ভালবাসার কোন অর্থ বা পরিমাণ নেই। –কাজী নজরুল ইসলাম

কাজী নজরুল ইসলাম- এর চিরন্তন বাণী নামাজ পড়, রোজা রাখ, কলমা পড় ভাই, তোর আখেরের কাজ করে নে সময় যে আর নাই । –কাজী নজরুল ইসলাম ভালবাসার কোন অর্থ বা পরিমাণ নেই। –কাজী নজরুল ইসলাম প্রেম হল ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন। –কাজী নজরুল ইসলাম শুণ্যে মহা আকাশে তুমি মগ্ন লীলা বিলাসে ভাঙ্গিছো গড়িছো নীতি ক্ষণে ক্ষণে নির্জনে প্রভু নির্জনে খেলিছো -–কাজী নজরুল ইসলাম কামনা আর প্রেম দুটি হচ্ছে সম্পুর্ণ আলাদা । কামনা একটা প্রবল সাময়িক উত্তেজনা মাত্র আর প্রেম হচ্ছে ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন । —-কাজী নজরুল ইসলাম নুড়ি হাজার বছর ঝরণায় ডুবে থেকেও রস পায় না —–কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী মানে কাউকে না মানা নয়।। যা বুঝিনা তা মাথা উঁচু করে বুঝি না বলা।। –কাজী নজরুল ইসলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- এর চিরন্তন বাণী “অক্ষমের লোভ আলাদীনের প্রদীপের গুজব শুনলেই লাফিয়ে উঠে । -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” “ শিমুল কাঠই হোক আর বকুল কাঠই হোক, আগুনের চেহারাটা একই । -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” “সময়ের সমুদ্রে আছি,কিন্তু একমুহূর্ত সময় নেই – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ” “পৃথিবীতে বালিকার প্রথম প্রেমেরমত সর্বগ্রাসী প্রেম আর কিছুই নাই। প্রথমযৌবনে বালিকা যাকে ভালোবাসে তাহার মত সৌভাগ্যবানও আর কেহই নাই। যদিও সে প্রেম অধিকাংশ সময় অপ্রকাশিত থেকে যায়, কিন্তু সে প্রেমের আগুন সব বালিকাকে সারাজীবন পোড়ায়।” — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “যে সমাজে কিছুই ভাব বার নেই, কিছুই করবার নেই, সমস্তই ধরাবাধা, সে সমাজ কি বুদ্ধিমান, শক্তিমান মানুষের বাস যোগ্য? সে সমাজ মৌমাছির চাক বাধার যায়গা… — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” “ভালোবাসা কোনো অধিকারের মধ্যে কাউকে আটকিয়ে ফেলে না, বরং তাকে নতুন স্বাধীনতা দান করে। – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “মেয়েরা অল্প কারণে কাদতে জানে এবং বিনা কারণে হাসতে পারে, কারণ ব্যতীত কার্য হয় না, জগতের এই কড়া নিয়মটা কেবল পুরুষের পক্ষেই খাটে । -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” “অবাধ্য বউ যার, জীবন তার দূর্বিসহ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” শেক্সপিয়র - Quotes about Forgiveness অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায় । .. শেক্সপিয়র ভীরুরা মরার আগে বারে বারে মরে। সাহসীরা মৃত্যুর স্বাদ একবারই গ্রহণ করে। .. শেক্সপীয়ার যদি গুন না থাকে তবে অভিনয় করো .. শেক্সপীয়ার আমি সবসময় নিজেক সুখী ভাবি, কারণ আমি কখনো কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করি না, কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করাটা সবসময়ই দুঃখের কারণ হয়ে দাড়ায়। .. শেক্সপীয়র। আমি সব সময় নিজেক সুখী ভাবি, কারণ আমি কখনো কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করি না, কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করাটা সবসময় এ দুঃখের কারণ হয়ে দাড়ায় । .. শেক্সপীয়র সংসারে কারো ওপর ভরসা করো না, নিজের হাত এবং পায়ের ওপর ভরসা করতে শেখো । .. শেক্সপিয়ার হুমায়ুন আহমেদ -Inspirational Quotes “আইসক্রীম হল চুমুর মত। চুমু খাবার কোন বয়স নেই – আইসক্রীম খাবারও নেই” -হুমায়ুন আহমেদ একজন বিবাহিত মেয়ে কোন দিনই কুমারী জীবনে ফিরে যেতে পারে না। কিন্ত কাছাকাছি হয়ত যাওয়া যায়। চেস্টা করলেই যাওয়া যায় -হুমায়ূন আহমেদ গল্প উপন্যাস হল অল্প বয়সী মেয়েদের মাথা খারাপের মন্ত্র। —হুমায়ূন আহমেদ মিসির আলি হঠাত লক্ষ করলেন,তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।হানিফা নামের মেয়েটির জন্য খারাপ লাগছে।বেশ খারাপ লাগছে।মেয়ে জাত টাই হচ্ছে মায়াবতীর জাত।কখন যে এই মেয়েটি মায়ায় জড়িয়ে ফেলেছে,নিজেই বুঝতে পারিনি।হানিফার সঙ্গে আর কোনদিন দেখা হবে না। ওরা নিশ্চয়ই তাদের মেয়েকে নিয়ে এখানে আসবেন না। তিনি নিজেও যাবেন না।কারন তিনি কখন পিছু টান রাখতে চান না কিংবা কে জানে একদিন হয় তো যাবেন। নিশীথিনী __হুমায়ুন আহমেদ পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয়- মানসিক কষ্ট। – হুমায়ূন আহমেদ মায়ের গায়ে কোন দোষ লাগে না। ছেলে-মেয়ে মায়ের ত্রুটি দেখবে না। অন্যেরা হয়ত দেখবে, সন্তান কখনও না। – হুমায়ূন আহমেদ কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ে, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য আপনি এসে ধরা দেয়! _____(হুমায়ূন আহমেদ) সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে ! —হুমায়ূন আহমেদ বয়সকালেই মানুষ ছোট খাট ভুল করতে থাকে। ছোটখাটো ভুল করা যখন অভ্যাস হয়ে যায় তখন করে বড় ভুল ! – জোছনা ও জননীর গল্প; হুমায়ূন আহমেদ কখনো কখনো তোমার মুখটা বন্ধ রাখতে হবে। গর্বিত মাথাটা নত করতে হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে যে তুমি ভুল। এর অর্থ তুমি পরাজিত নাও, এর অর্থ তুমি পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের হাসিটা হাসার জন্য ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। -হুমায়ুন আহমেদ কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মত। —হুমায়ূন আহমেদ ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি | ___হুমায়ুন আহমেদ মানুষ ট্রেইনের মত এক লাইনে চলে। তবে বিশেষ ঘটনার পর নতুন লাইন পাওয়া যায়। -হুমায়ুন আহমেদ পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়। —হুমায়ূন আহমেদ চাঁদের বিশালতা মানুষের মাঝেও আছে, চাঁদ এক জীবনে বারবার ফিরে আসে, ঠিক তেমন মানুষ প্রিয় বা অপ্রিয় যেই হোক,একবার চলে গেলে আবার ফিরে আসে। —হুমায়ূন আহমেদ প্রতিটি দুঃসংবাদের সঙ্গে একটি করে সুসংবাদ থাকে। -বাদশাহ নামদার —হুমায়ূন আহমেদ মানুষ শুধু যে মানুষের কাছ থেকে শিখবে তা না। পশু পাখির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। (বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল) ___________ হুমায়ূন আহমেদ ” যে একদিন পড়িয়েছে সে শিক্ষক । সারাজীবনই শিক্ষক। আবার যে একদিন চুরি করেছে সে কিন্তু সারাজীবনই চোর না, তাহলে পৃথিবীর সব মানুষই চোর হত _____ হুমায়ুন আহমেদ এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে পড়ে| _____হুমায়ূন আহমেদ তরুণী মেয়েদের হঠাৎ আসা আবেগ হঠাৎ চলে যায়। আবেগকে বাতাস না দিলেই হলো। আবেগ বায়বীয় ব্যাপার, বাতাস পেলেই তা বাড়ে। অন্য কিছুতে বাড়ে না | ___ হুমায়ুন আহমেদ পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে আসে… কিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে… —–হুমায়ুন আহমেদ সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, কিন্ত তোমাকে এমন একজনকে খুজে নিতে হবে, যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে| ________হুমায়ূন আহমেদ অ্যালবার্ট আইনস্টাইন -Inspirational Slogans যেকোন বুদ্ধিমান বোকা জিনিষকে বড় করতে পারে ,আরো জটিল, এবং আরও তীব্র । এটি একটি প্রতিভাকে স্পর্শ করে ,এবং সাহস অনেকটা বিপরীত দিকে অগ্রসর হয় । .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কল্পনা জ্ঞানের চেয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ. .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন মহাকর্ষ দায়ী নয় প্রেমে পতনশীল মানুষের জন্য. .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বাস্তবতা নিছক একটি বিভ্রম, যদিও এটি খুব স্থায়ী . .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন শুধুমাত্র বাস্তব মূল্যবান জিনিস অনুভূতি হয়. .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন একজন ব্যক্তি বসবাস শুরু করতে পারে ,যখন তিনি নিজে বাইরে বাস করতে পারে. .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন আমি বিশ্বাস করছি যে তিনি (ঈশ্বর) পাশা খেলেনা. .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন দুর্বল মনোভাব হচ্ছে চরিত্রের দুর্বলতা . .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন আমি ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করিনা।এটা আসে যথেষ্ট তাড়াতাড়ি. .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান পঙ্গু হয়. বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অন্ধ হয়. .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন যে কেউ ,যে কখনও ভুল করেনা। সে নতুন কিছু করার চেষ্টা করে না. .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন সবকিছু সম্ভব সহজ করা উচিত,কিন্তু সহজ নয়. .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন সমগ্র বিজ্ঞান দৈনন্দিনের একটি পরিশোধন চিন্তা ছাড়া আর কিছুই না. .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বিশ্বের সবচেয়ে অজ্ঞেয় বিষয় তা বোধগম্য হয় না. .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন এই পৃথিবী কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের জন্য ধ্বংস হবে না , যারা খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম দেখেও কিছু করেনা তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে। .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন আমাদের রহস্যময়তার পরীক্ষণে প্রাপ্ত সবচেয়ে সৌন্দর্যময় জিনিসগুলো হলো শিল্প, বিজ্ঞান এবং বন্ধুত্ব। .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ধর্মহীন বিজ্ঞান পঙ্গু আর বিজ্ঞানবিহীন ধর্ম অন্ধ। .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ভালোবাসায় পতনের জন্য কোনোভাবেই আমরা মহাকর্ষ-অভিকর্ষকে দায়ী করতে পারি না। .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ‘‘যারা আমাকে সাহায্য করতে মানা করে দিয়েছিল আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, কারন তাদের ‘না’ এর জন্যই আজ আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি।’’ .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন সফল মানুষ হওয়ার চেষ্টা করার থেকে বরং মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হওয়ার চেষ্টা করো। .. অ্যালবার্ট আইনস্টাইন আব্রাহাম লিঙ্কন -Quotes about moving forward প্রত্যেককে বিশ্বাস করা বিপদজনক, কিন্তু কাউকে বিশ্বাস না করা আরো বেশী বিপদজনক। .. আব্রাহাম লিংকন। ছোটবেলাতে আমি জুতা সেলাই করতাম। .. আব্রাহাম লিঙ্কন। যার মা আছে সে কখনই গরীব নয়। .. আব্রাহাম লিঙ্কন। মানুষ যতটা সুখী হতে চায়, সে ততটাই হতে পারে । সুখের কোনো পরিসীমা নেই। ইচ্ছে করলেই সুখকে আমরা আকাশ অভিসারী করে তুলতে পারি । .. আব্রাহাম লিংকন। তুমি সবসময় কিছু লোককে বোকা বানাতে পারো, কিছু সময় সবলোককে বোকা বানাতে পারো, কিন্তু সব সময় সব লোককে বোকা বানাতে পারো না । .. আব্রাহাম লিংকন। শাস্তির চেয়ে ক্ষমা মহৎ | .. আব্রাহাম লিঙ্কন। সফলতা কোনো নির্দিষ্ট ছক ধরে আসে না। তবে এক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চললে তা সফল জীবনে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। আসুন জেনে নিই জীবনে সফলতা পাবার সেই পরামর্শ গুলো। ▬► বন্ধুদের মাত্রাতিরিক্ত বিশ্বাস করবেন না। বন্ধুরা আপনাকে পথেও বসাতে পারে। অন্যদিকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শত্রুদের ব্যবহার করার ক্ষমতা অর্জন করা। এটাও শিখে নিতে হবে। ▬► প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কথা বলবেন না। আপনি কাউকে অভিভূত করার জন্য যদি প্রচুর কথা বলা শুরু করেন তাহলে তা আপনাকে সাধারণ মানুষ হিসেবে প্রকাশ করবে। ▬► কাজের মাধ্যমে বিজয়ী হন, বিতর্কে নয়। ▬► পুরোপুরি নিখুঁত কেউই নয়। তাই নিজেকে পুরোপুরি নিখুঁত বলে তুলে ধরার চেষ্টা করা বৃথা। এ কাজ থেকে বিরত থাকাই ভালো। ▬► সুনামের ওপর গুরুত্ব দিন। এটি আপনার জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই একে সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করতে হবে। ▬► মনোযোগ আকর্ষণে গুরুত্ব দিন। ভিড়ের মাঝেও যেন অন্যরা আপনাকে খুঁজে পায়, সে ব্যবস্থা করুন। ▬► অন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করুন। তবে প্রয়োজনে কাজের সাফল্য নিজের কাঁধে নিতে দেরি করবেন না। ▬► অন্য মানুষকে আপনার কাছে নিয়ে আসুন। প্রয়োজনে টোপ ব্যবহার করুন। ▬► আপনার ওপর মানুষকে নির্ভর করতে দিন। এজন্য প্রয়োজনে নানা পদক্ষেপ নিন যেন অন্যরা আপনাকে নির্ভরযোগ্য হিসেবে ধরে নেয়। ▬► অন্যদের সন্দেহের চোখে দেখুন। কাউকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করবেন না। ▬► অন্যদের সঙ্গে বন্ধুর মতো হোন। কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে বন্ধুত্বের তুলনায় গোয়েন্দাও হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিন। ▬► সম্মান ও শ্রদ্ধা অর্জনের জন্য সব সময় উপস্থিতি এড়িয়ে চলুন। কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখলে এগুলো অর্জন করা সহজ হয়। ▬► আপনি যখন দুর্বল তখন আত্মসমর্পণের পদ্ধতি অবলম্বন করুন। সময় নিয়ে দুর্বলতা দূর করেশক্তি অর্জন করুন। ▬► যার সঙ্গে কাজ করছেন তাকে চিনে রাখুন। ভুল মানুষের সঙ্গে কোনো বিষয়ে কথা বলে কোনো লাভ নেই। ▬► কোনো বিষয়ে কাউকে প্রতিশ্রুতি দেবেন না। প্রতিশ্রুতি দেওয়া অনেক বড় বিষয়। এটি বহু ঝামেলা সৃষ্টি করে। ▬► বিনামূল্যের জিনিস বর্জন করুন। যেসব জিনিস অন্যরা বিনামূল্যে দিতে চায় তার পেছনে নির্দিষ্ট একটি কারণ আছে। ▬► কাজ শুধু শুরু করলেই হয় না, শেষ করতে হয়। তাই কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করার জন্য পরিকল্পনা করুন। ▬► নিজের মতো করে চলতে অবিচল থাকুন। অন্যরা যাই করুক না কেন, তাতে আপনার বিচলিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। ▬► সময় মেনে চলুন। তাড়াতাড়ি কোনো কাজ করার প্রয়োজন নেই আবার দেরি করাও যাবে না। সঠিক সময়ে কাজ করতে হবে। ▬► পানি শান্ত করে মাছ ধরুন। শত্রুকে উত্তেজিত করে নয় বরং তাকে ঠাণ্ডা করেই নিজের কাজ সমাধান করুন। জীবনে সফল হতে চান? জীবনে সফলতা আসুক তা সকলেই চান। কিন্তু সফলতা কষ্ট ছাড়া অর্জন করা সম্ভব নয়। কিছুটা তো কষ্ট করতেই হবে। সেই সাথে বুদ্ধি করে চলতে হবে। সফল মানুষের জীবনী পড়লে অনেক কিছুই বুঝতে পারা যায়। তারা কিন্তু অনেক আগে থেকেই নিজেদের গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। অনেকেই অনেক কম বয়স থেকে শুরু করেন নিজেদের পথচলা। তাই একটি ভালো ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে কাজ শুরু করতে হবে আগে থেকেই। তা না হলে হয়তো দেরি হয়ে যাবে। তাই জীবনটা এলোমেলো হয়ে যাওয়ার আগেই গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে। ১)পড়ালেখা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না অনেকে মনে করেন অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে এরপর কাজে যোগ দেবেন। কিন্তু ইদানীং এই পদ্ধতিটি একেবারেই কার্যকর কিছু নয়। কারণ এখন সব কোম্পানিতেই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষ চেয়ে থাকেন। আপনি যদি পড়ালেখা একেবারে শেষ করে চাকরিতে যোগ দিতে চান আপনাকে এন্ট্রি লেভেল থেকেই শুরু করতে হবে। তাই যদি পড়ালেখার পাশাপাশি কোনো পার্ট টাইম চাকরি অথবা ঘরে বসে কিছু করতে পারেন তবে পড়ালেখা শেষে আপনার রিজুমিতে অভিজ্ঞতার লেবেল লাগাতে পারবেন। ২)পড়ালেখার পাশাপাশি নিজের দক্ষতা বাড়াতে কাজ করুন যদি চাকরি করতে না চান পড়ালেখার পাশাপাশি তবে এমন কিছু করুন যা আপনার কোনো একটি সাইডের দক্ষতা বাড়ায়। যেমন ধরুন আপনি নিজের ব্যবসা খুলতে ইচ্ছুক হলে সেই সংক্রান্ত বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করুন। এবং কিছু হলেও পুঁজির ব্যাপারে ভাবতে থাকুন। ৩)আপনার যেদিকে দক্ষতা অর্জনের ইচ্ছা সেব্যাপারে কিছু কোর্স করে নিন আপনার যেদিকে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা সে সম্পর্কিত কোর্স করুন পড়ালেখার পাশাপাশি। অল্প বয়সেই এই কাজটি সম্ভব। কারণ পরবর্তীতে হয়তো আপনার সময় হয়ে উঠবে না অথবা পরে সেই মানসিকতাও থাকবে না নানা চাপে। তাই এই কাজটির প্রতি গুরুত্ব দিন বয়স বিশের পর থেকেই। ৪)আলসেমি না করে সময় কাজে লাগান ছাত্র জীবনে প্রায় সকলেই আলসেমি করে থাকেন। এটি নতুন কিছু নয়। কিন্তু এই আলসেমিটাকে কিছুটা কমিয়ে নিয়ে কাজের দিকে মনোযোগী হয়ে উঠলে উন্নতি নিজেরই হবে। আলস্য করে যে সময়টুকু পার করেন সেসময়ে আপনি ক্যারিয়ার গঠন ভিত্তিক কোনো কাজ কিংবা জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। ৫)বন্ধুরা মিলে একসাথে গঠনমূলক কাজ করুন অনেকেই আছেন পড়ালেখার পাশাপাশি বন্ধুরা মিলে ছোট কিছু কাজ করতে থাকেন। একা না পারলে এই ধরণের জিনিসটিও করতে পারেন। বন্ধুরা মিলে অল্প অল্প করে পুঁজি দিয়ে তা কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। কিংবা নিজেরা যে কাজে দক্ষ সে বিষয়টি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির ছোট ছোট কাজ করে দেয়ার প্রোজেক্ট হাতে নিতে পারেন। বর্তমানে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা এই সুবিধা দিয়ে থাকে। দরকার শুধু ইচ্ছা এবং বুদ্ধি খাটানো। ৬)একেবারে রোবট হয়ে যাবেন না জীবনকেও উপভোগ করুন অনেকে মনে করতে পারেন এতোসব বলে ছাত্রজীবনের মজাই নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে। আসলে কিন্তু তা নয়। আপনাকে অনেক কাজ করে কঠিন একটি রুটিন তৈরি করে প্রতিদিন চলতে বলা হচ্ছে না। আপনি আপনার মতো জীবন উপভোগ করুন ঠিকই কিন্তু সেইসাথে বাড়তি কিছু সময় বের করে নিয়ে এইসকল ব্যাপার ভাবুন। কারণ জীবন আপনার। বিশ্বাস করুন – ‘আপনি সফল হবেন’ আপনি জানেন কি, আপনার সম্ভাবনা কতটুকু ? একবার ভাল করে ভেবে দেখুন? আপনার ইচ্ছা আপনার স্বপ্ন আর সম্ভাবনার তুলনা করুন। আপনি কি চান - সেটা ঠিক করুন। লক্ষ্যটাকে স্থির করুন। সফলতা তো আপনারই। আপনার ভিতরেও আছে অপার সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনাটাকে খুঁজে বের করতে হবে। আর এই খুঁজে বের করার দায়িত্বটা কিন্তু আপনারই। কিভাবে বুঝবেন, আপনার সম্ভাবনা কতটুকু? দেখুন আপনার সমস্যা অনেক। আপনার ভাল একটা লক্ষ্যও আছে। কিন্তু যখন কাজের কথা ভাবেন, তখন সমস্যাগুলো আপনার সামনে এমনভাবে হাজির হয় যে, কাজের চেয়ে বরং অকাজই হয় বেশি। হ্যাঁ, আমি জানি আমার- আপনার অনেক সমস্যা। শুধু সমস্যাই। আমি ভালভাবে কথা বলতে পারি না, আমার চেহারা ভাল না, স্বাস্থ্য ভাল না, আমার বিদ্যা- বুদ্ধির জোরও তেমন নেই। এরকম অনেক কিছুই আমার – আপনার সাথে জড়িত। আমাদের জীবনে অনেক না যুক্ত আছে। এই ‘না’ গুলো হয়তোবা আমাদের পক্ষে জীবন থেকে সরানোও সম্ভব না। তাই বলে তো এই ‘না’ এর দিকে চেয়ে থেকে পুরো জীবন হতাশায় কাটান যায় না। একবার যদি ভাল করে ভেবে দেখেন, দেখবেন- বাহিরের যত না আছে তার চেয়ে ভিতরের যে ‘না’ টা সেটাই অনেক বেশি শক্ত। একটা কথা আছে – বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘে খায়। কথাটা সত্য। মনের ‘না’ টাকে দূর করুন। একবারে না হক, দশবারে তো হবে। দেখুন, সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে মস্তিস্ক দিয়েছেন, আপনি শুধু সেটার কথাই ভাবুন না কেন? দেখতে পারবেন, আপনার অপার সম্ভাবনা। বুঝতে পারবেন, আল্লাহ আপনাকে কত ক্ষমতাবান করে তৈরি করেছেন। স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, আপাত দৃষ্টিতে যত সমস্যাই দেখেন না কেন, আপনার সম্ভাবনার তুলনায় তা কিছুই নয়। সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত আমাদের এই মস্তিস্কের কথা সবাই জানেন। তারপরেও মনে করিয়ে দিচ্ছি। পাশাপাশি আমিও আমার একটু সম্ভাবনার হিসেব করিয়ে নিই। যাতে আপনার সাথে আমিও আরেকটু আশাবাদী আর সম্ভাবনাময় হয়ে উঠি। আমাদের মস্তিস্ক কম্পিউটারের চেয়ে অনেক বেশি গুনে জটিল। গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মত ক্ষমতার একটি এটমিক মস্তিস্ক তৈরি করতে প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন। আরও বিস্ময়কর যে, এই রকম মস্তিস্ক চালাতে প্রায় এক হাজার কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। এবং কর্ণফুলীর কাপ্তাইয়ের যে উৎপাদন, সে হিসেবে এর মত ৩২৫০ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রয়োজন হবে প্রতিদিন এটি চালু রাখার জন্য। প্রায় আঠারটি একশতলা দালানের সমান হবে এর আয়তন। মস্তিস্কের সবচেয়ে উপরের সাদা ঢেউ খেলানো কর্টেক্সকে সমান্তরালভাবে সাজালে এর আয়তন হয় প্রায় দুহাজার বর্গমাইল। স্নায়ুতন্ত্রের একক নিউরন। যার কয়েকশত একটি আলপিনের মাথায় একত্রে স্থান করে নিতে পারে। শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে ইলেক্ট্রনিক সিগন্যাল মস্তিস্কে বহন করা এবং মস্তিস্ক থেকে বিভিন্ন আদেশ অতি দ্রুত হাজার কোটি সেলে ছড়িয়ে দেওয়াই নিউরনের কাজ। ব্রেইনের এতসব কাজ ঘটতে পারে সেকেন্ডের লক্ষ ভাগের মাত্র একভাগ সময়ে। মানব মস্তিস্কে রয়েছে শক্তিশালী মেমোরি সেল। এই স্মৃতি সংরক্ষণশালা প্রায় প্রতি সেকেন্ডে দশটি নতুন বস্তুকে স্থান করে দিতে পারে। সবচেয়ে আশ্চর্যের –পৃথিবীর সর্বকালের সর্বপ্রকারের যাবতীয় তথ্যকে একত্রে এই সেলে রাখা হলে এর লক্ষ ভাগের এক ভাগও পূরণ হবে না। কি, একেবারে চুপ হয়ে গেলেন যে! চলুন, শুকরিয়া আদায় করি মহান আল্লাহ তা’আলার-‘আলহামদুলিল্লাহ’। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা এই মেমোরি সেলের হাজার ভাগের এক ভাগও কাজে লাগাতে পারি না। বিজ্ঞানীরা আরও বলেন- মানব মস্তিস্ক সর্বাধুনিক কম্পিউটারের চেয়েও প্রায় দশ লক্ষ গুন বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন। দামের হিসেব করলে একটি কম্পিউটার যদি ৫০,০০০ টাকা হয়, তাহলে আমাদের একেকজনের ব্রেনের দাম দাঁড়াচ্ছে কমপক্ষে ৫,০০০ কোটি টাকা। তার মানে দাঁড়াই, আমরা যারা নিজেরাই নিজেদের অবহেলা করি, অবজ্ঞা করি এবং আমাদের দৃষ্টিতে যারা অনেক মেধাবী অর্থাৎ সবার ক্ষেত্রেই, সবার ঘাড়ের উপরেই একটি পাঁচ হাজার কোটি টাকার সম্পদ আছে। তাহলে এবার ভেবে দেখুন- আপনার সম্ভাবনা কতটুকু? ভাবুন, ভাবুন এবং আরও ভাবুন। শুধু মাত্র এই মস্তিস্কের মূল্যায়নই যথেষ্ট আপনার সম্ভাবনা খুঁজে বের করার জন্য। আল্লাহ আপনাকে - আমাকে সব দিয়েছেন শুধু কাজে লাগাতে হবে আমাদের। তবেই সফলতা ধরা দিবে। গোমড়া মুখটা এবার হাল্কা করুন তো। একটু হাসুন। নিজের শক্তি, সম্ভাবনার সমন্বয়েই সফলতা। এবার কাজে নেমে পড়ুন। যে কোন ভাল কাজ। আপনাকে ঠেকিয়ে রাখার মত মনে হয় না- আর কোন বাঁধা আছে। এবার এগিয়ে যান। স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও আপনার সাথে আছেন। ইনশাআল্লহ, আপনি পারবেন। Created with My Clipboard for Android: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.wb.myclipboard

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কাজী নজরুল ইসলাম- এর চিরন্তন বাণী

আরবি প্রবাদ কালেকশন