উম্মতের জন্য একটি রহমত স্বরূপ, যদি আশা না থাকতো তবে কোন মা তার সন্তানকে দুধ পান করাতো না এবং কোন মালিই গাছ লাগাতো না’ (তথা কোন কৃষকই চাষাবাদ করতো না)। (সাফিনাহ, আমাল, পৃ. ৩০) (৪) হযরত (স.) বলেছেন : ‘ঈমানদার ব্যক্তিদের সম্মান জনগণ হতে তাদের অমুখাপেক্ষীতার মাঝে নিহীত, আর মুক্তি ও আত্মমর্যাদা অল্পে তুষ্টতার মাধ্যমে অর্জিত হয়’। (আদাব ওয়া আখলাক দার ইসলাম, পৃ. ৩১৮) (৫) নবি করিম (স.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি ঘুমানোর পূর্বে আয়াতাল কুরসী পড়ে, মহান আল্লাহ্ তাকে রক্ষার জন্য একটি ফেরেশতা নিযুক্ত করেন যাতে সে সুস্থ অবস্থায় সকালে পৌঁছায়’ (বা জাগ্রত হয়)। (তাফসিরে মিনহাজুস সাদিকীন, খণ্ড ২, পৃ. ৯২) (৬) রাসূলে (স.) বলেছেন : মহানবী (স.) কে জিজ্ঞেস করা হল, কেয়ামতের দিনের পরিত্রাণ কোন জিনিসের মাঝে নিহীত? তিনি উত্তরে বললেন : ‘পরিত্রাণের একমাত্র পথ তোমরা হচ্ছে মহান আল্লাহকে ধোকা দিও না, এমনটি করলে মহান আল্লাহও তোমাদেরকে ধোকা দিবেন। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহকে ধোকা দেয় মহান আল্লাহও তাকে ধোকা দেন এবং তার হতে ঈমান কেড়ে নেন, যদি সে বুঝতে পারে তবে [বুঝবে যে] প্রকৃত অর্থে সে নিজেকেই ধোকা দিয়েছে’। বলা হল হে আল্লাহর রাসূল কিভাবে আল্লাহকে ধোকা দেওয়া হয়? তিনি বললেন : ‘মহান আল্লাহ্ যে কর্ম সম্পাদনের নির্দেশ তোমাদেরকে দিয়েছেন তা তোমরা সম্পাদন করো কিন্তু তোমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে [আল্লাহ ব্যতীত] অন্য কেউ’। অতঃপর বললেন : তাকওয়া অর্জন কর এবং লোক দেখানো হতে দূরে থাকো, কেননা লোক দেখানো বা রিয়া হচ্ছে মহান আল্লাহর সাথে শিরক করা। লোক দেখিয়ে কর্ম সম্পাদনকারীকে কেয়ামতের দিন ৪টি নামে ডাকা হবে : হে কাফের, হে পাপাচারী, হে ধোকাবাজ, হে ক্ষতিগ্রস্থ, তোমার সকল কর্ম ধ্বংস হয়ে গেছে এবং তোমার সকল সওয়াব বাতিল হয়ে গেছে’। (আমালিয়ে সাদুক, পৃ. ৫৮২) (৭) আল্লাহর নবী (স.) বলেছেন : ‘নিশ্চয়ই আমি উত্তম নৈতিকতার পরিপূর্ণতা দানের জন্য প্রেরিত হয়েছি’। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৬৭, পৃ. ৩৭২) (৮) মহানবী (স.) বলেছেন : ‘সর্বোত্তম নৈতিকতার অধিকারী ব্যক্তিরা হচ্ছে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম; যারা জনগণকে ভালবাসে এবং জনগণও যাদেরকে ভালবাসে’। (মিশকাতুল আনওয়ার ফি গুরারিল আখবার, পৃ. ১৮০) (৯) নবি করিম (স.) বলেছেন : ‘তোমাদের মধ্যে বৃদ্ধদেরকে সম্মান কর এবং ছোটদেরকে স্নেহ করো’। (আমালিয়ে সাদুক, পৃ. ৯৪) (১০) আল্লাহর রাসুল (স.) বড় ও বয়োজেষ্ঠ্যদের সম্মান সম্পর্কে বলেছেন : ‘মহান আল্লাহর পবিত্র সত্ত্বার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি রূপ হচ্ছে মুসলিম বৃদ্ধ ও বয়োজেষ্ঠ্যদের প্রতি সম্মান করা’। (আল-কাফী, খণ্ড ২, পৃ. ১৬৫) (১১) মুহাম্মাদ (স.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি কোন মুসলিম বৃদ্ধকে সম্মান করে, মহান আল্লাহ্ তাকে কেয়ামতের দিনের ভয় হতে নিরাপত্তা দান করেন’। (লি-আলি’ল আখবার, পৃ. ১৮১) (১২) এক বৃদ্ধ ব্যক্তি মহানবী (স.) এর সমীপে উপস্থিত হল, কিন্তু উপস্থিত ব্যক্তিরা কেউই তার সম্মান করলো না এবং তাকে জায়গা দিতে অলসতা দেখালো। (উপস্থিতদের এহেন আচারণে অসন্তুষ্ট হয়ে) মহানবী (স.) বললেন : ‘যারা আমাদের ছোটদেরকে স্নেহ করেনা এবং বৃদ্ধদের প্রতি সম্মান দেখায় না, তারা আমাদের হতে নয়’। (মিশকাতুল আনওয়ার ফি গুরারিল আখবার, পৃ. ১৬৮) (১৩) দুই জাহানের রহমতের নবী (স.) হতে বর্ণিত : ‘তোমাদের সন্তানদেরকে সম্মান করো এবং তাদের সাথে আদবের সাথে আচরণ করো’। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ২৩, পৃ. ১১৪) (১৪) আল্লাহর নবী (স.) বলেছেন : ‘তিনটি এমন জিনিষ আছে যাতে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হয়নি; প্রথম : প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা, চাই অপর পক্ষ মুসলমান হোক বা কাফের। দ্বিতীয় : পিতা মাতার প্রতি দয়াশীল হওয়া, চাই তারা মুসলমান হোক বা কাফের। তৃতীয় : আমানত রক্ষা করা, চাই অপর পক্ষ মুসলমান হোক বা কাফের’। মাজমুয়াতুল ওয়ারাম (তানবিহুল খাওয়াতের), খণ্ড ২, পৃ. ১২১) (১৫) হযরত মুহাম্মাদ (স.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি কথায় অধিক সত্যবাদী, আমানত রক্ষায় অধিক সতর্ক, প্রতিশ্রুতি রক্ষায় অধিক ওয়াফাদার, যার চরিত্র অধিক উত্তম এবং তোমাদের মধ্য হতে জনগণের সাথে যার সম্পর্ক অতি নিকটের, সে কেয়ামতের দিন তোমাদের মধ্য হতে আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী ব্যক্তি’। (তারিখে ইয়াকুবী, খণ্ড ২, পৃ. ৬০) (১৬) মহানবী (স.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তির অধিকার রক্ষার বিষয়ে তুমি সতর্ক কিন্তু সে তোমার অধিকার রক্ষায় সতর্ক নয়, সে তোমার জন্য উত্তম বন্ধু নয় এবং সে তোমার সাথে ওঠাবসার যোগ্য নয়’। (নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৬৭৬) (১৭) নবি করিম (স.) বলেছেন : ‘আমি এবং আমার উম্মতের মধ্যে পরহেজগার ব্যক্তিরা, অন্যের উপর কষ্টসাধ্য কোন কাজ চাপিয়ে দেওয়া হতে অনেক দূরে’ (অন্যের উপর চাপিয়ে দেই না)। (এহইয়াইল উলুম, পৃ. ২) (১৮) আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি জনগণের মাঝে সবচেয়ে প্রিয় হতে চায়, তার উচিত গুনাহ হতে দূরে সরে মহান আল্লাহর তাকওয়া অর্জন করা’। (কানযুল ফাওয়ায়েদ, খণ্ড ২, পৃ. ১০) (১৯) প্রিয় নবী (স.) বলেছেন : ‘নম্রতা, বান্দার মর্যাদা বৃদ্ধি করে; সুতরাং নম্র হও যাতে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতের শামিল হতে পারো’। (নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ২৭৭) (২০) মহানবী (স.) এমন একদল লোকের মাঝ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন যাদের মধ্যে শক্তিধর এক লোক ছিল। যে বড় বড় পাথর উত্তোলন করছিল এবং উপস্থিত লোকেরা তাকে ভারউত্তোলনের বীর হিসেবে বাহবা দিচ্ছিলো। আর ঐ ক্রীড়াবিদের কর্মকাণ্ডে সকলে অবাক হচ্ছিল। আল্লাহর নবী (স.) জিজ্ঞেস করলেন : এখানে লোক সমাগমের কারণ কি? জনগণ ভারউত্তোলক ঐ ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের কথা সম্পর্কে মহানবী (স.) কে অবগত করলো। রাসূলে আকরাম (স.) বললেন : ‘তোমাদেরকে কি বলবো না যে, এ ব্যক্তির চেয়ে শক্তিশালী কে? তার চেয়ে শক্তিশালী হচ্ছে সে, যাকে গালী দেওয়া হয় কিন্তু সে ধৈর্য্য ধারণ করে নিজের প্রতিশোধ পরায়ন নফসের উপর নিয়ন্ত্রন রাখে এবং নিজের শয়তান ও তাকে গালি দানকারী শয়তানের উপর বিজয়ী হয়। (তারায়েফুল হেকাম, পৃ. ৪০০)# (২১) আল্লাহর নবী (স.) বলেছেন : লজ্জা দুই প্রকারের, বুদ্ধিবৃত্তি ভিত্তিক লজ্জা এবং বোকামীপূর্ণ লজ্জা। বুদ্ধিবৃত্তি ভিত্তিক লজ্জা জ্ঞান হতে উত্সারিত এবং বোকামীপূর্ণ লজ্জা অজ্ঞতা ও মূর্খতা হতে উত্সারিত হয়। (উসুলে কাফী, খণ্ড ২, পৃ. ১০৪) (২২) মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) বলেছেন : ‘যখন তোমার লজ্জা শেষ হয়ে যায় তখন তুমি সব কিছু করতে পারো’ [লজ্জাহীন ব্যক্তিরাই বিভিন্ন গুনাহ সম্পাদন ও আইন লঙ্ঘনে কোন ভয় পায় না]। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৬৮, পৃ. ৩৩৬) (২৩) নবী করিম (স.) বলেছেন : ‘তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে সাহসী ব্যক্তি হচ্ছে সে, যে নিজের নাফসের চাহিদার উপর বিজয়ী হয়’। (মান লা ইয়াহযারহুল ফাকীহ, খণ্ড ৪, পৃ. ৩৯৫) (২৪) আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন : ‘লোকদের উপর কর্তৃত্ব অর্জন ও বিজয়ী হওয়া সাহসীকতা ও বীরত্ব নয়, বরং নিজের লাগামহীন নাফসের উপর কর্তৃত্ব লাভ করাই হচ্ছে প্রকৃত সাহসীকতা ও বিজয়’। (মাজমুয়াতু ওয়ারাম, খণ্ড ২, পৃ. ১১) (২৫) হযরত মুস্তাফা (স.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে ক্ষণিকের জন্য হেয় ও প্রতিপন্ন হতে প্রস্তুত হয় না, সে সারা জীবন অজ্ঞতার কারণে হেয় ও প্রতিপন্ন হয়’। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ১, পৃ. ১৭৭) (২৬) নবি করিম (স.) বলেছেন : যে মু’মিন মানুষের সাথে মেশে এবং তাদের ঝামেলা সহ্য করে, মহান আল্লাহর দরবারের তাদের পুরস্কার ঐ মু’মিন অপেক্ষা বৃহৎ যে মানুষের সাথে মেশে না এবং তাদের ঝামেলাও সহ্য করে না’। (মেশকাতুল আনওয়ার ফি গুরারিল আখবার, পৃ. ১৯৩) (২৭) হযরত মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ (স.) বলেছেন : ‘মুনাফিকের তিনটি চিহ্ন : ১-যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, ২-যখন প্রতিশ্রুতি দেয় তা ভঙ্গ করে, ৩-আমানতের খেয়ানত করে’। (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, পৃ. ৮৯) (২৮) রাসূলে আকরাম (স.) বলেছেন : ‘হে আলী! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ সমাধানের উদ্দেশ্যে বলা মিথ্যাকে পছন্দ করেন এবং ফাসাদ সৃষ্টির কারণ হয় এমন সত্য বলাকে অপছন্দ করেন’। (মাকারেমুল আখলাক, পৃ. ৪৩৩) (২৯) আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন : ‘যে নিজের বোঝা অন্যের উপর চাপিয়ে দেয় সে ব্যক্তি অভিশপ্ত’। (৩০) হযরত মুহাম্মাদ (স.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি একটি গুনাহ হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার জন্য মহান আল্লাহর নিকটে ৭০টি কবুল হওয়া হজ্বের সওয়াব রয়েছে’। (মেশকাতুল আনওয়ার ফি গুরারিল আখবার, পৃ. ৩১৬) (৩১) নবী করিম (স.) বলেছেন : মিথ্যা হতে দূরে থাকো, কেননা মিথ্যা চেহারাকে কালো করে দেয়’। (মুস্তাদরাক, খণ্ড ২, পৃ. ১০০) (৩২) মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) বলেছেন : ‘আল্লাহর নিকট বিবাহের মত প্রিয় কোন বন্ধন ইসলাম ধর্মে নেই’। (মুস্তাদরাক, খণ্ড ২, পৃ. ৫৩১) (৩৩) হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা (স.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি আমার স্বত্তাকে ভালবাসে, তার উচিত আমার সুন্নতের অনুসরণ করা, আমার পথে পথচলা। আর আমার সুন্নতের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিবাহ করা’। (মাকারেমুল আখলাক, পৃ. ১৯৬) (৩৪) আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন : কোন নারীকে তার সৌন্দর্য্যের কারণে বিবাহ করো না, কেননা তার সৌন্দর্য তার নৈতিক অবনতির কারণ হতে পারে। একইভাবে তার সম্পদের দিকে দৃষ্টি রেখে তাকে বিবাহ করো না, কেননা তার সম্পদ তার ঔদ্ধ্যত্য ও অবাধ্যতার কারণ হতে পারে। বরং কোন নারীকে তার ঈমানের কারণে বিবাহ করো’। (মাহাজ্জাতুল বাইদ্বা, খণ্ড ৩, পৃ. ৮৩) (৩৫) রাসুলে আকরাম (স.) বলেছেন : ‘গুনাহ হতে তওবা করা সর্বদা পছন্দনীয় কাজ, কিন্তু যুবক বয়সে এ কাজটি অধিক পছন্দনীয়’। (মাজমুয়াতুল ওয়ারাম, খণ্ড ২, পৃ. ১১৮) (৩৬) নবী করিম (স.) বলেছেন : ‘জ্ঞানী ব্যক্তিরা দুই প্রকারের : যে আলেম নিজের জ্ঞানের উপর আমল করে তার জ্ঞান তার জন্য পরিত্রাণদাতা হয়। আর যে আলেম নিজের জ্ঞানকে ত্যাগ করে সে ধ্বংস হয়ে যায়’। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ২, পৃ. ৩৬) (৩৭) মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) বলেছেন : হে আবুযার! ঐ ব্যক্তি কেয়ামতের দিন মহান আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যে নিজের জ্ঞান হতে উপকৃত হয়না’। (লি-আলিল আখবার, পৃ. ১৬১) (৩৮) হযরত রাসুল (স.) দেখলেন মসজিদে দু’টি দল বসে আছে; একট দল ইসলামি জ্ঞানচর্চায় ব্যস্ত এবং অপরটি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা ও মুনাজাতে ব্যস্ত। আল্লাহর নবী (স.) বললেন : উভয় দলই আমার পছন্দের, কিন্তু জ্ঞানচর্চাকারী দলটি প্রার্থনায়রত দলটি অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। আর আমি মহান আল্লাহর পক্ষ হতে মানুষকে শিক্ষা দানের লক্ষ্যে প্রেরিত হয়েছি। অতঃপর মহানবী (স.) জ্ঞানচর্চাকারী দলটিতে যেয়ে বসলেন। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ১, পৃ. ২০৬) (৩৯) মহানবী (স.) বলেছেন : যে ব্যক্তি নামাযকে বিলম্বে পড়ে, (কেয়ামতের দিন) আমার শাফায়াত তার পর্যন্ত পৌঁছাবে না’। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৮৩, পৃ. ২০) (৪০) আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন : ‘মহান আল্লাহর নিকট সবচেয়ে ঘৃণিত হালাল হচ্ছে তালাক’। (সুনানে আবি দাউদ, কিতাবুত তালাক, পৃ. ১৮৬৩)# ইউনিক বাংলা অ্যাপস © 2017 17. হযরত আলী (রাঃ) কিছু মহা মূল্যবান বাণী লোকের যে সমস্ত দোষ ত্রুটির উপর আল্লাহ পর্দা দিয়ে রেখেছেন তা তুমি প্রকাশ করার চষ্টা করো না। অজ্ঞদেরকে মৃত্যুবরণ করার পূর্বেই মৃত অবস্থায় কাল যাপন করতে হয় এবং সমাধিস্থ হবার পূর্বেই তাদের শরীর কবরের আঁধারে সমাহিত; কেননা তাদের অন্তর মৃত, আর মৃতের স্থান কবর। অত্যাচারীর বিরুদ্ধে অত্যাচারিতের অন্তরে যে বিদ্বেষাগ্নির জন্ম হয়, তা অত্যাচারীকে ভস্ম করেই ক্ষান্ত হয় না, সে আগুনের শিখায় অনেক কিছুই দগ্ধীভূত হয়। আপনার দ্বারা নেক কাজ সাধিত হলে আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করুন এবং যখন অসফল হবেন তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। সৎ কাজ অল্প বলে চিন্তা করো না, বরং অল্পটুকুই কবুল হওয়ার চিন্তা কর। পাপের কাজ করে লজ্জিত হলে পাপ কমে যায়, আর পুণ্য কাজ করে গর্ববোধ করলে পুণ্য বরবাদ হয়ে যায়। দুনিয়াতে সব চেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে নিজেকে সংশোধন করা আর সব চেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে অন্যের সমালোচনা করা । তুমি পানির মত হতে চেষ্টা কর, যে কিনা নিজের চলার পথ নিজেই তৈরী করে নেয় ।পাথরের মত হয়োনা, যে নিজে অন্যের পথরোধ করে | গোপন কথা যতক্ষণ তোমার কাছে আছে সে তোমার বন্দী । কিন্তু কারো নিকট তা প্রকাশ করা মাত্রই তুমি তার বন্দী হয়ে গেলে । ছোট পাপকে ছোট বলিয়া অবহেলা করিও না, ছোটদের সমষ্টিই বড় হয় । নীচ লোকের প্রধান হাতিয়ার অশ্লীল বাক্য । পুণ্য অর্জন অপেক্ষা পাপ বর্জন শ্রেষ্ঠতর । মানুষের কিসের এত অহংকার, যার শুরু একফোটা রক্তবিন্দু দিয়ে আর শেষ হয় মৃত্তিকায় । সবচেয়ে সাহসী ও বীর্যবান ব্যক্তি হলো সেই যে স্বীয় কামনা বাসনার খেয়াল খুশির উপর বিজয় লাভ করতে সক্ষম। হযরত আলী (রাঃ) কোথাও যাচ্ছিলেন। পথে এক ব্যক্তি অনাহুতভাবে তাকে গালাগাল দিতে শুরু করল। হযরত আলী লোকটির কাছে গিয়ে বললেন, ভাই! তুমি আমার সম্পর্কে যা কিছু বললে তা যদি সত্য হয় তবে আল্লাহ যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন আর যদি তোমার এই সমস্ত কথা সত্য না হয় তবে আল্লাহ পাক যেন তোমাকে ক্ষমা করে দেন। প্রকৃত দ্বীনদারী পার্থিব স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমেই সম্ভব। কারো সাথে বাক্যলাপ না হওয়া পর্যন্ত তাকে তুচ্ছ জ্ঞান করোনা। কেউ স্বীকৃতি না দিলেও তুমি তোমার সদাচরণ অব্যাহত রাখবে। বন্ধুত্ব করার মত কোন যোগ্যলোক পাওয়া না গেলেও অযোগ্যদের সাথে বন্ধুত্ব করতে যেও না। অল্প বিদ্যায় আমল বিনষ্ট হয়। শুদ্ধ জ্ঞানই আমলের পুর্ব শর্ত। সততার মাধ্যমে একজন নিরীহ প্রকৃতির লোকও যে মর্যাদার অধিকারী হয়, বুদ্ধিমানেরা রকমারী কলাকৌশল প্রয়োগ করেও তার নিকটে পৌঁছতে পারে না। ধন সম্পদের অহংকার থেকে আল্লাহর পানাহ চাও।এটা এমন একরোগ, যা মানুষকে ধ্বংসের শেষ পর্যায়ে পৌছিয়ে দেয়। সেই ব্যক্তির পক্ষেই সর্বাধিক সৎকর্ম করা সম্ভব,যে ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। সর্বাপেক্ষা করুণার পাত্র হচ্ছে ঐ ব্যক্তি- ক) যে আলেম ব্যক্তির উপর জাহেলরা কতৃত্ব করে। খ) যে ভদ্রব্যক্তি কোন ইতর লোকের অধীন হয়ে পড়ে। গ) ঐ সৎব্যক্তি যার মাথার উপর পাপিষ্ঠ চেপে বসে। সর্বোত্তম বক্তব্য সেটিই, স্বয়ং বক্তা যা কার্যে পরিণত করে। সর্বাপেক্ষা আহাম্মক ঐ ব্যক্তি যে অন্যের বদঅভ্যাসের প্রতি ঘৃণা পোষণ করে, এবং লোক চক্ষুর আড়ালে নিজেই সেই সব বদঅভ্যাসে জড়িত থাকে। দুনিয়া ও আখেরাত দুই সতীনের ন্যায়। স্বামী যেমন একজনকে খুশি করতে চাইলে অন্যজন ক্ষিপ্ত হয়। তেমনি কেউ দুনিয়ার জীবনকে সুখময় করতে চাইলে আখেরাতের ক্ষতি এবং আখেরাতকে নির্বিঘ্ন করতে চাইলে দুনিয়ার জীবনের ক্ষতি স্বীকার করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। বুদ্ধিমানেরা বিনয়ের দ্বারা সম্মান অর্জন করে,আর বোকারা ঔদ্ধত্যের দ্বারা অপদস্ত হয়। অনুশোচনা খারাপ কাজকে বিলুপ্ত করে আর অহংকার ভালো কাজকে ধ্বংস করে। অনর্থক কামনা নিজেই একটি ধ্বংসাত্বক সঙ্গী,আর বদ-অভ্যাস সৃষ্টি করে একটি ভয়াবহ শত্রু । বিপদে অস্থিরতা নিজেই একটি বড় বিপদ। দ্রুত ক্ষমা করে দেয়া সম্মান বয়ে আনে, আর দ্রুতপ্রতিশোধ পরায়ণতা অসম্মান বয়ে আনে । দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা যত বেশি হবে,আল্লাহর প্রতি ততোটাই কম হবে । মন্দ লোক অন্যদের সম্পর্কে ভালো ধারণা করতে পারে না, সর্বোচ্চ সে তাদেরকেও নিজের মত মনে করে। যৌবনের অপচয়কৃত সময়ের ক্ষতি অবশ্যই পূরন করতে হবে, যদি তুমি সন্তোষজনক সমাপ্তি অনুসদ্ধান করো । নিজের মহানুভবতার কথা গোপন রাখো, আর তোমার প্রতি অন্যের মহানুভবতার কথা প্রচার করো। আত্মতুষ্টি নিশ্চিতভাবে নির্বুদ্ধিতার লক্ষণ। অভ্যাসকে জয় করাই পরম বিজয়। অসৎ লোকের ধন - দৌলত পৃথীবিতে সৃষ্ট জীবের বিপদ - আপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করে না,সকলকেইসে নিজের মত ভাবে। অল্প দান করিতে লজ্জিত হইও না,কেননা বিমুখ করা অপেক্ষায় অল্প দান করা অনেক ভাল। পাপের কাজ করে লজ্জিত হলে পাপ কমে যায় "আর পুণ্য কাজ করে গর্ববোধ করলে পুণ্য বরবাদ হয়ে যায়। পাচটি জিনিস খুব খারাপ, ক/ আলেমের খারাপ কাজ, খ/ শাসকের লালসাবৃত্তি, গ/ বৃদ্ধের জেনাকারিতা, ঘ/ ধনীর কৃপণতা, ঙ/ নারীর নির্লজ্জতা, প্রতিটি মানুষের মূল্য তার যোগ্যতায়। মানুষের সাথে তাদের বুদ্ধি পরিমাণ কথা বলো। অভিজাত লোকের হামলা সম্পর্কে সতর্ক হও যখন সে ক্ষুধার্ত হয়। আর ইতর লোকের হামলা হতে সতর্ক হও যখন সে পূর্ণ উদর হয়। হৃদয়সমূহ একত্র করো এবং তা ধরে রাখতে হেকমতের আশ্রয় গ্রহণ করো । কেননা শরীরের ন্যায় হৃদয়ও ক্লান্তি ও একঘেয়েমী বোধ করে। নফস হলো প্রবৃত্তির পূজারী। সহজগামী আমোদ-প্রমোদের অভিলাসী, কু-প্ররোচনায় অভ্যস্ত, পাপাচারে আসক্ত, আরাম প্রিয় ও কর্মবিমুখ। যদি তাকে বাধ্য করো তাহলে সে দুর্বল হয়ে পড়বে। আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তাহলে (তুমি) ধ্বংস হয়ে যাবে। তোমাদের কেউ যেন আপন প্রতিপালক ছাড়া অন্য কারো আশা না করে এবং তাঁর ‘শাস্তি’ ছাড়া অন্য কিছুকে ভয় না করে। তোমাদের কেউ যেন যা জানে না তা শিখতে এবং না জানা বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হলে ‘জানি না’ বলতে সংকোচ বোধ না করে। অভাব বিচক্ষণ ব্যক্তিকেও যুক্তির ক্ষেত্রে নির্বাক করে দেয়। অভাবী যেন নিজ দেশেই পরবাসী। অক্ষমতা একটি বিপদ, ধৈর্যের অর্থ সাহসিকতা, ভোগ বিলাসিতায় নির্মোহতা অমূল্য সম্পদ এবং ধর্মানুরাগ জান্নাত লাভের মাধ্যম। শিষ্টাচার হলো চির-নতুন পোশাক এবং চিন্তা হলো স্বচ্ছ আয়না। দুনিয়া যখন কারো প্রতি প্রসন্ন হয় তখন অন্যের গুণাবলীও তাকে ধার দেয়, কিন্তু যখন অপ্রসন্ন হয় তখন তার নিজস্ব গুণাবলীও ছিনিয়ে নেয়। (অন্তরে) যে যাই গোপন করে তা তার জিহ্বার ফাঁকে বের হয়ে পড়ে এবং মুখণ্ডলের অভিব্যক্তিতে ধরা পড়ে। আল্লাহ্ যখন তোমাকে স্বাধীন বানিয়েছেন তখন তুমি অন্যের গোলাম হয়ো না। স্বপ্ন আর আকাঙ্ক্ষার উপর ভরসা করে বসে থেকো না, কেননা এটা হলো মূর্খ মানুষের পুঁজি। মানুষ সব বুঝে বেঘোর, মৃত্যু আসা মাত্র জেগে উঠবে। মানুষ যা জানে না তার প্রতি বিরূপ হয়ে থাকে। যুগের (স্বভাব প্রকৃতির) সঙ্গে মানুষের সাদৃশ্য পিতৃ-সাদৃশ্যের চেয়ে অধিক। মানুষ তার জিহ্বার নীচে লুক্কায়িত থাকে। যে মানুষ আপন মর্যাদার সীমা বুঝে তার কোনো ধ্বংস নেই। কখনো কখনো একটি মাত্র শব্দ বিরাট বঞ্চনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা যত বাড়বে , বক্তব্য তত কমবে । মানুষের প্রতিটি নি:শ্বাস মৃত্যুর পদক্ষেপ মাত্র । আমি তোমাদেরকে পাচটি বিষয় বলে দিচ্ছি, যদি তোমরা উটে চড়ে দ্রুত তা খুজে নাও তবে এর সুফল পাবে : ক/ আল্লাহ ছাড়া আর কিছুতে আশা স্হাপন না করা খ/ নিজের পাপ ছাড়া আর কোন কিছুকে ভয় না করা গ/ যা নিজে জানো না সে বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হলে 'আমি জানি না' বলতে লজ্জাবোধ না করা ঘ/ যা নিজে জানো না তা অন্যের কাছ থেকে শিক্ষা করতে লজ্জা না করা ঙ/ এবং ধৈর্য্য ধারণ করতে অভ্যাস করা , কারণ দেহের জন্য মাথা যেরূপ ঈমানের জন্য ধৈর্য্য তদ্রুপ । আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা পাবার দুটি উপায় ছিল- একটি তুলে নেয়া হয়েছে অপরটি তোমাদের সম্মুখে রয়েছে । সুতরাং যেটা তোমাদের সম্মুখে রয়েছে তা তোমাদের মানতে হবে । রক্ষা পাবার যে উপায়টি তুলে নেয়া হয়েছে তা হলো আল্লাহর রাসূল (সা.) এবং যেটি এখনো আছে তা হলো ক্ষমা প্রার্থনা করা । ইসলামের যথার্থ ফেকাহবিদ সে যে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ করে না, আল্লাহর দয়ার প্রতি হতাশ করে না এবং আল্লাহর শাস্তি থেকে নিরাপদ বলে মনে করিয়ে দেয় না । হীনতম জ্ঞান জিহ্বায় থাকে এবং উচ্চমানের জ্ঞান কর্মের মাঝে প্রকাশ পায় । ইউনিক বাংলা অ্যাপস © 2017 21. শিক্ষা সম্পর্কিত বিখ্যাত কিছু উক্তি আমরা অজ্ঞ থাকবো বলে বদ্ধপরিকর ছিলাম আর আমাদের শিক্ষকরা আমাদের মন পাল্টানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলো। – এলান ব্রায়েন শিক্ষার প্রথম কাজ হলো কৌতুহলের শিকে ছেঁড়া। – আইভরি ব্রাউন স্কুল জীবনের প্রস্তুতির জন্যে তৈরি হওয়া উচিত নয়। স্কুলই জীবন হওয়া উচিত। – এলবার্ট হাবার্ড ভাবনার জগতের সাথে একাত্ম হওয়া – এটাই হলো শিক্ষা। – এডিথ হেমিলটন শিক্ষা হলো সভ্যতার রূপায়ন। – উইল এণ্ড এরিয়াল ডুরান্ট মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত মানুষের শিক্ষা সমাপ্ত হয় না। – রবার্ট ই লি মানুষের সুখী হওয়ার জন্যে সবচেয়ে বেশি দরকার বুদ্ধির – এবং শিক্ষার মাধ্যমে এর বৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব। – বাট্রাণ্ড রাসেল শেখাতে গেলেই শেখা হয়। – জাপানী প্রবাদ আমি শুনলাম এবং ভুলে গেলাম, আমি দেখলাম এবং মনে রাখলাম, আমি করলাম আর বুঝতেও পারলাম। – চীনা প্রবাদ একজন শিক্ষক সামগ্রিকভাবে প্রভাব ফেলে, কেউ বলতে পারে না তার প্রভাব কোথায় গিয়ে শেষ হয়। – হেনরি এডামস মাঝারি মানের শিক্ষক বলেন, ভাল শিক্ষক বুঝিয়ে দেন, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক করে দেখান। মহান শিক্ষক অনুপ্রাণিত করেন। – উইলয়াম আর্থার ওয়ার্ড আপনি একদিনের জন্য একটা ছাত্রকে একটা পড়া পড়াতে পারেন; কিন’ যদি তাকে আপনি কৌতুহলী হতে শেখান সে যতোদিন বাঁচবে শিক্ষা চালিয়েই যাবে। – ক্লে পি. বেডফোর্ড ইউনিক বাংলা অ্যাপস © 2017 39. হুমায়ূন আহমেদ-এর উক্তি সমূহ পর্ব- ১ পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে আসে…কিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে। পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়। এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে পড়ে| তরুণী মেয়েদের হঠাৎ আসা আবেগ হঠাৎ চলে যায়। আবেগকে বাতাস না দিলেই হলো।আবেগ বায়বীয় ব্যাপার, বাতাস পেলেই তা বাড়ে। অন্য কিছুতে বাড়ে না | সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, কিন্ত তোমাকে এমন একজনকে খুজে নিতে হবে, যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে| অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা সুন্দর দুর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। মানুষই একই। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়, সে তত ভাল মানুষ। বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে। যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে অপছন্দ, অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে সব ঠিক হয়ে যাক । কিছুদিন পর সে সেই প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়। আর অনেকদিন পরে সে আগের চেয়েও অনেকবেশী খুশি থাকে যখন সে বুঝতে পারে যে কারো ভালবাসায় জীবনে অনেক কিছুই আসে যায় কিন্তু কারো অবহেলায় সত্যিই কিছু আসে যায় না। পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয়- মানসিক কষ্ট।- হুমায়ূন আহমেদ মায়ের গায়ে কোন দোষ লাগে না। ছেলে-মেয়ে মায়ের ত্রুটি দেখবে না। অন্যেরা হয়ত দেখবে, সন্তান কখনও না। কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ে, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য আপনি এসে ধরা দেয়! সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে ! বয়সকালেই মানুষ ছোট খাট ভুল করতে থাকে। ছোটখাটো ভুল করা যখন অভ্যাস হয়ে যায় তখন করে বড় ভুল ! কখনো কখনো তোমার মুখটা বন্ধ রাখতে হবে। গর্বিত মাথাটা নত করতে হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে যে তুমি ভুল। এর অর্থ তুমি পরাজিত নাও, এর অর্থ তুমি পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের হাসিটা হাসার ন্য ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মত। ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি | মানুষ ট্রেইনের মত এক লাইনে চলে। তবে বিশেষ ঘটনার পর নতুন লাইন পাওয়া যায়। প্রতিটি দুঃসংবাদের সঙ্গে একটি করে সুসংবাদ থাকে। মানুষ শুধু যে মানুষের কাছ থেকে শিখবে তা না। পশু পাখির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। যে একদিন পড়িয়েছে সে শিক্ষক । সারাজীবনই শিক্ষক। আবার যে একদিন চুরি করেছে সে কিন্তু রাজীবনই চোর না, তাহলে পৃথিবীর সব মানুষই চোর হত । সমুদ্রের জীবনে যেমন জোয়ার-ভাটা আছে, মানুষের জীবনেও আছে। মানুষের সঙ্গে এই জায়গাতেই সমুদ্রের মিল। পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয়- মানসিক কষ্ট। মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস নিয়ে মাতামাতি করা। একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা। বাবা-মা’র প্রথম সন্তান হচ্ছে চমৎকার একটি জীবন্ত খেলনা। এই খেলনার সবই ভালো। খেলনা যখন হাসে, বা-মা হাসে। খেলনা যখন কাঁদে বাবা-মা’র মুখ অন্ধকার হয়ে যায়। চট করে কারো প্রেমে পড়ে যাওয়া কাজের কথা না। অতি রূপবতীদের কারও প্রেমে পড়তে নেই। অন্যেরা তাদের প্রেমে পড়বে, তা-ই নিয়ম। মাঝে মাঝে তুচ্ছ বিষয় চোরাকাঁটার মত মনে লেগে থাকে… ব্যথা দেয় না,অস্বস্তি দেয়… লাজুক ধরনের মানুষ বেশীর ভাগ সময়ই মনের কথা বলতে পারেনা। মনের কথা হড়বড় করে বলতে পারে শুধু মাত্র পাগলরাই। পাগলরা মনে হয় সেই কারণেই সুখী। বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে। যে সব মানুষের নাক সেনসেটিভ হয় তাদের কান কম সেনসেটিভ হয়। প্রকৃতি একটা বেশী দিলে অন্যটা কমিয়ে দেয়। মানুষের মন বিচিত্র জিনিস। সমস্ত নক্ষত্র পূঞ্জে যে জটিলতা ও রহস্য তার থেকেও রহস্যময় মানুষের মন। মেয়েরা গোছানো মানুষ পছন্দ করে না। মেয়েরা পছন্দ করে অগোছালো মানুষ”- রোদনভরা এ বসন্ত ; কিছু কিছু মানুষ সত্যি খুব অসহায় তাদের ভালোলাগা মন্দলাগা, ব্যথা বেদনা গুলো বলার মত কেউ থাকে না তাদের কিছু অবাক্ত কথা মনের গভীরেই রয়ে যায় আর কিছু কিছু স্মৃতি – এক সময় পরিনত হয় — দীর্ঘ শ্বাসে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায়। গভীর প্রেম মানুষকে পুতুল বানিয় দেয়। প্রেমিক প্রেমিকার হাতের পুতুল হন l কিংবা প্রেমিকা হয় প্রেমিকের পুতুল। দুজন এক সঙ্গে কখনো পুতুল হয় না। কে পুতুল হবে আর কে হবে সূত্রধর তা নির্ভর করে মানসিক ক্ষমতার উপর। মানসিক ক্ষমতা যার বেশী তার হাতেই পুতুলের সুতা। কিছু কিছু পুরুষ আছে যারা রূপবতী তরুণীদের অগ্রাহ্য করে একধরনের আনন্দ পায়। সচরাচর এরা নিঃসঙ্গ ধরনের পুরুষ হয়, এবং নারী সঙ্গের জন্যে তীব্র বাসনা বুকে পুষে রাখে। তুমি একটা খারাপ কাজ করেছো তার মানে তুমি একজন মানুষ, তুমি সেই খারাপ কাজটার জন্য অনুতপ্ত তার মানে তুমি একজন ভাল মানুষ। সব মানুষের জীবনেই অপূর্ণতা থাকবে। অতি পরিপূর্ণ যে মানুষ তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ও অতি দুঃখের সঙ্গে তার অপূর্ণতার কথা বলবে। অপূর্ণতা থাকে না শুধু বড় বড় সাধক ও মহা পুরুষদের | সব মানুষকেই বিনয়কে এদেশে দুর্বলতা মনে করা হয়, বদমেজাজকে ব্যক্তিত্ব ভাবা হয়। মানুষ খুবই স্বাধীন প্রাণী কিন্তু অদ্ভুত কারণে সে ভালবাসে শিকল পরে থাকতে। দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না। ভালোবাসা ও ঘৃনা দুটাই মানুষের চোখে লিখা থাকে! যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয় না। ভালবাসাবাসির জন্যে অনন্তকালের প্রয়োজন নেই।একটি মুহূর্তই যথেষ্ট… বেঁচে থাকার মত আনন্দ আর কিছুই নেই। কত অপূর্ব দৃশ্য চারিদিকে। মন দিয়ে আমরা কখনো তা দেখি না। যখন সময় শেষ হয়ে যায়, তখনি শুধু হাহাকারে হৃদয় পূর্ণ হয়। মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস নিয়ে মাতামাতি করা। ভাল লাগা এমন এক জিনিস যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে। মিথ্যা হলো শয়তানের বিয়ের মন্ত্র। মিথ্যা বললেই শয়তানের বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়া মানেই সন্তান-সন্ততি হওয়া। একটা মিথ্যার পর আরো অনেকগুলি মিথ্যা বলতে হয় এই কারণেই।পরের মিথ্যাগুলি শয়তানের সন্তান। মানুষের স্বভাব হলো, কেউ যখন ভালোবাসে তখন নানান কর্মকাণ্ড করে সেই ভালোবাসা বাড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে, আবার কেউ যখন রেগে যায় তখন তার রাগটাও বাড়িয়ে দিতে ইচ্ছা করে। ভালবাসার মানুষের সাথে বিয়ে না হওয়াটাই বোধ হয় ভাল।বিয়ে হলে মানুষটা থাকে ভালবাসা থাকে না।আর যদি বিয়ে না হয় তাহলে হয়ত বা ভালবাসাটা থাকে,শুধু মানুষটাই থাকে না। মানুষ এবং ভালবাসা এই দুয়ের মধ্যে ভালবাসাই হয়ত বেশি প্রিয়। শিকল দিয়ে কাউকেই বেঁধে রাখা হয় না । তারপরেও সব মানুষই কোনও – না – কোনও সময় অনুভব করে তার হাত – পায়ে কঠিন শিকল । শিকল ভাঙতে গিয়ে সংসার – বিরাগী গভীর রাতে গৃহত্যাগ করে । ভাবে ,মুক্তি পাওয়া গেল । দশতলা বাড়ির ছাদ থেকে গৃহী মানুষ লাফিয়ে পরে ফুটপাতে । এরা ক্ষণিকের জন্য শিকল ভাঙার তৃপ্তি পায় । বিবাহ এবং মৃত্যু এই দুই বিশেষ দিনে লতা-পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়। সামাজিক মেলামেশা হয়। আন্তরিক আলাপ আলোচনা হয়। কেও কারও মত হতে পারে না। সবাই হয় তার নিজের মত। তুমি হাজার চেষ্টা করেও তোমার চাচার বা বাবার মত হতে পারবে না। সব মানুষই আলাদা। যে মানব সন্তান ক্ষুদ্র কামনা জয় করতে পারে সে বৃহৎ কামনাও জয় করতে পারে। ইউনিক বাংলা অ্যাপস © 2017 40. হুমায়ূন আহমেদ-এর উক্তি সমূহ পর্ব- ২ হাসিতে খুব সহজেই মানুষকে চেনা যায় ।সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে কিন্তু হাসার সময় একেক জন একেক রকম করে হাসে মেয়েদের অনেক গুণের মধ্যে বড় গুণ হলো এরা খুব সুন্দর করে চিঠি লিখতে পারে। কথাবার্তায় নিতান্ত এলোমেলো মেয়েও চিঠি লেখায় গোছানো। মেয়েদের চিঠিতে আরেকটা ব্যাপার থাকে – বিষাদময়তা। নিতান্ত আনন্দের সংবাদ দিয়ে লেখা চিঠির মধ্যেও তারা জানি কী করে সামান্য হলেও দুঃখ মিশিয়ে দেয়। কাজটা যে তারা ইচ্ছা করে করে তা না। প্রকৃতি তাদের চরিত্রে যে বিষাদময়তা দিয়ে রেখেছে তাই হয়তো চিঠিতে উঠে আসে। দিনকাল পাল্টে গেছে, এখন আর মানুষ আগের মতো নাই।মওলানা ধরনের মানুষের দিকে এখন আর আগের মতো ভয়-মিশ্রিত শ্রদ্ধার চোখে কেউ তাকায় না। মওলানাও যে বিবেচনায় রাখার মতো একজন, কেউ তাও বোধহয় মনে করে না। ছল্টুফল্টু ভাবে।”― এই মেঘ, রৌদ্র-ছায়া আমাদের সবার ভুবনই আলাদা। এই ভুবনও একদিন ভাঙবে। আমরা অচেনা এক বৃত্তের দিকে যাত্রা শুরু করব। সেই বৃত্ত কেমন কে জানে! পৃথিবীতেই এত রহস্য। না জানি কত রহস্য অপেক্ষা করছে অদেখা ভুবনে। প্রেমে পড়া মানে নির্ভরশীল হয়ে পড়া। তুমি যার প্রেমে পড়বে সে তোমার জগতের একটা বিরাট অংশ দখল করে নেবে। যদি কোনো কারণে সে তোমাকে ছেড়ে চলে যায় তবে সে তোমার জগতের ঐ বিরাট অংশটাও নিয়ে যাবে। তুমি হয়ে পড়বে শূণ্য জগতের বাসিন্দা হিমু কখনও জটিল পরিস্থিতিতে পড়ে না। ছোটখাট ঝামেলায় সে পড়ে। সেই সব ঝামেলা তাকে স্পর্শও করে না। সে অনেকটা হাসেঁর মত। ঝাড়া দিল গা থেকে ঝামেলা পানির মত ঝরে পড়ল। আমার খুব শখ বড় রকমের ঝামলায় পড়লে সে কি করে। কাজেই হিমুর জন্য বড় ধরনের একটা সমস্যা আমি তৈরি করেছি। এবং খুব আগ্রহ নিয়ে তার কান্ড-কারখানা দেখেছি। বিপদ যখন আসে একটার পর একটা আসে। বিপদরা পাঁচ ভাইবোন। এদের মধ্যে খুব মিল। এই ভাইবোনরা কখনো একা কারো কাছে যায় না। প্রথম একজন যায়, তারপর তার অন্য ভাইবোনরা উপস্থিত হয়। আমার সমস্যার কথা রুপাকে কি আমি বলতে পারি? আমি কি বলতে পারি – আমার বাবার স্বপ্ন সফল করার জন্য সারাদিন আমি পথে পথে ঘুরি। মহাপুরুষ হবার সাধনা করি যখন খুব ক্লান্তি অনভব করি তখন একটি নদীর স্বপ্ন দেখি। যে নদীর জল ছুয়ে ছুয়ে এক জন তরুনি ছুটে চলে যায় এক বার শুধু থমকে দাড়িয়ে তাকায় আমার দিকে। তার চোখে গভীর মায়া ও গাঢ় বিষাদ। এই তরুনীটি আমার মা আমার বাবা যাকে হত্যা করেছিলেন। এই সব কথা রুপাকে বলার কোনো অর্থ হয় না বরং কোনো-কোনো দিন তরঙ্গিনী স্টোর থেকে টেলিফোন করে বলি – রুপা, তুমি কি এক্ষুনি নীল রঙের একটা সারি পরে তোমাদের ছাদে উঠে কার্নিশ ধরে নিচের দিকে তাকাবে? তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে। একটুখানি দাড়াও। আমি তোমাদের বাসার সামনের রাস্তা দিয়ে হেটে চলে যাবআমি জানি রুপা আমার কথা বিশাস করে না, তবুও যত্ন করে সারি পরে চুল বাধে। চোখে কাজলের ছোয়া লাগিয়ে কার্নিশ ধরে দাড়ায়। সে অপেক্ষা করে আমি কখনো যাই নাআমাকে তো আর দশটা ছেলের মত হলে চলবে না আমাকে হতে হবে অসাধরণ।আমি সারাদিন হাটি। আমার পথ শেষ হয় না গন্তব্যহীন যে যাত্রা তার কোনো শেষ থাকার তো কথাও নয় । সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হলো, আসাদুল্লাহ সাহেবের নীলপদ্ম থিউরি ঠিক আছে এই তরুণী তার সমস্ত নীলপদ্ম হিমু নামের এক ছেলের হাতে তুলে দিয়ে তীব্র কষ্ট ও যন্ত্রণার ভেতর বাস করছে। এই যন্ত্রণা, এই কষ্ট থেকে তার মুক্তি নেই মেয়েরা ভয়ঙ্কর দুর্যোগেও সাজ ঠিক রাখতে ভোলে না। ভালোবাসা আর ঘৃণা আসলে একই জিনিস। একটি মুদ্রার এক পিঠে “ভালোবাসা” আরেক পিঠে লেখা ঘৃণা। প্রেমিক প্রেমিকার সামনে এই মুদ্রা মেঝেতে ঘুরতে থাকে। যাদের প্রেম যতো গভীর তাদের মুদ্রার ঘূর্ণন ততো বেশি। এক সময় ঘূর্ণন থেমে যায় মুদ্রা ধপ করে পড়ে যায়। তখন কারো কারোর ক্ষেত্রে দেখা যায় “ভালোবাসা” লেখা পিঠটা বের হয়েছে, কারো কারো ক্ষেত্রে ঘৃণা বের হয়েছে। কাজেই এই মুদ্রাটি যেন সবসময় ঘুরতে থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ঘূর্ণন কখনো থামানো যাবে না।”― দাঁড়কাকের সংসার কিংবা মাঝে মাঝে তব দেখা পাই । ওর কিছু নিজস্ব বিচিত্র লজিক আছে। সে ঐ লজিকে চলে । অন্য কারো কথাই শোনেনা । আমার কথাও শুনবেনা । চাঁদের বিশালতা মানুষের মাঝেও আছে, চাঁদ এক জীবনে বারবার ফিরেআসে…ঠিক তেমন মানুষ প্রিয় বা অপ্রিয় যেই হোক,একবার চলে গেলে আবার ফিরে আসে । কয়েক মুহুর্তের জন্যে আমার ভেতর এক ধরনের বেভ্রম তৈরী হল মনে হল আমার আর হাটার প্রয়োজন নেই। মহাপুরুষ না, সাধারণ মানুষ হয়ে মমতাময়ী এই তরুনিতির পাশে এসে বসি। যে নীলপদ্ম হাতে নিয়ে জীবন শুরু করেছিলাম, সেই প্দ্ম্গুলি তার হাতে তুলে দেই তারপরেই মনে হলো – এ আমি কি করতে যাচ্ছি! আমি হিমু – হিমালয়। পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ মানুষ আছে, কিন্তু একজনও খারাপ বাবা নেই। যে ভালোবাসা না চাইতে পাওয়া যায়, তার প্রতি কোনো মোহ থাকে না গল্প-উপন্যাস হলো অল্পবয়েসী মেয়েদের মাথা খারাপের মন্ত্র। ঝর বৃষ্টির রাত হলেই এলিটা আমার সঙ্গে পক্খিমানবের সন্ধানে বের হয়মানব জাতির সমস্যা হচ্ছে তাকে কোনো না কোনো সন্ধানে জীবন কাটাতে হয় অর্থের সন্ধান, বিত্তের সন্ধান, সুখের সন্ধান, ভালবাসার সন্ধান, ইশ্বরের সন্ধান।আমি আর এলিটা সন্ধান করছি সামান্য পক্খিমানবের। হিমু ভাই!”বল”যাবার আগে আপনি কি বলে যাবেন আপনি কে?’ আমি বললাম, ‘মারিয়া, আমি কেউ না I am nobody’ আমি আমার এক জীবনে অনেককে এই কথা বলেছি – কখনো আমার গলা ধরে যায়নি, বা চোখ ভিজে অঠেনি। দুটা ব্যাপারী এই প্রথম ঘটল আমার সঙ্গে কি আছে জানিস? পদ্ম। নীলপদ্ম। পাচটা নীলপদ্ম নিয়ে ঘুরছি। কি অপূর্ব পদ্ম। কাউকে দিতে পারছিনা। দেয়া সম্বব নয় হিমুরা কাউকে নীলপদ্ম দিতে পারে না। হিমুর প্রতিটি কথা ভুয়া। সত্যি কথা সে অতীতে কোনোদিন বলেনি। ভবিষ্যতেও বলবে না। জোছনা দেখতে দেখতে, আমার হটাৎ মনে হলো, প্রকৃতির কাছে কিছু চাইতে নেই, কারণ প্রকৃতি মানুষের কোনো ইচ্ছাই অপূর্ণ রাখে না । চানসোনা জবাব দিলো না যেভাবে বসেছিল সেভাবেই বসে রইল । কতকাল আগে এক শ্রাবণ মাসে তের বছরের চানসোনা এই গ্রামে এসেছিল্ । লম্বা ঘোমটার ফাঁকে অবাক হয়ে দেখেছিল ভাটি অচ্ঞল । অজানা এই জায়গাটার জন্য কেমন এক ধরনের মমতা জন্মেছিল্। আজ এই মমতা বহুগুণে বেড়ে তাকে ভাসিয়ে নিতে চাইছে। এতটুকু মাত্র শরীর মানুষের এই মমতা সে কোথায় ধারণ করে? দিতে পার একশ’ ফানুস এনে আজন্ম সলজ্জ সাধ, একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই। জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি। দরিদ্র পুরুষদের প্রতি মেয়েদের একপ্রকার মায়া জন্মে যায়,আর এই মায়া থেকে জন্মায় ভালোবাসা। বন্ধুত্ব তখনই গাঢ় হয় যখন কেউ কাউকে চিনে না। বিবাহ এবং মৃত্যু এই দুই বিশেষ দিনে লতা-পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়। সামাজিক মেলামেশা হয়। আন্তরিক আলাপ আলোচনা হয়। আমি কখনো অতিরিক্ত কিছুদিন বাঁচার জন্য সিগারেটের আনন্দ ছাড়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমি ভেবে রেখেছিলাম ডাক্তারকে বলব, আমি একজন লেখক। নিকোটিনের বিষে আমার শরীরের প্রতিটি কোষ অভ্যস্ত। তোমরা আমার চিকিৎসা করো, কিন্তু আমি সিগারেট ছাড়ব না। তাহলে কেন ছাড়লাম? পুত্র নিনিত হামাগুড়ি থেকে হাঁটা শিখেছে। বিষয়টা পুরোপুরি রপ্ত করতে পারেনি। দু-এক পা হেঁটেই ধুম করে পড়ে যায়। ব্যথা পেয়ে কাঁদে। একদিন বসে আছি। টিভিতে খবর দেখছি। হঠাৎ চোখ গেল নিনিতের দিকে। সে হামাগুড়ি পজিশন থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে। হেঁটে হেঁটে এগিয়ে আসছে আমার দিকে। তার ছোট্ট শরীর টলমল করছে। যেকোনো সময় পড়ে যাবে এমন অবস্থা। আমি ডান হাত তার দিকে বাড়িয়ে দিতেই সে হাঁটা বাদ দিয়ে দৌড়ে হাতের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বিশ্বজয়ের ভঙ্গিতে হাসল। তখনই মনে হলো, এই ছেলেটির সঙ্গে আরও কিছুদিন আমার থাকা উচিত। সিগারেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত সেই মুহূর্তেই নিয়ে নিলাম। বেশিরভাগ রূপবতী মেয়ে নকল হাসি হাসে। হাসার সময় ঢং করার চেষ্টা করে। তাদের হাসি হায়েনার হাসির মতো হয়ে যায়। আমার সমস্যার কথা রুপাকে কি আমি বলতে পারি? আমি কি বলতে পারি – আমার বাবার স্বপ্ন সফল করার জন্য সারাদিন আমি পথে পথে ঘুরি। মহাপুরুষ হবার সাধনা করি। যখন খুব ক্লান্তি অনভব করি তখন একটি নদীর স্বপ্ন দেখি। যে নদীর জল ছুয়ে ছুয়ে এক জন তরুনি ছুটে চলে যায়। এক বার শুধু থমকে দাড়িয়ে তাকায় আমার দিকে। তার চোখে গভীর মায়া ও গাঢ় বিষাদ। এই তরুনীটি আমার মা। আমার বাবা যাকে হত্যা করেছিলেন। এই সব কথা রুপাকে বলার কোনো অর্থ হয় না। বরং কোনো-কোনো দিন তরঙ্গিনী স্টোর থেকে টেলিফোন করে বলি – রুপা, তুমি কি এক্ষুনি নীল রঙের একটা সারি পরে তোমাদের ছাদে উঠে কার্নিশ ধরে নিচের দিকে তাকাবে? তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে। একটুখানি দাড়াও। আমি তোমাদের বাসার সামনের রাস্তা দিয়ে হেটে চলে যাব। আমি জানি রুপা আমার কথা বিশাস করে না, তবুও যত্ন করে সারি পরে, চুল বাধে। চোখে কাজলের ছোয়া লাগিয়ে কার্নিশ ধরে দাড়ায়। সে অপেক্ষা করে। আমি কখনো যাই না। আমাকে তো আর দশটা ছেলের মত হলে চলবে না। আমাকে হতে হবে অসাধরণ।আমি সারাদিন হাটি। আমার পথ শেষ হয় না। গন্তব্যহীন যে যাত্রা তার কোনো শেষ থাকার তো কথাও নয়। ঝর বৃষ্টির রাত হলেই এলিটা আমার সঙ্গে পক্খিমানবের সন্ধানে বের হয়। মানব জাতির সমস্যা হচ্ছে তাকে কোনো না কোনো সন্ধানে জীবন কাটাতে হয় । অর্থের সন্ধান, বিত্তের সন্ধান, সুখের সন্ধান, ভালবাসার সন্ধান, ইশ্বরের সন্ধান। আমি আর এলিটা সন্ধান করছি সামান্য পক্খিমানবের। কয়েক মুহুর্তের জন্যে আমার ভেতর এক ধরনের বেভ্রম তৈরী হল । মনে হল আমার আর হাটার প্রয়োজন নেই মহাপুরুষ না, সাধারণ মানুষ হয়ে মমতাময়ী এই তরুনিতির পাশে এসে বসি । যে নীলপদ্ম হাতে নিয়ে জীবন শুরু করেছিলাম, সেই প্দ্ম্গুলি তার হাতে তুলে দেই তারপরেই মনে হলো – এ আমি কি করতে যাচ্ছি! আমি হিমু – হিমালয়। তুমি আমাকে যে চিটি লিখেছিলে আমি তার জবাব লিখে এনেছি। সাংকেতিক ভাষায় লিখে এনেছি।’ মারিয়া হাত বাড়াল। তার চোখে চাওয়া কৌতুক ঝকমক করছে। মনে হচ্ছে যে কোনো মুহুর্তে হে খিলখিল করে হেসে ফেলবে । যেন সে অনেক কষ্টে হাসি থামাচ্ছে। ‘সাংকেতিক চিঠিটাই কি লেখা পড়তে পারছ?’ ‘পারছি। এখানে লেখা I hate you’ ‘I Love you – ও তো হতে পারে।’ ‘সংকেতের ব্যাখ্যা সবাই তার নিজের মত করে করে, আমিও তাই করলাম। আপনার আটটা তারার অনেক মানে করা যাই, যেমন – I want you I miss you I lost you আমি আমার পছন্দ মত একটা বেছে নিলাম। কষ্টের সাথে যাদের বসবাস রাতটা তাদের জন্য যে কি কষ্টের সেটা শুধু তারাই জানে। সারাদিন কষ্ট গুলো বুকের মাঝে চেপে রাখলেও রাতে যেন কোনো ভাবেই ঠেকানো যায় না। বুক ফেটে কষ্ট গুলো বের না হলেও, চোখ ফেটে বের হয়ে আসে অশ্রু | ভালো মানুষের রাগ থাকে বেশি। যারা মিচকা শয়তান তারা রাগে না। পাছায় লাথি মারলেও লাথি খেয়ে হাসবে। রতিটি মেয়েই নিষ্ঠুর হবার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। দুনিয়াতে খুব অল্প কিছু মানুষ আছে,যারা আসলেই আলাদা, সারা জীবনেও তারা কারও আপন হতে পারে না, তাদের কেউই বুঝে না, তাদের সব থেকেও আসলে শূন্যতা ছাড়া কিছুই থাকে না, তারা একা আসে, একা ঘুরে, একাই থাকে, একাই চলে যায়! মেয়েদের চরিত্রের একটা বিশেষ দিক হল, যেই মুর্হূতে তারা অপর পক্ষের আগ্রহ টের পায়, সেই মুর্হূতে তারা দপ করে নিভে যায়। বিভ্রম তৈরীর খেলা প্রকৃতির খুবই প্রিয় খেলা । আবেগ লুকাতে হয় । অতি আবেগ মানুষকে সামনে এগুতে দেয় না । এক জন মানুষ সবচেয়ে বেশী ভান করে তার চিঠিতে । যে এই ভানের ওপরে উঠে আসতে পারে, তাকে তার প্রাপ্য সন্মান দিতে হয় । ভয়ংকর ভয়ের স্বপ্নে মানুষের ঘুম ভাঙে আবার অস্বাভাবিক আনন্দের স্বপ্নেও মানুষের ঘুম ভাঙে । মেয়ে জাতটাই হচ্ছে মায়াবতীর জাত । একটি মেয়ে খুব সহজে কাঁদতে পারে। কারণ তারা মাঝে মাঝেই একটু কষ্ট পেয়েই কেঁদে অভস্ত। কিন্তু একটি ছেলে তখনই কাঁদে যখন সে তার কষ্ট কে ধরে রাখতে পারে না। ওই মুহর্তে তার কান্নাটা এতো টাই তীব্র হয়। যে পৃথিবীর সমস্ত সুখ ও যদি এনে দেওয়া হয় কারো ক্ষমতা নেই সেই কান্নাটুকু থামানোর। প্রকৃতি রহস্য পছন্দ করে বলেই শ্রেষ্ঠ সন্তান মানুষকে নানান রহস্য দিয়ে পৃথিবীতে পাঠায়। সারাজীবন প্রতিটি মানুষ তার রহস্যের খেলা খেলে। কিন্তু প্রকৃতি দাঁড়িপাল্লায় মেপে সবাইকে সমান রহস্য দেন না । যারা বেশি কথা বলে তারা মানুষ হিসেবে ভাল হয়। একখণ্ড বিশাল মেঘ চাঁদটিকে ঢেকে দিয়েছে।চাঁদের আলো এখন আর চোখে লাগছে না। চারদিক কি সুন্দর লাগছে। কি অসহ্য সুন্দর। হতাশা,গ্লানি, দুঃখ ও বঞ্চনার পৃথিবীকে এত সুন্দর করে বানানোর কি প্রয়োজন ছিল কে জানে ? 41. হুমায়ূন আহমেদ-এর উক্তি সমূহ পর্ব- ৩ সত্যি । মাঝে মাঝে প্রকৃতির এত্ত সৌন্দর্য দেখলে ঠিক থাকতে পারি না । মনে হয়, প্রকৃতির সাথে মিশে একাকার হয়ে যাই । আল্লাহ্ পৃথিবীতেই যদি এত সুখ দিয়ে রাখে, বেহেস্তে কী দিবে? তুমি আমার জন্যে দু’ফোটা চোখের জল ফেলেছ–তার প্রতিদানে আমি “জনম জনম কাঁদিব। মানুষ মৃত বেক্তিদের জন্য অপেক্ষা করে না। জীবিতদের জন্য অপেক্ষা করে। অন্ধকার বলে কিছু নেই, আলোর অনুপস্থিতিকে অন্ধকার বলে। তেমনি কষ্ট বলেও কিছু নেই, সুখের সাময়িক অনুপস্থিতিকে কষ্ট বলে। ফেলে আসা দিনগুলোই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেশি সুন্দর হয়। যেমন ধরুন আপনার স্কুল লাইফ। সত্যিই সেই দিনগুলো দারুন ছিলো। আমার বাবা তাঁর সমস্ত আত্মীয়স্বজনের বিয়েতে প্রীতি-উপহার দেয়াকে অবশ্যকর্তব্য মনে করতেন। রাত জেগে নিজেই লিখতেন।বিয়ের আসরে এই ‘কাব্য’ আমাকেই পাঠ করে শুনাতে হতো। পাঠ শেষে জনে জনে টা বিলি করা হতো। তারপর আমাকে প্রীতি উপহার নিয়ে পাঠানো হতো মেয়েমহলে।কনেকে ঘিরে থাকতো তার বান্ধবীরা।তারা তখন আমাকে নিয়ে নানান রঙ্গ-রসিকতা করতো।আমি যথেষ্ট আবেগ দিয়ে প্রীতি-উপহার পড়ছি,এর মধ্যে কেউ একজন বলে বসল, ‘এই বান্দর,চুপ কর’। মেয়েরা সবাই হেসে এ ওর গায়ে গড়িয়ে পড়ত।আমি চোখ মুছতে মুছতে বিয়ের আসরে ফিরতাম। মেয়েদের সবচে বেশি আনন্দ হয়, যখন ঝগড়াতে স্বামীকে হারাতে পারে। স্বামীর পরাজিত মুখ স্ত্রীর কাছে যুদ্ধে জয়ের মতো। জীবনটা আসলেই অনেক সুন্দর! এতো বেশি সুন্দর যে, মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে। হয়তো আমরা আমাদের চারপাশের সবার কাছে থেকে প্রচুর ভালোবাসা পেয়ে থাকি, কিন্তু কোনো ভালোবাসা পিতামাতার ভালোবাসার মত নয়। না পাওয়া ভালোবাসা গুলো সব সময় সত্যি মনে হয়, পাবার পর কত জন মূল্য দিতে পারে? আমরা মানুষের জটিলতা দেখে অভ্যস্ত, সারল্যকে আমরা ভয় করি। কারো ভেতরে ঐ ব্যাপারটি দেখলে থমকে যাই, এবং আমাদের মনের একটি অংশ বলতে থাকে নিশ্চয়ই কোন একটা রহস্য আছে। সব মানুষের মধ্যে একটা ইষ্টিশন থাকে। সেই ইষ্টিশনের সিগন্যাল ডাউন করা। ইষ্টিশনে সবুজ বাতি জ্বলছে। আনন্দময় ট্রেনের জন্যে অপেক্ষা। কারো কারো ষ্টেশনে ট্রেন সত্যি সত্যি এসে থাকে। কারো কারো ষ্টেশনে আসে ঠিকই, কিন্তু মেলট্রেন বলে থামে না। ঝড়ের মতো উড়ে চলে যায়। শহরের সাথে গ্রামের এই বুঝি পার্থক্য। শহরে দৃষ্টি আটকে যায়। গ্রামে যায় না। জীবনের গভীরতম বোধকে আমি অনুভব করতে পারি। জোছনার অপূর্ব ফুলকে আমি দেখতে পাই – কিন্তু তারা অন্তরের এতই গভীরে যে, আমি তুলে আনতে পারি না। বার বার হাত ফসকে যায়। দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী জেগে আমি অপেক্ষা করি। কোন দিন কি পারব সেই মহান বোধকে স্পর্শ করতে ? নিজেকে বোঝাই – ভাগ্যে যা আছে তা হবে। Every man’s fate We have fastened On his own neck (সূরা বনি ইসরাঈল) আমরা কি করব না করব সবই পূর্ব-নির্ধারিত। কি হবে চিন্তা করে? নিয়তির হাতে সব ছেড়ে-ছুড়ে দিয়ে অপেক্ষা করাই ভালো। আমি অপেক্ষা করি। সব মানুষের মাঝে একজন মহাপুরুষ বাস করে। তাঁরা কখনো প্রকাশিত হন। কখনো হন না। মেয়ে জাতটা বড় অদ্ভুত। কী বললে পুরুষ মানুষের মন ভালো হয় সেটা যেমন জানে, আবার কী বললে পুরুষ মানুষের মাথা খারাপ হয়ে যায় সেটাও জানে। করুণাও এক ধরনের ভালোবাসা, তবে তা ক্ষতিকারক ভালোবাসা। এই ভালোবাসা মানুষকে অসুস্হ করে দেয় মানুষ হয়ে জন্মানোর সবচেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে মাঝে মাঝে তার সবকিছু পেছনে ফেলে চলে যেতে ইচ্ছা করে, কিন্তু সে যেতে পারে না। তাকে অপেক্ষা করতে হয়। কিসের অপেক্ষা তাও সে ভালমত জানে না। তুমি যদি কাউকে হাসাতে পার, সে তোমাকে বিশ্বাস করবে সে তোমাকে পছন্দও করতে শুরু করবে! আমরা কাউকেই হারাতে চাই না, কিন্তু সবাইকেই হারাতে হয়। কষ্ট মানুষকে পরিবর্তন করে, আবার কষ্ট মানুষকে শক্তিশালীও করে । সব ক্ষমতা নিয়ে একজন দূরে বসে আছেন। ভুল বললাম দূরে না, কাছেই বসে আছেন। খুব বেশি কাছে বলেই তাকে দেখা যায় না। পুরুষ মানুষ দিনরাত স্ত্রীর আঁচলে বাঁধা থাকলে বুঝতে হবে সে পুরুষ মানুষই না। তার কোন সমস্যা আছে। পৃথিবীতে আনন্দ এবং দুঃখ সব সময় থাকবে সমান সমান। বিজ্ঞানের ভাষায়- Conservation of আনন্দ। একজন কেউ চরম আনন্দ পেলে, অন্য জনকে চরম দুঃখ পেতে হবে। অতিরিক্ত রূপবতীরা বোকা হয়, এটা জগতের স্বঃতসিদ্ধ নিয়ম। কষ্টের বেপার গুলো মানুষের ভাল মনে থাকে না।সে কখনো মনে রাখতে চায় না।কিন্তু, সুখের বেপারে খুব ভালভাবে মনে থাকে।কারন,এগুলো নিয়ে প্রায়ই ভাবা হয় । মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে। একঘেয়ে কান্নার সুরের মত সে শব্দ। আমি কান পেতে শুনি। বাতাসে জামগাছের পাতায় সরসর শব্দ হয়। সব মিলিয়ে হৃদয় হাহাকার করে ওঠে। আদিগন্ত বিস্তৃত শূন্যতায় কী বিপুল বিষণ্নতাই না অনুভব করি। জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি। যখন কেউ কারো জন্য কাঁদে, সেটা হলো আবেগ। যখন কেউ কাউকে কাঁদায়, সেটা হলো প্রতারণা। আর যখন কেউ কাউকে কাঁদিয়ে নিজেও কেঁদে ফেলে, সেটাই হলো প্রকৃত ভালোবাসা । বড় বোকামিগুলি বুদ্ধিমান মানুষরাই করে। পৃথিবীতে ফিনিক ফোটা জোছনা আসবে। শ্রাবন মাসে টিনের চালে বৃষ্টির সেতার বাজবে। সেই অলৌকিক সঙ্গীত শোনার জন্য আমি থাকব না। ভালোবাসার মাঝে হালকা ভয় থাকলে, সেই ভালোবাসা মধূর হয়।কেননা, হারানোর ভয়ে প্রিয়য়জনের প্রতি ভালোবাসা আরো বেড়ে যায়!! পৃথিবীর কিছু মানুষ জন্ম থেকে অতৃপ্ত । এদেরকে তৃপ্ত করার চেষ্টা করাও বোকামি । ওরা অতৃপ্ত থেকেই তৃপ্ত হয় । বাঙ্গালী মেয়েদের গায়ের রঙের একটা মাত্রা আছে। কোনও মেয়ে যদি সেই মাত্রা অতিক্রম করে যায় তখন আর ভালো লাগে না। তার মধ্যে বিদেশী বিদেশী ভাব চলে আসে। তাকে আর আপন মনে হয় না। সম্পর্কের বন্ধন ঠিক পেরেকের প্যাঁচের মত। একবার যদি প্যাঁচ কেটে যায়, তা আর যত চেষ্টাই করনা কেন তা আর আগের মত মজবুত হয়না। হয়তো কৌশলে বা বল প্রয়োগে তা দেখতে আগের মত থাকবে কিন্তু ভেতরটা দেখলে একদম নড়বড়ে। আমি ঘর ছাডিয়া বাহির হ্ইয়া, জোছনা ধরিতে যাই। হাত ভর্তি চাদের আলো, ধরতে গেলেই নাই। মানুষের বিপদে এখন আর মানুষ এগিয়ে আসে না। এই যুগের নীতি হচ্ছে বিপদ্গ্রস্ত মানুষের কাছ থেকে দুরে চলে যাওয়া । যে যত দুরে যাবে তত ভাল থাকবে। সাধারণ মেয়েরা ছালবাকল নেই ছেলের প্রেমে কখনো পড়বে না। তারা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার খুঁজবে। টাকা-পয়সা খুঁজবে। ঢাকায় বাড়ি আছে কি-না দেখবে। কিন্তু অতি বিত্তবান মেয়েরা ছালবাকল নেই ছেলেদের প্রতি এক ধরনের মমতা পোষণ করবে। অসহায়ের প্রতি করুণা। সেই করুণা থেকে প্রেম। সারা জীবন পাশাপাশি থেকেও এক সময় একজন অন্যজনকে চিনতে পারে না। আবার এমনও হয়, এক পলকের দেখায় একে অন্যকে চিনে ফেলে। প্রত্যেক ভালবাসায় দুইজন সুখী হলেও তৃতীয় একজন অবশ্যই কষ্ট পাবেই, এটাই হয়তো প্রকৃতির নিয়ম | সুন্দরী মেয়েদের হাতের লেখা সুন্দর হয়।এটা হল নিপাতনে সিদ্ধ।সুন্দরীরা মনে প্রাণে জানে তারা সুন্দর। তাদের চেষ্টাই থাকে তাদের ঘিরে যা থাকবে সবই সুন্দর হবে। পৃথিবীতে সবচে’ সুখী মানুষ কে?’ ‘যার কাছে ঘুম আনন্দময় সে-ই পৃথিবীর সবচে’ সুখী মানুষ’। মেয়েরা হচ্ছে জন্মদাত্রী জননী। হাজার ভুল করলেও এদের উপর রাগ করতে নেই। এদের উপর রাগ করাটাই কাপুরুষতা। ‘বাবা’ সম্বোধনে লেখা চিঠি অগ্রাহ্য করা কোন পুরুষের পক্ষেই সম্ভব না। মেয়েদের পক্ষে ‘মা’ সম্বোধনের চিঠি অগ্রাহ্য করা খুবই সম্ভব। তারা ‘মা’ ডাক শুনে অভ্যস্ত। পুরুষরা বাবা শুনে অভ্যস্ত না। কেউ বাবা ডাকলেই সেই ডাক পুরুষদের মাথার ভেতর ডুকে যায়। জীবন সহজও নয় জটিলও নয়। জীবন জীবনের মতো। আমরাই একে জটিল করি- সহজ করি। পৃথিবীর সবচেয়ে অসুন্দর দৃশ্য হল লোভে চকচক করা চোখ। আর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য গভীর মমতায় আদ্র প্রেমিকার চোখ। অতিকাছের মানুষের অবহেলা সহ্য করার ক্ষমতা মানুষের নেই মানুষ বড় অভিমানি প্রাণী || হাসি সবসময় যে সুখের প্রকাশ তা নয়, আপনি কতটা দু:খ লুকাতে পারেন তাও বুঝায় খুব ভাল লাগবে যদি শুনি আমি চলে যাবার পরও কেউ হিমু হয়ে খালি পায়ে রাস্তায় হাটে। আমাদের সবার ভুবনই আলাদা। এই ভুবনও একদিন ভাঙবে। আমরা অচেনা এক বৃত্তের দিকে যাত্রা শুরু করব। সেই বৃত্ত কেমন কে জানে! পৃথিবীতেই এত রহস্য। না জানি কত রহস্য অপেক্ষা করছে অদেখা ভুবনে। শেকসপীয়ারের মতো মানুষও কিন্তু ভূত বিশ্বাস করতেন | তিনি হ্যামলেটে বলেছেন___ There are many things in heaven and Earth ইউনিক বাংলা অ্যাপস © 2017 ইউনিক বাংলা অ্যাপস © 2017 44. হুমায়ূন আহমেদ-এর উক্তি সমূহ পর্ব- ৬ আলো যেমন চারপাশ আলো করে তোলে একজন পবিত্র মানুষও তার চারপাশ আলো করে তুলবেই। মানুষের অসাধারণ অনেক ক্ষমতার অধিকারী। মানুষের অসাধারণ ক্ষমতার একটি হচ্ছে, দ্রুত অভ্যস্ত হওয়ার ক্ষমতা । পুরুষের জন্মই হয়েছে ধরা খাওয়ার জন্য। কেউ স্ত্রীর হাতে ধরা খায়, কেউ পুত্র-কন্যার হাতে ধরা খায়। কেউ ধরা খায় প্রেমিকার কাছে। আবার কেউ কেউ র‍্যাবের কাছে ধরা খায়। অসম্ভব বুদ্ধিমান মানুষ সব সময় এই ছেলেমানুষীটা করে। তাদের বুদ্ধির ছটায় অন্যকে চমকে দিতে চায়। পৃথিবীর সব শিশু বয়স্ক ভীতু মানুষ দেখতে পছন্দ করে। একমাত্র মানুষই খিদে না থাকলেও লোভে পড়ে খায় । অবিশ্বাসের কাজগুলো খুব বিশ্বাসীরাই করে। কেউ যখন ভয়ংকর অসুখ হয় তখন তার চারপাশের জগৎও শূন্য হয়ে পড়ে। তার মস্তিস্ক তখন তার জন্যে একজন সঙ্গী তৈরী করে। বিশেষজ্ঞদের কিছু জিজ্ঞেস করলেই তাঁরা এমন ভঙ্গিতে তাকান যেন প্রশ্নকর্তার অজ্ঞতায় খুব বিরক্ত হচ্ছেন। প্রশ্ন পুরোপুরি না শুনেই জবাব দিতে শুরু করেন। পশুদের জ্ঞান আছে, বুদ্ধি আছে, চিন্তাশক্তি আছে। এসব জেনেও আমরা অস্বীকার করি শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে। অস্বীকার না করলে আমরা এদের কে হত্যা করে খেতে পারতাম না। আমাদের লজ্জা করত। সব মেয়ের ভেতর যেমন একজন পুরুষ বাস করে। সব ছেলের মধ্যেও একটি নারী বাস করে। নারী-পুরুষের বিভাজন রেখা দুর্বল। সমাজের সর্ব নিম্নস্তরে যাদের বাস তাদের আবেগ-টাবেগ বোধহয় কম থাকে। বাঙালি মেয়েরা দামি জিনিস তা সে যতই ক্ষতিকর হোক, ফেলে না। ডেট এক্সপায়ার হওয়া ওষুধও জমা করে রাখে। ভিক্ষুক শ্রেণীতে লুলা স্বামীর অনেক কদর। আর্মি অফিসার এবং ইঞ্জিনিয়াররা রুপবতী স্ত্রী পায়। লুলা ভিক্ষুকরাও রুপবতী ভিক্ষুক স্ত্রী পায়! আল্লাহতালা মেয়েগুলিকে এত সুন্দর করে পাঠিয়েছেন কেন কে জানে? মেয়েদের সবই সুন্দর। এরা রাগ করলেও ভালো লাগে, অপমান করলেও ভালো লাগে। ভালোবাসার কথা বললে কেমন লাগবে কে জানে? সব পুরুষের ভেতরই শয়তান থাকে। ছোট শয়তান, মাঝারি শয়তান,বড় শয়তান। চেহারা দেখে কিছু বোঝার উপায় নেই। যে যত বড় শয়তান তার চেহারা ততটাই ভাজা মাছ উল্টে খেতে পারি না টাইপ। কোন মেয়েকেই আসলে পাওয়া যায় না। তারা অভিনয় করে সঙ্গে আছে এ পর্যন্তই। অভিনয় শুধু যে অতি প্রিয়জনদের সঙ্গে করে তা না, নিজের সঙ্গেও করে। নিজেরা সেটা বুঝতে পারে না। একজন মানুষ তার এক জীবনে অসংখ্যবার তীব্র ভয়ের মুখোমুখি হয়। তুমিও হইবে। ইহাই স্বাভাবিক। ভয়কে পাশ কাটাইয়া যাইবার প্রবণতাও স্বাভাবিক প্রবণতা। তুমি অবশ্যই তা করিবে না। ভায় পাশ কাটাইবার বিষয় নহে। ভয় অনুসন্ধানের বিষয়। ঠিকমতো এই অনুসন্ধান করিতে পারিলে জগতের অনেক অজানা রহস্য সম্পর্কে অবগত হইবে। তোমার জন্য ইহার প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে তোমাকে বলিয়া রাখি, এই জগতের রহস্য পেয়াজের খোসার মতো। একটি খোসা ছাড়াইয়া দেখিবে আরেকটি খোসা। এমনভাবে চলিতে থাকিবে- সবশেষে দেখিবে কিছুই নাই। আমরা শূন্য হইতে আসিয়াছি, আবার শূন্যে ফিরিয়া যাইব। দুই শূন্যের মধ্যবর্তী স্থানে আমরা বাস করি। ভয় বাস করে দুই শূন্যে। এর বেশি এই মুহূর্তে তোমাকে বলিতে ইচ্ছা করি না। বাইরে তখন বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বাসার সামনে বিশাল পুকুর। পুকুর থেকে ঝুপ ঝুপ বৃষ্টির শব্দ আসছে। পিরোজপুর শহরে বৃষ্টি হওয়া মানেই কারেন্ট চলে যাওয়া। আমি সিরিয়াসলি পড়ছি ভেবেই আমার সামনে হারিকেন দেয়া হয়েছে। আমার মাথার ভেতর একের পড় এক লাইন আসছে। এক ধরনের অদ্ভুত ঘোরের মধ্যে আমি লিখতে শুরু করেছি আমার প্রথম উপন্যাস – শঙ্খনীল কারাগার। মানুষ দু’টা সময়ে খেলতে পছন্দ করে। শৈশবে এবং বৃদ্ধ বয়সে। শৈশবে খেলার সঙ্গী জুটে যায়, বৃদ্ধ বয়সে কাউকে পাওয়া যায় না। তখন খেলতে হয় নিজের সঙ্গে। শুরু হল একটি অন্ধকার দীর্ঘ রাত। মানুষের সঙ্গে পশুদের একটা বড় পার্থক্য আছে। পশুরা কখনো মানুষদের মত হৃদয়হীন হতে পারে না। পঁচিশে মার্চের রাতে হৃদয়হীন একদল পাকিস্তানী মিলিটারি এ শহর দখল করে নিল। তারা গুড়িয়ে দিল রাজারবাগ পুলিশ লাইন। জগন্নাথ হল ও ইকবাল হলের প্রতিটি ছাত্রকে গুলি করে মারল। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢুকে হত্যা করল শিক্ষকদের। বস্তিতে শুয়ে থাকা অসহায় মানুষদের গুলি করে মেরে ফেলল বিনা দ্বিধায়। বাঙালীদের বেঁচে থাকা না থাকা কোন ব্যাপার নয়। এরা কুকুরের মত প্রাণী, এদের মৃত্যুতে কিছুই যায় আসে না। এদের সংখ্যা যত কমিয়ে আনা যায় ততই মঙ্গল। এদের মেরে ফেল। এদের শেষ করে দাও। এক রাতে এ শহর মৃতের শহর হয়ে গেল। অসংখ্য বাবা তাঁদের ছেলেমেয়েদের কাছে ফিরে গেল না। অসংখ্য শিশু জানল না বড় হয়ে ওঠা কাকে বলে। বেঁচে থাকার মানে কি? [পঁচিশে মার্চ রাতের বর্ণনা] অধিকাংশ মানুষই আজকাল গুছিয়ে কথা বলতে পারে না। চিন্তা এলোমেলো থাকে বলে কথাবার্তাও থাকে এলোমেলো। একটা চুড়ই পাখির মস্তিস্কের পরিমান কত? খুব বেশী হলে পঞ্চাশ মিলিগ্রাম। মাত্র পঞ্চাশ মিলিগ্রাম মস্তিস্ক নিয়েও সে বিপদ আঁচ করতে পারে। মানুষ কিন্ত পারে না। সিক্সথ সেন্স মানুষের ক্ষেত্রে তেমন প্রবল নয়। পুরুষদের আহত করার কৌশল মেয়েরা খুব তাড়াতাড়ি শিখে ফেলে এবং তা ব্যবহারও করে চমৎকার ভাবে। কেউ তার প্রতিভার বাইরে যেতে পারে না। মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে গোপন করা। বয়ঃসন্ধিকালে তারা শরীর গোপন করতে শেখে। গোপন করার এই অভ্যাস তাদের মাথায় ঢুকে যায়। তখন তারা সবই গোপন করে। মহাপুরুষদের সবকিছু জয় করতে হয়। ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ঘুম। ঘুম হচ্ছে দ্বিতীয় মৃত্যু। সাধারণ মানুষ ঘুমায়—অসাধারণরা জেগে থাকে। কৌতুহল আমাদের সবারই আছে, কিন্ত কৌতুহল মেটানোর জন্যে প্রয়োজনীয় পরিশ্রমটি আমরা করি না। করতে চাই না। মেয়েরা অতি দূরের আত্মীয়কে কাছের প্রমাণ করার জন্য চট করে তুই বলে। চোখে যা দেখা যায় তা দ্রুত রহস্য হারায়। চোখে যা দেখা যায় না, যেমন ‘মন’, অনেকদিন রহস্য ধরে রাখে। মানুষ পরিবেশ দিয়ে পরিচালিত হয় না, মানুষের চালিকাশক্তি তার ডিএনএ। যা সে জন্মসূত্রে নিয়ে এসেছে। তার চারপাশের জগৎ তাকে সামান্যই প্রভাবিত করে। বয়স হলেই ছেলেরা মেয়েদের দিকে তাকায়। সেই তাকানোয় লজ্জা থাকে, দৃষ্টিতে সংকোচ থাকে। জগতের যত বড় বড় Crime তার সবের পেছনে একটা মেয়ে মানুষ থাকবে। শুরুতে সেটা মাথায় রাখলে সুবিধা হয়। ট্রয় নগরী ধ্বংস হয়ে গেল হেলেন নামের নাকবোঁচা এক মেয়ের জন্য। খাদ্য দ্রব্য হাত দিয়ে স্পর্শ করাতেও আনন্দ আছে। সাহেবরা কাটাচামচ দিয়ে খায়। খাদ্য হাত দিয়ে ছোঁয়ার আনন্দ থেকে তারা বঞ্চিত। যে কথা বেশি বলে তার গুরুত্ব থাকেনা। কথা হলো দুধের মতো। অধিক কথায় দুধ পাতলা হয়ে যায়। ্ত্রীরা স্বামীর যে-কোনো বিষয়ের প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহকে সন্দেহের চোখে দেখে। শিশুরা অতি সহজে অন্যের অপরাধ ক্ষমা করতে পারে। শিশুরা লজিক বুঝতে পারে। সমস্যা বড়দের নিয়ে। বড়রা লজিক বুঝতে চায় না। ভয় এবং কৌতূহল বোধ হয় পাশাপাশি চলে। প্রচন্ড ভীত মানুষের কৌতূহলও হয় প্রচন্ড। এরা জানালার শিক ধরে দাঁড়িয়েছে। দেখতে চেষ্টা করছে কী হচ্ছে বাইরে। কেউ কেউ চলে এসেছে বারান্দায়। চোখের সামনে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ দেখার আলাদা মাদকতা আছে। কিছুক্ষণের মধ্যে একধরনের ঘোর তৈরি হয়। মাথার ভেতরে জগাখিচুড়ির মত কিছু হয়। তখন মানুষ যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না এমন কান্ড করে” ( শে মার্চ রাত)। কোনো মৃত মানুষ মহান আন্দোলন চালিয়ে নিতে পারেন না। একজন পেরেছিলেন। আমানুল্লাহ মোহম্মদ আসাদুজ্জামান। তাঁর রক্তমাখা শার্ট ছিল ঊনসত্তরের গনআন্দোলনের চালিকাশক্তি। অন্ধকারে একটি সুন্দরী মেয়েও যেমন অসুন্দরী মেয়েও তেমন। পার্থক্যটা হচ্ছে আলোতে। খুনের মামলায় যে পড়ে সে এবং তার আত্মীয় স্বজনরা কখনো জুম্মার নামাজ মিস দেয় না। একটাই উপদেশ,কার্বুরেটর ঠিক রাখবি। গাড়ির যেমন কার্বুরেটর ঠিক থাকলে সব ঠিক,মানুষেরও একই ঘটনা। মেয়েদের টাইটে রাখতে হবে। তুলসি দাস বলেছেন – ‘ঢোল এবং স্ত্রী দুইটাকেই মারের উপর রাখতে হবে। আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমাদের যখন গুছিয়ে কথা বলা দরকার তখন টেলিগ্রাফের ভাষায় কথা বলি। আর যখন সার সংক্ষেপ বলা দরকার তখন পাঁচ শ পৃষ্ঠার উপন্যাস শুরু করি। প্রথম শ্রেণীর চামচা হচ্ছে যারা স্বার্থ সিদ্ধির জন্যে চামচার ভাব ধরে থাকে। আর তৃতীয় শ্রেণীর চামচা হচ্ছে তারাই যাদের জন্মই হয়েছে চামচা হিসোবে। একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা। মানুষ তার আবেগ, ভালোবাসা, ঘৃনার জন্ম ও অবস্থানের জন্যে যে স্থান নির্ধারিত করেছে সেটা হল হৃদপিন্ড- হার্ট। সৃষ্টিশীল মানুষ তার অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি কখনো খুব ভেবেচিন্তে করেন না। সেই সব কাজ হঠাৎ করে তৈরী হয়। আজকালকার ছেলেরা চা ছাড়া আর কিছু খেতে চায় না – অথচ গরমের মধ্যে তেতুলের সরবতের মত ভাল জিনিস আর কিচ্ছু নেই। রিকশায় চড়ায় একটা রাজকীয় ব্যাপার আছে। মাথা সামান্য উচু করলেই আকাশ দেখতে দেখতে যাওয়া যায়। ঘুষের ব্যাপারে দরদাম করার দস্তর আছে। দরদাম করে ঘুষ দিলে যিনি ঘুষ নেন তিনি ভাল বোধ করেন। ঘুষ নেয়ার লজ্জাটা কমে যায়। পাঁচের সঙ্গে দুই যোগ করলে কখন ছয় হয় ? কখন হয় ?’ যখন ভুল হয় তখন হয় ।অংকটা আসলে সহজ। নতুন বিবাহিত স্বামীদের বেশ কিছুদিন স্ত্রী মনোরঞ্জনের জন্যে ফুচকা চটপটি এইসব খেতে হয়। মেয়েরা জানে না যে হাসি মুখে পুরুষদের কাছে তারা যদি কিছু চায় – পুরুষদের তা দিতেই হবে। মানুষের পুরো জীবনটাই একগাদা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অপূর্ণ তৃষ্ণার সমষ্টি। মহান বীর যোদ্ধাও নিজের স্ত্রীর কাছে অসহায়। মোমবাতির আলোর বই পড়ার আলাদা একটা আনন্দ আছে। আধো আলো আধো ছায়া। বইয়ের জগৎটিও তো তাই- অন্ধকার এবং আলোর মিশ্রণ। লেখকের কল্পনা হচ্ছে আলো, পাঠকের বিভ্রান্তি হচ্ছে অন্ধকার। মানুষের সবচেয়ে কঠিন অভাব কোনটি? খাদ্যের অভাব। হয় নাই। বস্ত্রের অভাব। ক্ষুধার্ত অবস্থায় তুমি পথে বের হতে পারবে। ভিক্ষা চাইতে পারবে। নগ্ন অবস্থায় সেটা পারবে না। যা আমরা বিশ্বাস করি না অথচ বিশ্বাস করতে চাই, তাই আমরা বারবার বলি। বুদ্ধিমান কেউ ভালো মানুষ হতে পারে না। ভালো মানুষেরা বোকাসোকা ধরনের হয়। ইউনিক বাংলা অ্যাপস © 2017 0 মনটাকে কোন বিষয়ে স্থির করতে চাচ্ছেন কিন্তু পারছেন না। মন এক চিন্তা থেকে আরেক চিন্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। হয়ত ভাবতে চাচ্ছেন লেখার নতুন কোন বিষয় নিয়ে কিন্তু কিছুতেই মাথা কাজ করছে না, মনে পড়ে যাচ্ছে এ সংশ্লিষ্ট আরো অনেক কথা। এক সময় হাল ছেড়ে দিলেন। নামাজ পড়তে গেলেন, নামাজ থেকে মন বন্ধুদের আড্ডায় চলে যাচ্ছে। কেন এমন হয়? মন কী?: মন এমন এক বস্তু যা দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না, ল্যবরেটরীতে টেস্টটিউবে ভরে পরীক্ষাও করা যায় না, তবে অনুভব করা যায়। একে আমরা আমাদের কম্পিউটারের সাথে তুলনা করে দেখতে পারি। কম্পিউটারের দুটো অংশ- হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার। হার্ডওয়্যার ধরা যায়, দেখা যায়, ছোঁয়া যায় কিন্তু সফটওয়্যার ? এর অস্তিত্ব আছে তবে ধরা ছোঁয়া যায় না। এটা না হলে কম্পিউটার চালানো ও যায় না। ঠিক তেমনি মন ও মানুষের সব কিছুর নিয়ন্তা। মনের ৩ টি অংশ আছে- ১. সচেতন মন ২. অবচেতন মন ৩. অচেতন মন। মন কিভাবে কাজ করে?: আমরা সব সময় সচেতন মনের দ্বারা চালিত হই। এটি আমাদের সব কাজকে মনিটরিং করে যাতে কোন ভুল না হয়। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী হল অবচেতন মন। সচরাচর এর কাজ আমরা অনুভব করতে পারি না। কিন্তু আমরা যত কাজ করছি, যা কিছু দেখছি, যা বোঝার বা শেখার চেষ্টা করছি সব কিছু ব্যকআপ হয়ে থাকছে আমাদের মস্তিষ্কে এবং এ কাজটাই করে আমাদের অবচেতন মন। আমরা যখন ঘুমিয়ে পড়ি অবচেতন মন জেগে ওঠে এবং তার কর্ম তৎপরতা শুরু করে। ব্যকআপে থাকা সকল তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে কাজের প্রেরণা দান করে, তথ্যগুলোকে মস্তিষ্কের স্থায়ী মেমেরিতে জমা করে। এভাবে আমরা যা দেখি বা যা কিছু চিন্তা করি সবই ঘুমের ঘোরে অবচেতন মন আমাদের মেমোরিতে ঢুকিয়ে দেয়। ফলে এগুলোর উপস্থিতি আমরা টের না পেলেও এগুলো আমাদের ব্যকগ্রাউন্ডে কাজ করতে থাকে। আর আমরা এভাবেই এলোপাথাড়ি চিন্তায় আচ্ছন্ন হই। একজন মনোবিচজ্ঞানী বলেছেন " তোমার স্মৃতিকে গোডাউনের মত যা তা দিয়ে ঠেসে রেখো না, কাজের গুলো জমা কর, অপ্রয়োজনীয় গুলো ফেলে দাও। আমরা যদি আমাদের অবচেতন মনকে নিয়ন্ত্রন করতে পারি তবে আমরা বুঝতে পারব মনের গভীরে কী ঘটছে। কিভাবে করা যাবে?: এর জন্যে প্রয়োজন একাগ্রতা সৃষ্টি করা। একাগ্র মনোযোগ আমাদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে, কাজে সঠিক মনোযোগ প্রদানো সাহায্য করে। একাগ্র মনোযোগ সৃষ্টি করা তেমন সহজ কাজ নয়, এর জন্যে প্রয়োজন মানসিক অনুশীলন। এখানে আমি একটি ছোট কিন্তু কার্যকর অনুশীলনের নিয়ম বলব। এটির আবিষ্কর্তা বিখ্যাত মৌনি সাধু। নিয়ম: ১.আপনার রুমে গিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসুন। ২. বেশি শব্দ হলে দরজা জানালা বন্ধ করে দিন। ৩. ঘরে ঝোলানো দেয়াল ঘড়ির সেকেন্ডের কাটার দিকে মনোযোগ দিন। ৪. পাকা ২ মিনিট ঘড়ির সেকেন্ডের কাটার দিকে তাকিয়ে থাকুন। এ সময় এমন ভাবে থাকবেন যেন পৃথিবীতে শুধু ওই ঘড়ির কাঁটা ব্যতীত আর কিছু নেই। মনোযোগ যদি ঘড়ির কাঁটা থেকে সরে যায় তবে আলতো ভাবে মনোযোগ আবার ঘড়ির কাঁটায় ফিরিয়ে আনুন। আবার ২ মিনিট পূর্ণ করুন। প্রথম প্রথম মনোযোগ থাকতে চাইবে না তবে টানা অনুশীলন চালিয়ে গেলে সহজ হয়ে যাবে। আপনি অবাক হয়ে লক্ষ্য করবেন আপনার স্মৃতিশক্তির ব্যপক উন্নতি হয়েছে। যাতে খুশি একাগ্র মনোযোগ দিতে পারছেন। কাব্য, সাহিত্য, গান, প্রযুক্তি যে বিষয়ে ইচ্ছা গভীর মনোযোগ প্রদান করতে পারছেন। এটা যদি কষ্টকর হয় অর্থাৎ দেয়াল ঘড়ি না থাকলে বা রুমে সে সুযোগ না পাওয়া গেলে তবে আপনার প্রিয় কম্পিউটার ব্যবহার করেও করতে পারেন। একজন সাইট নির্মাতা এমন একটি সাইট তৈরী করেছেন যা আপনাকে ২ মিনিটের জন্যে পৃথিবী আলাদা করে দেবে। বারবার চর্চা করুন, আপনার স্মৃতি দেখে নিজেই অবাক হবেন। মোশারফ হোসেন পেশাগতভাবে একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। কম্পিউটার-ইন্টারনেট নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন থাকলেও, বাস্তবতার তাগিদে সেটা আর পরিপূর্নতা পায়নি । তবে তিনি তার কম্পিউটার-ইন্টারনেট নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা এবং আগ্রহকে কখনোই অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে দেননি। বিস্ময়ের মাধ্যমে তার এই অতৃপ্ত আগ্রহটা, তৃপ্ততা খুজে পায়। বর্তমানে তিনি বিস্ময়ের সাথে আছেন, সমন্বয়ক হিসেবে।  16 ফেব্রুয়ারি 2016 উত্তর প্রদান করেছেন মোশারফ হোসেন (17,148 পয়েন্ট)      0 0 মনকে স্থির করার কিছু উপায়: ১। আপনার জীবনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুনঃ জীবন এত সহজ বিষয় নয়। জীবনের একটি ফ্যাক্ট হিসাবে সামাজিক, পেশা ও স্বাস্থ্য সমস্যা উল্লেখযোগ্য। আপনার যদি এই ধরনের কোন সমস্যার সম্মুখীন হোন, তখন আপনার পেট ঘোলা আবেগ আপনাকে বাধ্য করবে একটি নিদ্রাহীন রাত্রি যাপন করতে, যা আপনার স্বাস্থ্য এর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই ধরনের আবেগ জাঙ্গলিক জীবনের জন্যই উপযুক্ত। সভ্য বিশ্বে আপনার সাধারন জ্ঞানই যথেষ্ট এই ধরনের সমস্যার মোকাবেলা করতে। আপনি আপনার প্রধান সমস্যা গুলো লিখুন যা আপনাকে গ্রহন করে নিতে হবে এবং তা আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন না এটা আপনার একটা পরিকল্পনা হতে পারে। ২। লেখার অভ্যাস করুনঃ ৫-১০ মিনিট সমই নিয়ে আপনার এই মূহর্তে যা মনে আসে তাই লিখুন, সময় কোন ব্যাপার না আপনি লিখতে থাকুন, অদ্ভুত, অদ্ভুত শব্দ যাই হোক না কেন। এতে আপনার কি হবে, আপনার সচেতন মাইন্ড আপনার অসচেতন চিন্তাধারা কে বের করে আনবে। অভ্যাস করতে থাকুন প্রথমে কঠিন মনে হবে পরে সব সহজ হয়ে যাবে। ৩। ধ্যান যোগ সম্পর্কে জানুনঃ অনেক ধরনের ধ্যান ও যোগ থাকতে পারে কিন্তু সকল ধ্যান ও যোগ মাইন্ড থেকে মনোযোগ নিবিদ্ধ করে। আপনি পদ্মাসন, শ্বাসক্রিয়া ব্যায়াম অথবা যে কোন যোগ দৈনিক কিছু সমই ধরে করতে পারেন এতে করে আপনার মন শিথিল থাকবে। ৪। কিছু শিল্প কর্ম করতে পারেনঃ অঙ্কন, ফোটোগ্রাফি, পেইন্টিং, নাচ, এবং ভাস্কর্য এই ধরনের শিল্প কর্ম আপনাকে অবচেতন কাজ থেকে দূরে রাখবে নতুন কিছু করতে সাহায্য করবে। এই কর্মের মাধ্যমে আপনি মাইন্ডের অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। ৫। অবচেতন সম্পর্কে জানুনঃ আপনি যদি জীবনে উন্নতি করতে চান আপনার অবশ্যই হিউম্যান মাইন্ড সম্পর্কে জ্ঞান থাকা উচিত। আপনি সাইকোলজি নিয়ে কোর্স করতে পারেন। জোসেফ ক্যাম্পবেল নামক বইটি পরতে পারেন, তাতে করে আপনি অবচেতন সম্পর্কে ধারনা পাবেন। ৬। নিজে নিজেই পজেটিভ চিন্তা করতে পারেনঃ আপনি যদি চিন্তা করেন আপনার দাঁরা কাজটি করা হবে না বা সম্বভ না, তাহলে আপনি কখনো আপনার কাজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। আপনি তখনি সফলতা অর্জন করবেন যখন আপনার চিন্তা ধারা পজেটিব হবে । ৭। স্বপ্নে মনোযোগ দিতে পারেনঃ আপনার গবীর মাইন্ড এর একটি স্বপ্ন আপনার জীবনের লক্ষ্য হতে পারে। আপনি তার প্রতি মনোযোগ দিন, তাড়াতাড়ি করে লিখে ফেলুন, এবং প্রতিফলিত হয়ে সমস্যা গুলো বাহির করতে চেষ্টা করুন। ৮। বিভিন্ন উপায়ে অবচেতন মন বিকাশ করুনঃ আপনার অনুভূতি শুনুন এবং পূর্বাভাস করতে চেষ্টা করুন। কখনো আপনার প্রশ্নের উত্তর হাঁ হবে আবার কখনো না হবে। এতে করে আপনার অবচেতন মন প্রকাশ পাবে। ৯। চিন্তাশক্তি ঊর্ধ্ব করুনঃ আপনার ইউনিভার্স, চিন্তা, কর্ম, আবেগ, এবং প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি আপনার মাইন্ড থেকে সৃষ্টি হয়। আপনি আপনার চিন্তাশক্তি যত ঊর্ধ্ব করবেন ততই আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন ।  16 ফেব্রুয়ারি 2016 উত্তর প্রদান করেছেন Md.nurnabi (1,208 পয়েন্ট)     সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ 0 কেউ কি নিজে থেকে স্বীকার করবেন আপনি বোকা? অনেক সময় নিজের অদ্ভুত কর্মকাণ্ডের জন্য হয়তো নিজেকে বোকা বলতেই পারেন কিন্তু পরে এই দোষ চেপে যায় ভাগ্যের ওপরে। কিন্তু আপনি কিছু কাজ করে নিজেকে বোকা হিসেবেই পরিচয় দিচ্ছেন তা জানেন কি? কিছু কাজ হয়তো আপনার চোখে খুবই স্বাভাবিক এবং ভালো বলেই মনে করেন আপনি, কিন্তু এই কাজগুলো করেই সবচাইতে বড় বোকা বনে যেতে পারেন যে কোনো সময়ে। ১) আপনি কি অন্ধভাবে কাওকে বিশ্বাস করেন? তাহলে আপনি ভীষণ রকমের বোকা একজন মানুষ। আজকালের যুগে নিজের পরিবার এমনকি মাঝে মধ্যে নিজের পরিবারের কিছু বিশেষ মানুষ ছাড়া কাওকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করা উচিত নয়। অন্ধভাবে বিশ্বাস করেছেন কি ধোঁকা খেয়ে জীবনের অনেকটা অর্থই হারিয়ে ফেলবেন। ২) নিজেকে অনেক বেশী স্মার্ট এবং চালাক ও অন্যকে বোকা ভাবার মতো বড় ধরণের বোকামি করেন অনেকেই। নিজেকে বোকা বলে পরিচয় দেয়ার অন্যতম পন্থা হচ্ছে অন্যকে বোকা ভাবা। যদি সে বোকাও হয়ে থাকেন তাকে তবুও বোকা ভাবা উচিত নয়। কারণ আপনি যখনই এই ধরণের চিন্তা করবেন তখনই সামনের মানুষটির হাতে আপনাকে হুট করে আঘাত করার হাতিয়ার তুলে দেবেন। ৩) আপনি নিজেও জানেন আপনি ভুল বলেছেন কিন্তু নিজের সম্মান বাঁচানোর কথা চিন্তা করে আপনি অযথাই নিজের ভুলটাকে সাপোর্ট করে তর্ক চালিয়ে যান? এই কাজটি একমাত্র বোকারাই করে থাকে। এর চাইতে নিজের ভুল মেনে নিলেই নিজের সম্মান রক্ষা করতে পারবেন অনায়াসেই, অযথা কেন ভুলকে সঠিক বানাতে চাচ্ছেন। ৪) যে আপনাকে যাই বলুক না কেন আপনি তার কথাতেই নিজের মতামত বদলে ফেলার মতো বোকামি করেন কি? তাহলে বলতে হয় আসলেই বড্ড বোকা আপনি। অন্যের কাছ থেকে শুধুমাত্র পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন আপনি। যে যাই বলুক না কেন আপনি যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে নিজের সিদ্ধান্তকে পরিবর্তন করার মতো বোকামি করবেন না। মোট কথা অন্যের কথায় নাচবেন না দয়া করে। ৫) যে বিষয়ে আপনার জ্ঞান নেই বা খুব অল্প জ্ঞান রয়েছে যে বিষয়ে এবং সেই বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করতে যাবেন না ভুলেও। কারণ অল্প বিদ্যা জাহির করতে গিয়ে নিজেকে বোকা বলেই প্রমাণ করবেন। আর আসলেই যদি আপনার স্বভাব এমন হয়ে থাকে তাহলে সত্যিই অনেক বোকা মানুষ আপনি। আলোচনায় বসে জ্ঞান অর্জন করুন অল্প জ্ঞান জাহির করে বোকা বনতে যাবেন না। জীবনের জন্য চরম সত্য কিছু কথা … মোট ৩৬ টি বিনাশ্রমে অর্থলাভের প্রতিশ্রুতি দেয়া প্রতারকদের একটি সাধারণ টোপ। 1) অন্যের কাছ থেকে যে ব্যবহার প্রত্যাশা করেন আগে নিজে সে আচরণ করুন। 2) আপনার অতিচেতনার সাথে সংযোগ স্থাপন করার জন্য প্রয়োজন নীরব মুহূর্ত। প্রতিদিন হাজারো কাজের ফাঁকে এই নীবর মুহূর্ত বের করে নিন। 3) কারো আশাকে নষ্ট করবেন না, হয়তো এ আশাই তার শেষ সম্বল। 4) জানাকে মানায় রূপান্তর করতে না পারলে সে জানা অর্থহীন। 5) জীবনের লক্ষকে পরিষ্কার রাখুন। সবসময় মনে রাখুন বড় কিছু করার জন্য আপনি পৃথিবীতে এসেছেন। 6) দক্ষতা ছাড়া সততা শক্তিহীন। 7) দীর্ঘসূত্রিতা আলস্যকে প্রশ্রয় দেবেন না। 8) দুশ্চিন্তা ও উৎকন্ঠা দিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ নতুন কিছ সৃষ্টি করতে পারেনি। প্রত্যয় ও সাহস দিয়েই মানুষ নতুন পৃথিবী আবিষ্কার করেছে। 9) দেহ হচ্ছে আত্মার বহিরাবরণ। দেহের সীমাবদ্ধতা আছে;আত্মার কোন সীমাবদ্ধতা নেই। আত্মা হচ্ছে বিশুদ্ধ শক্তি। মনোগত দৃষ্টিভঙ্গির উপরই এর প্রকাশিত রূপ নির্ভর করে। 10) নিজের ভুল স্বীকার করার মতো সাহসী হোন। 11) পথে নামলে পথই পথ দেখায়। 12) পৃথবীতে মানুষই একমাত্র সৃষ্টি যে চিন্তা ও অনুভূতির দ্বারা তার জৈবিক অবস্থা বদলাতে পারে। 13) প্রতিটি জিনিসকে পুরোপুরি গ্রহণ করুন। তাহলেই আপনি এ থেকে পরিপূর্ণ শিক্ষা নিতে পারবেন। 14) প্রত্যেক প্রেমিকের জীবনে একটাই সত্য রয়েছে- প্রেমিকের দুঃখে কাঁদবার কেউ নেই; কিন্তু প্রেমিকের কীর্তিকথার বিদ্রুপের হাসি হাসতে সারা জগৎ প্রস্তুত হয়ে আছে। app-facebook Jhankar Mahbub about a year ago অলসতা হতাশার পাল্লাকে ভারি করে। অজুহাত সফলতাকে বেহাত করে। অন্যের উপর নির্ভরতা দুঃসময়কে দীর্ঘায়িত করে। তাই অলসতা, অজুহাত আর অন্যের দয়ার দিকে না তাকিয়ে নিজের দিকে তাকাও। দেখবে সফল হওয়ার জন্য যতটুকু শক্তি, সামর্থ্য, সময় দরকার তার পুরোটাই তোমার মধ্যে আছে। শুধু একটা জিনিস নাই। সেটা হচ্ছে- আত্মবিশ্বাস। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আত্মবিশ্বাসের কোন ট্যাবলেট নাই। মন্ত্র নাই। কোন ভিডিও বা মোটিভেশনাল লেখাতে যতটুকু আত্মবিশ্বাস গজায়, সেটা লেখা শেষ হওয়ার আগেই হারিয়ে যায়। . একটু খেয়াল করলে দেখবে- যে কোনদিন গাড়ির স্টিয়ারিং ধরে নাই। খোলা মাঠেও গাড়ি চালানো প্রাকটিস করে নাই। সে ব্যস্ত সড়কে গাড়ি চালানোর কনফিডেন্স পাবে না। যে খেলোয়াড় ঘরোয়া লীগ খেলে নাই, ট্রেনিং ক্যাম্পে যায় নাই, সে বিশ্বসেরাদের এগিনিস্টে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস পাবে না। কারণ আত্মবিশ্বাস মনের জোর না, ট্রেনিংয়ের জোর। কনফিডেন্স ম্যাজিক পিল না, ডেভেলপ করা স্কিল। এটা কাজ শুরু করার ইনপুট না, আউটপুট। তাই আত্মবিশ্বাস না খুঁজে, চেষ্টা করার অভ্যাস ডেভেলপ করো। লাভ-লসের হিসাব না করে, যত বেশি লেগে থাকবে, যত বেশি ঘাম ঝরাবে, তত বেশি কনফিডেন্ট হবে। তত দ্রুতগতিতে বাধার দেয়াল টপকাতে পারবে। . প্রত্যেকটা বাধার দেয়াল দেখতে চায়, তুমি কতটা মরিয়া হয়ে সফল হতে চাচ্ছ। তাই স্বপ্নটা প্ল্যানের খাতায় না রেখে, কাজের খাতায় রূপান্তরিত করো। সিম্পল চারটা স্টেপে। স্টেপ-১: নিজেকে দুই থেকে তিন দিনের ডেডলাইন দাও। গুগলে সার্চ মেরে, আশেপাশের কাউকে জিজ্ঞেস করে- ড্রিম রিলেটেড ফিল্ডের ইনফরমেশন কালেক্ট করো। শূন্য থেকে শুরু করার, কোনরকম একটা টার্গেট সেট করো। স্টেপ-২: পরের সপ্তাহে কমপক্ষে ১০ ঘন্টা সময় দাও। দরকার হলে, কাউকে হুবহু অনুকরণ করো। টার্গেট ফিনিশ করতে না পারলেও মিনিমাম ১০ ঘণ্টা সময় দাও। স্টেপ-৩: তারপরের সপ্তাহে আরো ১০ ঘন্টার টার্গেট নিয়ে নামো। স্টেপ-৪: রিপিট স্টেপ থ্রি। ব্যস, এইভাবে দুই-তিন মাস সময় দিতে থাকলে; কনফিডেন্স, একসাইটমেন্টের খনি পেয়ে যাবে। . আজাইরা উপদেশ, জ্ঞান দিতে আসা পাবলিকদের কথার দিকে খেয়াল না করে, তাদের কাজের দিকে খেয়াল করো। যারা তোমার ড্রিমের ফিল্ডে অনেক দূর এগিয়ে আছে, শুধু তাদের কথা গোনায় ধরো। কোন কারণে ব্যর্থ হলে, অজুহাত-দোষী ব্যক্তি না খুঁজে, অল্টারনেটিভ রাস্তা খুঁজো। আবারও চেষ্টা করো। কঠোর পরিশ্রম করো। কারণ, দুনিয়াতে সফল হওয়ার একটাই শর্টকাট- হার্ড ওয়ার্ক। Created with My Clipboard for Android: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.wb.myclipboard

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভালবাসার কোন অর্থ বা পরিমাণ নেই। –কাজী নজরুল ইসলাম

আরবি প্রবাদ কালেকশন